alt

পাঠকের চিঠি

কৃষক কাঁদে, ভোক্তাও কাঁদে

: বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দেশে যখন আলু রোপনের মৌসুম চলছিল তখন আলুর বাজার দর ছিল বেপরোয়া। বীজ আলু পেতে কৃষকদের কি নাজেহাল দশা। অনেক দাম দিয়েও তারা ভালো বীজ সংগ্রহ করতে পারেনি। পেঁয়াজেরও একই হাল। তারা ভালো বীজ পেতে মরিয়া হয়েছিলেন। কিন্তু দেশের সরকার তা দিতে সম্পূর্ণ রূপে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে শুধু বীজই নয় তারা সার কিনতে যেয়ে আরো বেশি নাকাল হয়েছেন। অনেক জায়গায় সার সংকট ছিল চোখে পড়ার মতো। আবার সার পেলেও তাতে দাম গুনতে হয়েছে বস্তা প্রতি ২ থেকে ৩ শত টাকা বেশি।

কৃষককে আলু ও পেঁয়াজ চাষ করতেই হবে। তার কারণ- বাজাওে এ দুটি পণ্যের আকাশ ছোঁয়া দাম। তাতেই কৃষক মরিয়া হয়ে চাষ শুরু করেছে আলু আর পেঁয়াজ। তাছাড়া ভারতের কৃষকরাও আলু আর পেয়াজে বাম্পার ফলন ফলিয়েছে। তারা বাংলাদেশে রপ্তানি করে ভালোই দুটো পয়সার মুখ দেখেছিলেন। কিন্তু উভয় দেশের উৎপাদন বেশি হয়ায় তা এখন কৃষকের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। আলু আর পেঁয়াজে কৃষকের উৎপাদন খরচও উঠছে না। তার পেছনের প্রেক্ষাপট আবার ভিন্ন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শীতের সবজি ব্যাপক উৎপাদন হয়েছে। একটি বড় সাইজের কপি পাওয়া যাচ্ছে ১০ টাকায়। চারা, সার এবং শ্রমিক মজুরি দিয়ে এক একটি কপির খরচ হয়েছে যেখানে ২০ টাকার মতো সেখানে তাদের বিক্রি করতে হয় অর্ধেক দামে। তারা এর আগে ধান চাষ করে তখন কান্না করছিলেন বাজার মূল্যে পায়নি বলে।

সেই ধানের চাল কিনতে গিয়ে এবার ভোক্তাদের চোখে জল। তাহলে হাসে কে? কে বেশি দাম নিয়ে তৃপ্তির হাসি হাসছে তাকে খুঁজে বের করতে হবে রাষ্ট্রকে। নইলে কৃষকও কাঁদবে সেই সাথে তাল মিলিয়ে ভোক্তাদেরও কাঁদতে হবে; আর সিন্ডিকেটধারী মাফিয়ারা দাঁত বের করে হাসবে তা হতে দেয়া যাবে না।

রাসেল ভূঁইয়া

খলিফাবাড়ী, সিপাহীপাড়া, মুন্সীগঞ্জ

ছাতারপাইয়ায় রাস্তা সংস্কার জরুরি

বইয়ের আলোয় দূর হোক অন্ধকার

পোস্তগোলা রাস্তার শোচনীয় অবস্থা

হতাশার আরেক নাম ভর্তি পরীক্ষা

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে ক্ষতিগ্রস্তদের লিজ দলিল দিন

ছবি

সাতার শেখা জরুরি

গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া : শিক্ষার্থীদের জন্য স্বস্তি নাকি ভোগান্তি?

ছবি

বন্ধ করা হোক ফিটনেসবিহীন যানবাহন

ছবি

অমর একুশে বইমেলা

মানুষের দাবি ও জনদুর্ভোগ

ছবি

মেট্রোরেল স্টেশনে বিড়ম্বনা কেন?

ট্রেন চলাচল বন্ধ : সংকট সমাধানে আলোচনা করতে হবে

ছবি

খেলার মাঠের অভাবে শিশুর মানসিক বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে

ল্যাম্পপোস্ট মেরামত করুন

পর্যটকদের নিরাপত্তা

শীতে গরম পানি ব্যবহার করা ও আগুন পোহাতে সচেতন হতে হবে

ছিন্নমূল শীতার্তদের দিকে নজর দেয়া উচিত

ছবি

রোজায় নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে এখন থেকেই ব্যবস্থা নিন

নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা জরুরি

ছাত্র সংসদ চালু করা এখন সময়ের দাবি

রেলপথের অনেক সিগন্যালেরই আয়ূষ্কাল শেষ

ছবি

ভোজ্যতেলের বাজারে তদারকি প্রয়োজন

ছবি

সড়কে বেপরোয়া বাইক

বেকারত্বের ফাঁদ

ভূমিকম্প মোকাবিলায় কি আমরা প্রস্তুত

জাল নোট

ছবি

এইচএমপিভি সংক্রমণ : আতঙ্ক নয়, সচেতনতার প্রয়োজন

ছবি

অপরিকল্পিত রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি

মুন্সীগঞ্জের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনিয়ম

ছবি

এনসিটিবির হাতে ‘গাছের পাতা’ ছেঁড়া হলো

কঠিন অধ্যবসায়, সাবলীল জীবন

উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে ভ্যাটের বোঝা

বিমানবন্দরে নিরাপত্তাকর্মীদের বাড়াবাড়ি

যমজ সন্তান ভর্তিতে ভোগান্তি

পাবলিক লাইব্রেরি সমৃদ্ধ করুন

ছবি

গ্যাসের সংকট কী কাটবে না?

tab

পাঠকের চিঠি

কৃষক কাঁদে, ভোক্তাও কাঁদে

বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দেশে যখন আলু রোপনের মৌসুম চলছিল তখন আলুর বাজার দর ছিল বেপরোয়া। বীজ আলু পেতে কৃষকদের কি নাজেহাল দশা। অনেক দাম দিয়েও তারা ভালো বীজ সংগ্রহ করতে পারেনি। পেঁয়াজেরও একই হাল। তারা ভালো বীজ পেতে মরিয়া হয়েছিলেন। কিন্তু দেশের সরকার তা দিতে সম্পূর্ণ রূপে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে শুধু বীজই নয় তারা সার কিনতে যেয়ে আরো বেশি নাকাল হয়েছেন। অনেক জায়গায় সার সংকট ছিল চোখে পড়ার মতো। আবার সার পেলেও তাতে দাম গুনতে হয়েছে বস্তা প্রতি ২ থেকে ৩ শত টাকা বেশি।

কৃষককে আলু ও পেঁয়াজ চাষ করতেই হবে। তার কারণ- বাজাওে এ দুটি পণ্যের আকাশ ছোঁয়া দাম। তাতেই কৃষক মরিয়া হয়ে চাষ শুরু করেছে আলু আর পেঁয়াজ। তাছাড়া ভারতের কৃষকরাও আলু আর পেয়াজে বাম্পার ফলন ফলিয়েছে। তারা বাংলাদেশে রপ্তানি করে ভালোই দুটো পয়সার মুখ দেখেছিলেন। কিন্তু উভয় দেশের উৎপাদন বেশি হয়ায় তা এখন কৃষকের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। আলু আর পেঁয়াজে কৃষকের উৎপাদন খরচও উঠছে না। তার পেছনের প্রেক্ষাপট আবার ভিন্ন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শীতের সবজি ব্যাপক উৎপাদন হয়েছে। একটি বড় সাইজের কপি পাওয়া যাচ্ছে ১০ টাকায়। চারা, সার এবং শ্রমিক মজুরি দিয়ে এক একটি কপির খরচ হয়েছে যেখানে ২০ টাকার মতো সেখানে তাদের বিক্রি করতে হয় অর্ধেক দামে। তারা এর আগে ধান চাষ করে তখন কান্না করছিলেন বাজার মূল্যে পায়নি বলে।

সেই ধানের চাল কিনতে গিয়ে এবার ভোক্তাদের চোখে জল। তাহলে হাসে কে? কে বেশি দাম নিয়ে তৃপ্তির হাসি হাসছে তাকে খুঁজে বের করতে হবে রাষ্ট্রকে। নইলে কৃষকও কাঁদবে সেই সাথে তাল মিলিয়ে ভোক্তাদেরও কাঁদতে হবে; আর সিন্ডিকেটধারী মাফিয়ারা দাঁত বের করে হাসবে তা হতে দেয়া যাবে না।

রাসেল ভূঁইয়া

খলিফাবাড়ী, সিপাহীপাড়া, মুন্সীগঞ্জ

back to top