সবুজ অর্থনীতি হচ্ছে টেকসই উন্নয়নের একটি কৌশল, যা প্রাকৃতিক সম্পদের সুষম ব্যবহার এবং পরিবেশবান্ধব নীতির মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করে। বর্তমান বিশ্বে জলবায়ুু পরিবর্তন, পরিবেশ দূষণ এবং প্রাকৃতিক সম্পদের অতি ব্যবহারের ফলে সবুজ অর্থনীতির প্রয়োজনীয়তা ক্রমশ বাড়ছে।
পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করে কীভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়, সেটিই সবুজ অর্থনীতির মূল আলোচ্য বিষয়। সবুজ অর্থনীতি মূলত জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নবায়ুনযোগ্য শক্তি ব্যবহারকে উৎসাহিত করে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও এসব ধারণা এরই মধ্যে পরিচিতি লাভ করেছে। এই খাতে বিনিয়োগ শুধু পরিবেশ রক্ষায় সাহায্য করে না, বরং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।
সবুজ অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো টেকসই কৃষি ও বন ব্যবস্থাপনা। এটি ভূমির অবক্ষয় রোধ, পানি ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং জৈব সার ব্যবহারের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদনের পরিমাণ ও গুণগত মান বৃদ্ধি করে। টেকসই কৃষি ব্যবস্থায় জৈব পদ্ধতির ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক দেশ কৃষিক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব নীতি গ্রহণ করেছে। এছাড়া, সবুজ অর্থনীতি পুনর্ব্যবহারযোগ্য পণ্যের ব্যবহার এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উদ্ভাবনী প্রযুক্তি প্রয়োগে গুরুত্ব দেয়। প্লাস্টিক দূষণ কমাতে অনেক দেশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক এবং বায়োডিগ্রেডেবল উপাদানের দিকে ঝুঁকছে।
সবুজ অর্থনীতি শুধুমাত্র পরিবেশ সংরক্ষণের উপায় নয়; এটি অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণ এবং সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠায়ও ভূমিকা রাখে। পরিবেশের জন্য সবুজ অর্থনীতি শুধু একটি নীতি নয়, এটি ভবিষ্যৎ পৃথিবীর জন্য একটি স্থায়ী সমাধান। অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং পরিবেশের ভারসাম্যের মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে এই ধারণা বর্তমান প্রজন্মের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি টেকসই ও সমৃদ্ধ পৃথিবী গড়ে তোলার পথ দেখাচ্ছে।
মালিহা মেহনাজ
শিক্ষার্থী
শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সবুজ অর্থনীতি হচ্ছে টেকসই উন্নয়নের একটি কৌশল, যা প্রাকৃতিক সম্পদের সুষম ব্যবহার এবং পরিবেশবান্ধব নীতির মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করে। বর্তমান বিশ্বে জলবায়ুু পরিবর্তন, পরিবেশ দূষণ এবং প্রাকৃতিক সম্পদের অতি ব্যবহারের ফলে সবুজ অর্থনীতির প্রয়োজনীয়তা ক্রমশ বাড়ছে।
পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করে কীভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়, সেটিই সবুজ অর্থনীতির মূল আলোচ্য বিষয়। সবুজ অর্থনীতি মূলত জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নবায়ুনযোগ্য শক্তি ব্যবহারকে উৎসাহিত করে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও এসব ধারণা এরই মধ্যে পরিচিতি লাভ করেছে। এই খাতে বিনিয়োগ শুধু পরিবেশ রক্ষায় সাহায্য করে না, বরং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।
সবুজ অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো টেকসই কৃষি ও বন ব্যবস্থাপনা। এটি ভূমির অবক্ষয় রোধ, পানি ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং জৈব সার ব্যবহারের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদনের পরিমাণ ও গুণগত মান বৃদ্ধি করে। টেকসই কৃষি ব্যবস্থায় জৈব পদ্ধতির ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক দেশ কৃষিক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব নীতি গ্রহণ করেছে। এছাড়া, সবুজ অর্থনীতি পুনর্ব্যবহারযোগ্য পণ্যের ব্যবহার এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উদ্ভাবনী প্রযুক্তি প্রয়োগে গুরুত্ব দেয়। প্লাস্টিক দূষণ কমাতে অনেক দেশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক এবং বায়োডিগ্রেডেবল উপাদানের দিকে ঝুঁকছে।
সবুজ অর্থনীতি শুধুমাত্র পরিবেশ সংরক্ষণের উপায় নয়; এটি অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণ এবং সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠায়ও ভূমিকা রাখে। পরিবেশের জন্য সবুজ অর্থনীতি শুধু একটি নীতি নয়, এটি ভবিষ্যৎ পৃথিবীর জন্য একটি স্থায়ী সমাধান। অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং পরিবেশের ভারসাম্যের মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে এই ধারণা বর্তমান প্রজন্মের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি টেকসই ও সমৃদ্ধ পৃথিবী গড়ে তোলার পথ দেখাচ্ছে।
মালিহা মেহনাজ
শিক্ষার্থী
শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা