দেশে যখন আলু রোপনের মৌসুম চলছিল তখন আলুর বাজার দর ছিল বেপরোয়া। বীজ আলু পেতে কৃষকদের কি নাজেহাল দশা। অনেক দাম দিয়েও তারা ভালো বীজ সংগ্রহ করতে পারেনি। পেঁয়াজেরও একই হাল। তারা ভালো বীজ পেতে মরিয়া হয়েছিলেন। কিন্তু দেশের সরকার তা দিতে সম্পূর্ণ রূপে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে শুধু বীজই নয় তারা সার কিনতে যেয়ে আরো বেশি নাকাল হয়েছেন। অনেক জায়গায় সার সংকট ছিল চোখে পড়ার মতো। আবার সার পেলেও তাতে দাম গুনতে হয়েছে বস্তা প্রতি ২ থেকে ৩ শত টাকা বেশি।
কৃষককে আলু ও পেঁয়াজ চাষ করতেই হবে। তার কারণ- বাজাওে এ দুটি পণ্যের আকাশ ছোঁয়া দাম। তাতেই কৃষক মরিয়া হয়ে চাষ শুরু করেছে আলু আর পেঁয়াজ। তাছাড়া ভারতের কৃষকরাও আলু আর পেয়াজে বাম্পার ফলন ফলিয়েছে। তারা বাংলাদেশে রপ্তানি করে ভালোই দুটো পয়সার মুখ দেখেছিলেন। কিন্তু উভয় দেশের উৎপাদন বেশি হয়ায় তা এখন কৃষকের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। আলু আর পেঁয়াজে কৃষকের উৎপাদন খরচও উঠছে না। তার পেছনের প্রেক্ষাপট আবার ভিন্ন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শীতের সবজি ব্যাপক উৎপাদন হয়েছে। একটি বড় সাইজের কপি পাওয়া যাচ্ছে ১০ টাকায়। চারা, সার এবং শ্রমিক মজুরি দিয়ে এক একটি কপির খরচ হয়েছে যেখানে ২০ টাকার মতো সেখানে তাদের বিক্রি করতে হয় অর্ধেক দামে। তারা এর আগে ধান চাষ করে তখন কান্না করছিলেন বাজার মূল্যে পায়নি বলে।
সেই ধানের চাল কিনতে গিয়ে এবার ভোক্তাদের চোখে জল। তাহলে হাসে কে? কে বেশি দাম নিয়ে তৃপ্তির হাসি হাসছে তাকে খুঁজে বের করতে হবে রাষ্ট্রকে। নইলে কৃষকও কাঁদবে সেই সাথে তাল মিলিয়ে ভোক্তাদেরও কাঁদতে হবে; আর সিন্ডিকেটধারী মাফিয়ারা দাঁত বের করে হাসবে তা হতে দেয়া যাবে না।
রাসেল ভূঁইয়া
খলিফাবাড়ী, সিপাহীপাড়া, মুন্সীগঞ্জ
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
দেশে যখন আলু রোপনের মৌসুম চলছিল তখন আলুর বাজার দর ছিল বেপরোয়া। বীজ আলু পেতে কৃষকদের কি নাজেহাল দশা। অনেক দাম দিয়েও তারা ভালো বীজ সংগ্রহ করতে পারেনি। পেঁয়াজেরও একই হাল। তারা ভালো বীজ পেতে মরিয়া হয়েছিলেন। কিন্তু দেশের সরকার তা দিতে সম্পূর্ণ রূপে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে শুধু বীজই নয় তারা সার কিনতে যেয়ে আরো বেশি নাকাল হয়েছেন। অনেক জায়গায় সার সংকট ছিল চোখে পড়ার মতো। আবার সার পেলেও তাতে দাম গুনতে হয়েছে বস্তা প্রতি ২ থেকে ৩ শত টাকা বেশি।
কৃষককে আলু ও পেঁয়াজ চাষ করতেই হবে। তার কারণ- বাজাওে এ দুটি পণ্যের আকাশ ছোঁয়া দাম। তাতেই কৃষক মরিয়া হয়ে চাষ শুরু করেছে আলু আর পেঁয়াজ। তাছাড়া ভারতের কৃষকরাও আলু আর পেয়াজে বাম্পার ফলন ফলিয়েছে। তারা বাংলাদেশে রপ্তানি করে ভালোই দুটো পয়সার মুখ দেখেছিলেন। কিন্তু উভয় দেশের উৎপাদন বেশি হয়ায় তা এখন কৃষকের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। আলু আর পেঁয়াজে কৃষকের উৎপাদন খরচও উঠছে না। তার পেছনের প্রেক্ষাপট আবার ভিন্ন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শীতের সবজি ব্যাপক উৎপাদন হয়েছে। একটি বড় সাইজের কপি পাওয়া যাচ্ছে ১০ টাকায়। চারা, সার এবং শ্রমিক মজুরি দিয়ে এক একটি কপির খরচ হয়েছে যেখানে ২০ টাকার মতো সেখানে তাদের বিক্রি করতে হয় অর্ধেক দামে। তারা এর আগে ধান চাষ করে তখন কান্না করছিলেন বাজার মূল্যে পায়নি বলে।
সেই ধানের চাল কিনতে গিয়ে এবার ভোক্তাদের চোখে জল। তাহলে হাসে কে? কে বেশি দাম নিয়ে তৃপ্তির হাসি হাসছে তাকে খুঁজে বের করতে হবে রাষ্ট্রকে। নইলে কৃষকও কাঁদবে সেই সাথে তাল মিলিয়ে ভোক্তাদেরও কাঁদতে হবে; আর সিন্ডিকেটধারী মাফিয়ারা দাঁত বের করে হাসবে তা হতে দেয়া যাবে না।
রাসেল ভূঁইয়া
খলিফাবাড়ী, সিপাহীপাড়া, মুন্সীগঞ্জ