অগ্নিকা- এক ভয়াবহ দুর্যোগ, যা মুহূর্তেই কেড়ে নিতে পারে মানুষের জীবন ও সহায়-সম্পদ। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ঘন ঘন অগ্নিকা-ের ঘটনা আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। তবে সঠিক প্রস্তুতি, সচেতনতা এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে আমরা এ বিপদ থেকে রক্ষা পেতে পারি।
অগ্নিকা- প্রতিরোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো জনসচেতনতা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস, বাজার এবং আবাসিক ভবনগুলোতে নিয়মিত অগ্নি নিরাপত্তা ফৎরষষ বা মহড়া আয়োজন করা উচিত। আগুন নেভানোর প্রাথমিক কৌশলগুলো সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
নির্মাণাধীন ভবনগুলোতে অগ্নি নিরাপত্তার জন্য নির্দিষ্ট বিল্ডিং কোড রয়েছে; কিন্তু অনেকে সেগুলো মানেন না। ভবন নির্মাণের সময় অগ্নি নিরোধক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং নিয়মিত পরিদর্শনের মাধ্যমে তা নিশ্চিত করতে হবে।
আগুন শনাক্ত করার জন্য স্মোক ডিটেক্টর এবং স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র স্থাপন করা উচিত। এছাড়া ফায়ার অ্যালার্ম ও স্প্রিংক্লার সিস্টেম প্রতিটি বড় স্থাপনায় থাকা প্রয়োজন।
বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট ও গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন লাগার ঘটনা বেশি হয়। তাই নিয়মিত ইলেকট্রিক লাইন ও গ্যাস সংযোগ পরীক্ষা করতে হবে। প্রতিটি ভবনে ফায়ার এক্সটিংগুইশার, বালতির পানি, বালুর বস্তা এবং ফায়ার ব্ল্যাঙ্কেট রাখতে হবে। সেই সাথে এসব সরঞ্জাম কিভাবে ব্যবহার করতে হয়, তা জানা থাকতে হবে।
সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আরও বেশি প্রচারণা চালাতে হবে। অগ্নিকা- প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে ব্যবহার করা যেতে পারে।
অগ্নিকা-ের ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে হলে এখনই আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে। নিজেরা সচেতন হতে হবে এবং অন্যকেও সচেতন করতে হবে। তবেই হয়তো আমরা এ দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে পারি।
রেদোয়ানুল হাসান রায়হান
কুষ্টিয়া
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
অগ্নিকা- এক ভয়াবহ দুর্যোগ, যা মুহূর্তেই কেড়ে নিতে পারে মানুষের জীবন ও সহায়-সম্পদ। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ঘন ঘন অগ্নিকা-ের ঘটনা আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। তবে সঠিক প্রস্তুতি, সচেতনতা এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে আমরা এ বিপদ থেকে রক্ষা পেতে পারি।
অগ্নিকা- প্রতিরোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো জনসচেতনতা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস, বাজার এবং আবাসিক ভবনগুলোতে নিয়মিত অগ্নি নিরাপত্তা ফৎরষষ বা মহড়া আয়োজন করা উচিত। আগুন নেভানোর প্রাথমিক কৌশলগুলো সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
নির্মাণাধীন ভবনগুলোতে অগ্নি নিরাপত্তার জন্য নির্দিষ্ট বিল্ডিং কোড রয়েছে; কিন্তু অনেকে সেগুলো মানেন না। ভবন নির্মাণের সময় অগ্নি নিরোধক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং নিয়মিত পরিদর্শনের মাধ্যমে তা নিশ্চিত করতে হবে।
আগুন শনাক্ত করার জন্য স্মোক ডিটেক্টর এবং স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র স্থাপন করা উচিত। এছাড়া ফায়ার অ্যালার্ম ও স্প্রিংক্লার সিস্টেম প্রতিটি বড় স্থাপনায় থাকা প্রয়োজন।
বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট ও গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন লাগার ঘটনা বেশি হয়। তাই নিয়মিত ইলেকট্রিক লাইন ও গ্যাস সংযোগ পরীক্ষা করতে হবে। প্রতিটি ভবনে ফায়ার এক্সটিংগুইশার, বালতির পানি, বালুর বস্তা এবং ফায়ার ব্ল্যাঙ্কেট রাখতে হবে। সেই সাথে এসব সরঞ্জাম কিভাবে ব্যবহার করতে হয়, তা জানা থাকতে হবে।
সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আরও বেশি প্রচারণা চালাতে হবে। অগ্নিকা- প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে ব্যবহার করা যেতে পারে।
অগ্নিকা-ের ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে হলে এখনই আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে। নিজেরা সচেতন হতে হবে এবং অন্যকেও সচেতন করতে হবে। তবেই হয়তো আমরা এ দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে পারি।
রেদোয়ানুল হাসান রায়হান
কুষ্টিয়া