দিনকে দিন পরিবহন ভাড়া নাভিশ্বাস ছড়াচ্ছে। পরিবহন ট্রান্সপোর্ট যেমন অপরিকল্পিতভাবে বাড়ছে, সেই সঙ্গে ভাড়ার পাল্লাও সমান তালে বাড়ছে। হাইওয়েসহ লোকাল রাস্তা-ঘাটের ভাড়া জনমনে ব্যপক প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও বেকার মানুষের জন্য যাতায়াত করা কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া প্রতিকূল নগর-অঞ্চলে লোকাল ট্রান্সপোর্টগুলোও ভালোই ঊর্ধ্বমাত্রার ভাড়া রাখছে। এক্ষেত্রে তাদের যুক্তিযুক্ত কথা হচ্ছে- জ্বালানি তেলসহ বাজারের নিত্যপণ্যের সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বগামী হওয়াতে ভাড়াটাও বেশি রাখতে হচ্ছে তাদের।
কারণ এ আয়ের পুঁজি দিয়েই বউ-বাচ্চা নিয়ে তাদের সংসার চালাতে হয়। বেকার জনগণ ও শিক্ষার্থীরা এই মুহূর্তে খুব দুর্দশা ও খুবই সমস্যায় আছে। যাতায়াত ব্যবস্থার এই বিপুল খরচে তারা যেন চরম অসহায়ত্বের শিকার। দূরপাল্লার বাস, ট্রেনে করে যাওয়া আসা করা এখন কমার্শিয়াল হয়ে উঠেছে। গুনতে হয় বাড়তি অনেক পয়সা। এতে করে অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত হতে হয়।
দ্রুত পরিবহন খ্যাতের সুষ্ঠু ভাড়া নির্ধারণ করতে হবে এবং সেটা অবশ্যই সর্বশ্রেণীর জনগণের কথা মাথা রেখে। তাছাড়া দিনকে দিন এমন লাগামহীন ভাড়া বাড়ানো আমাদের দেশের দরিদ্র ও বেকার মানুষের জন্য একপ্রকার জুলুম হয়ে দাঁড়াবে। গ্রাম এবং শহরের ভাড়ার পরিমাণ এক নয়। গ্রামের সামাজিক অবস্থা, পারিবারিক অবস্থা, ইনকাম সোর্স এসবের ভিন্নতা রয়েছে। যদিও শহরের ভাড়া তুলনায় বেশি, কারণ সেখানে টিকে থাকতে ও বেশি পরিমাণ অর্থ ব্যায় করতে হয়। শহরে মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে বেশি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে চালক এবং মালিকদের কথাও বিবেচনা করতে হবে; কিন্তু মফস্বলে ভাড়ার পরিমাণ তুলনামূলক বেশি। সেখানে সিএনজি, অটোরিকশা ও লেগুনার দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পরিবহন খ্যাতে সরকারি সুযোগ সুবিধা ও আর্ধিক প্রণোদনা নিশ্চিত করতে হবে। সার্বিক ক্ষেত্র বিবেচনা করে অতিবিলম্বে জনগণ সহায়ক পরিবহন ভাড়া নিশ্চিত করুন।
ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয়
শিক্ষার্থী, নওগাঁ সরকারি কলেজ
বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
দিনকে দিন পরিবহন ভাড়া নাভিশ্বাস ছড়াচ্ছে। পরিবহন ট্রান্সপোর্ট যেমন অপরিকল্পিতভাবে বাড়ছে, সেই সঙ্গে ভাড়ার পাল্লাও সমান তালে বাড়ছে। হাইওয়েসহ লোকাল রাস্তা-ঘাটের ভাড়া জনমনে ব্যপক প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও বেকার মানুষের জন্য যাতায়াত করা কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া প্রতিকূল নগর-অঞ্চলে লোকাল ট্রান্সপোর্টগুলোও ভালোই ঊর্ধ্বমাত্রার ভাড়া রাখছে। এক্ষেত্রে তাদের যুক্তিযুক্ত কথা হচ্ছে- জ্বালানি তেলসহ বাজারের নিত্যপণ্যের সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বগামী হওয়াতে ভাড়াটাও বেশি রাখতে হচ্ছে তাদের।
কারণ এ আয়ের পুঁজি দিয়েই বউ-বাচ্চা নিয়ে তাদের সংসার চালাতে হয়। বেকার জনগণ ও শিক্ষার্থীরা এই মুহূর্তে খুব দুর্দশা ও খুবই সমস্যায় আছে। যাতায়াত ব্যবস্থার এই বিপুল খরচে তারা যেন চরম অসহায়ত্বের শিকার। দূরপাল্লার বাস, ট্রেনে করে যাওয়া আসা করা এখন কমার্শিয়াল হয়ে উঠেছে। গুনতে হয় বাড়তি অনেক পয়সা। এতে করে অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত হতে হয়।
দ্রুত পরিবহন খ্যাতের সুষ্ঠু ভাড়া নির্ধারণ করতে হবে এবং সেটা অবশ্যই সর্বশ্রেণীর জনগণের কথা মাথা রেখে। তাছাড়া দিনকে দিন এমন লাগামহীন ভাড়া বাড়ানো আমাদের দেশের দরিদ্র ও বেকার মানুষের জন্য একপ্রকার জুলুম হয়ে দাঁড়াবে। গ্রাম এবং শহরের ভাড়ার পরিমাণ এক নয়। গ্রামের সামাজিক অবস্থা, পারিবারিক অবস্থা, ইনকাম সোর্স এসবের ভিন্নতা রয়েছে। যদিও শহরের ভাড়া তুলনায় বেশি, কারণ সেখানে টিকে থাকতে ও বেশি পরিমাণ অর্থ ব্যায় করতে হয়। শহরে মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে বেশি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে চালক এবং মালিকদের কথাও বিবেচনা করতে হবে; কিন্তু মফস্বলে ভাড়ার পরিমাণ তুলনামূলক বেশি। সেখানে সিএনজি, অটোরিকশা ও লেগুনার দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পরিবহন খ্যাতে সরকারি সুযোগ সুবিধা ও আর্ধিক প্রণোদনা নিশ্চিত করতে হবে। সার্বিক ক্ষেত্র বিবেচনা করে অতিবিলম্বে জনগণ সহায়ক পরিবহন ভাড়া নিশ্চিত করুন।
ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয়
শিক্ষার্থী, নওগাঁ সরকারি কলেজ