সিলেটে প্রতি বছরের মত এবারের শীতেও মৌসুমি মাটি ব্যবসায়ীদের দৌরাতœ বেড়েছে। মাটি ব্যবসায়ী ও ইট ভাটা মালিকরা নিজেদের স্বার্থরক্ষার জন্য কৃষকদেরকে নানাভাবে প্রলুদ্ধ করছেন। মাটি বিক্রি করতে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করছেন কৃষকরা। এতে জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে। আর সেই মাটি বহনের জন্য ব্যবহৃত পেছনখোলা ট্রাক্টর চলাচলে সড়কগুলো পরিণত হচ্ছে মৃত্যুফাঁদে।
সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাটি ব্যবসায় জমজমাট হয়ে উঠছে দিন দিন। এসব এলাকায় কোন প্রকার সরকারি অনুমোদন ছাড়া পরিবর্তন করা হচ্ছে জমির শ্রেণী। কখনো গোরস্থান, মসজিদ, ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তা, নির্মাণাধীন ব্রিজ-কালভার্টে ব্যবহারের জন্য মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় উপজেলার ইলাবাজ ও পাঠানচক গ্রামের উত্তরের বিশাল এলাকা জুড়ে বিল থেকে অবাধে মাটি বিক্রির মাধ্যমে দেদারসে চলছে রমরমা বাণিজ্য। সন্ধ্যার পর থেকে ভোর রাত পর্যন্ত স্থানান্তর হচ্ছে মাটি। এতে যেমন ঝুঁকিতে পড়েছে পার্শ্ববর্তী জমিগুলো তেমনি শঙ্কা তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতার। মাটি কাটার ফলে ফসলি জমির উপরিভাগে থাকা পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে জমি হারাচ্ছে উর্বরতা। অপরদিকে বিলের ঐতিহ্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশগত বিপর্যয়ের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। ধুলোবালিতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।
একইভাবে মাটির গাড়ির চাপে ভেঙ্গে যাচ্ছে গ্রামীণ সড়ক ও কালভার্ট। পাকা সড়কগুলোতে পেছনখোলা ট্রাক্টর চলাচলে সড়কে মাটি পড়ে পিচের উপর তৈরি হচ্ছে মাটির স্তর। এসব স্থানে অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তা পরিণত হচ্ছে মৃত্যুফাঁদে। তেমনি চিত্র লক্ষ্য করা যায় সিলেট-জকিগঞ্জ প্রধান সড়কের বিভিন্ন স্থানে। সড়কে মাটি পড়ে কাঁদা ও পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। ফসলি জমি, রাস্তাঘাট ও পরিবেশের বিপর্যয় ঠেকাতে এভাবে অপরিকল্পিতভাবে মাটিকাটা বন্ধ করতে হবে ।
আব্দুর রশিদ
সিলেট।
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সিলেটে প্রতি বছরের মত এবারের শীতেও মৌসুমি মাটি ব্যবসায়ীদের দৌরাতœ বেড়েছে। মাটি ব্যবসায়ী ও ইট ভাটা মালিকরা নিজেদের স্বার্থরক্ষার জন্য কৃষকদেরকে নানাভাবে প্রলুদ্ধ করছেন। মাটি বিক্রি করতে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করছেন কৃষকরা। এতে জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে। আর সেই মাটি বহনের জন্য ব্যবহৃত পেছনখোলা ট্রাক্টর চলাচলে সড়কগুলো পরিণত হচ্ছে মৃত্যুফাঁদে।
সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাটি ব্যবসায় জমজমাট হয়ে উঠছে দিন দিন। এসব এলাকায় কোন প্রকার সরকারি অনুমোদন ছাড়া পরিবর্তন করা হচ্ছে জমির শ্রেণী। কখনো গোরস্থান, মসজিদ, ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তা, নির্মাণাধীন ব্রিজ-কালভার্টে ব্যবহারের জন্য মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় উপজেলার ইলাবাজ ও পাঠানচক গ্রামের উত্তরের বিশাল এলাকা জুড়ে বিল থেকে অবাধে মাটি বিক্রির মাধ্যমে দেদারসে চলছে রমরমা বাণিজ্য। সন্ধ্যার পর থেকে ভোর রাত পর্যন্ত স্থানান্তর হচ্ছে মাটি। এতে যেমন ঝুঁকিতে পড়েছে পার্শ্ববর্তী জমিগুলো তেমনি শঙ্কা তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতার। মাটি কাটার ফলে ফসলি জমির উপরিভাগে থাকা পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে জমি হারাচ্ছে উর্বরতা। অপরদিকে বিলের ঐতিহ্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশগত বিপর্যয়ের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। ধুলোবালিতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।
একইভাবে মাটির গাড়ির চাপে ভেঙ্গে যাচ্ছে গ্রামীণ সড়ক ও কালভার্ট। পাকা সড়কগুলোতে পেছনখোলা ট্রাক্টর চলাচলে সড়কে মাটি পড়ে পিচের উপর তৈরি হচ্ছে মাটির স্তর। এসব স্থানে অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তা পরিণত হচ্ছে মৃত্যুফাঁদে। তেমনি চিত্র লক্ষ্য করা যায় সিলেট-জকিগঞ্জ প্রধান সড়কের বিভিন্ন স্থানে। সড়কে মাটি পড়ে কাঁদা ও পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। ফসলি জমি, রাস্তাঘাট ও পরিবেশের বিপর্যয় ঠেকাতে এভাবে অপরিকল্পিতভাবে মাটিকাটা বন্ধ করতে হবে ।
আব্দুর রশিদ
সিলেট।