‘বই’ শব্দটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে জ্ঞান, শিক্ষা এবং আলোর প্রতীক। মানুষ তার জীবনে একা থাকতে পারে না; তাকে প্রয়োজন হয় বন্ধুদের। বই সেই বন্ধু, যা জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে সঙ্গ দেয়। মানুষের জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক এবং পথপ্রদর্শক হিসেবে বই অগ্রগণ্য।
বই মানুষের মনের অন্ধকার দূর করে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেয়। যেমন জোনাকি তার ক্ষুদ্র আলোকধারা দিয়ে অন্ধকার দূর করে, তেমনই বইও মানুষের জীবনে আলোর রেখা টেনে দেয়। বই পড়ার মাধ্যমে মানুষ অজানা বিষয় সম্পর্কে জানার সুযোগ পায় এবং নিজেকে আত্ম-উন্নয়নের পথে নিয়ে যায়। মানুষের জ্ঞানের পিপাসা মেটানোর প্রধান উপায় বই। এটি মানুষের মস্তিষ্ককে জাগ্রত করে তোলে এবং নতুন চিন্তা ও ধারণা তৈরি করতে সাহায্য করে।
বই মানুষের মনুষ্যত্ববোধ এবং নৈতিকতাকে জাগ্রত করে। এটি শুধু বিনোদন নয়, বরং মানুষকে সঠিক ও ভুলের মধ্যে পার্থক্য করতে শেখায়। বই পড়ার মাধ্যমে একজন মানুষ তার ভেতরের সৃজনশীলতাকে আবিষ্কার করতে পারে। বই একদিকে যেমন মেধা বিকাশে সাহায্য করে, অন্যদিকে সহমর্মিতা ও সহনশীলতার মতো গুণাবলি গড়ে তোলে। এটি মানুষের মননশীলতাকে পরিপূর্ণ করে এবং জীবনের গভীর অর্থ উপলব্ধি করতে শেখায়।
তবে দুঃখজনকভাবে, বর্তমান সময়ে মানুষ বই পড়ার অভ্যাস থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। প্রযুক্তির প্রসারের ফলে মানুষ লাইব্রেরি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। বইয়ের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে যাচ্ছে, আর তার জায়গায় স্থান দখল করছে অসার বিনোদন। এই অবস্থায় আমাদের সমাজে আরও বেশি লাইব্রেরি গড়ে তোলা প্রয়োজন। লাইব্রেরি শুধু বই পড়ার স্থান নয়, বরং এটি জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেওয়ার কেন্দ্র। মানুষের মাঝে বই পড়ার প্রতি আগ্রহ জাগাতে সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন।
প্রিয়ন্তী কর্মকার
শিক্ষার্থী, রাজশাহী কলেজে।
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
‘বই’ শব্দটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে জ্ঞান, শিক্ষা এবং আলোর প্রতীক। মানুষ তার জীবনে একা থাকতে পারে না; তাকে প্রয়োজন হয় বন্ধুদের। বই সেই বন্ধু, যা জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে সঙ্গ দেয়। মানুষের জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক এবং পথপ্রদর্শক হিসেবে বই অগ্রগণ্য।
বই মানুষের মনের অন্ধকার দূর করে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেয়। যেমন জোনাকি তার ক্ষুদ্র আলোকধারা দিয়ে অন্ধকার দূর করে, তেমনই বইও মানুষের জীবনে আলোর রেখা টেনে দেয়। বই পড়ার মাধ্যমে মানুষ অজানা বিষয় সম্পর্কে জানার সুযোগ পায় এবং নিজেকে আত্ম-উন্নয়নের পথে নিয়ে যায়। মানুষের জ্ঞানের পিপাসা মেটানোর প্রধান উপায় বই। এটি মানুষের মস্তিষ্ককে জাগ্রত করে তোলে এবং নতুন চিন্তা ও ধারণা তৈরি করতে সাহায্য করে।
বই মানুষের মনুষ্যত্ববোধ এবং নৈতিকতাকে জাগ্রত করে। এটি শুধু বিনোদন নয়, বরং মানুষকে সঠিক ও ভুলের মধ্যে পার্থক্য করতে শেখায়। বই পড়ার মাধ্যমে একজন মানুষ তার ভেতরের সৃজনশীলতাকে আবিষ্কার করতে পারে। বই একদিকে যেমন মেধা বিকাশে সাহায্য করে, অন্যদিকে সহমর্মিতা ও সহনশীলতার মতো গুণাবলি গড়ে তোলে। এটি মানুষের মননশীলতাকে পরিপূর্ণ করে এবং জীবনের গভীর অর্থ উপলব্ধি করতে শেখায়।
তবে দুঃখজনকভাবে, বর্তমান সময়ে মানুষ বই পড়ার অভ্যাস থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। প্রযুক্তির প্রসারের ফলে মানুষ লাইব্রেরি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। বইয়ের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে যাচ্ছে, আর তার জায়গায় স্থান দখল করছে অসার বিনোদন। এই অবস্থায় আমাদের সমাজে আরও বেশি লাইব্রেরি গড়ে তোলা প্রয়োজন। লাইব্রেরি শুধু বই পড়ার স্থান নয়, বরং এটি জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেওয়ার কেন্দ্র। মানুষের মাঝে বই পড়ার প্রতি আগ্রহ জাগাতে সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন।
প্রিয়ন্তী কর্মকার
শিক্ষার্থী, রাজশাহী কলেজে।