alt

মাটি কেটে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

: বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সিলেটে প্রতি বছরের মত এবারের শীতেও মৌসুমি মাটি ব্যবসায়ীদের দৌরাতœ বেড়েছে। মাটি ব্যবসায়ী ও ইট ভাটা মালিকরা নিজেদের স্বার্থরক্ষার জন্য কৃষকদেরকে নানাভাবে প্রলুদ্ধ করছেন। মাটি বিক্রি করতে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করছেন কৃষকরা। এতে জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে। আর সেই মাটি বহনের জন্য ব্যবহৃত পেছনখোলা ট্রাক্টর চলাচলে সড়কগুলো পরিণত হচ্ছে মৃত্যুফাঁদে।

সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাটি ব্যবসায় জমজমাট হয়ে উঠছে দিন দিন। এসব এলাকায় কোন প্রকার সরকারি অনুমোদন ছাড়া পরিবর্তন করা হচ্ছে জমির শ্রেণী। কখনো গোরস্থান, মসজিদ, ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তা, নির্মাণাধীন ব্রিজ-কালভার্টে ব্যবহারের জন্য মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় উপজেলার ইলাবাজ ও পাঠানচক গ্রামের উত্তরের বিশাল এলাকা জুড়ে বিল থেকে অবাধে মাটি বিক্রির মাধ্যমে দেদারসে চলছে রমরমা বাণিজ্য। সন্ধ্যার পর থেকে ভোর রাত পর্যন্ত স্থানান্তর হচ্ছে মাটি। এতে যেমন ঝুঁকিতে পড়েছে পার্শ্ববর্তী জমিগুলো তেমনি শঙ্কা তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতার। মাটি কাটার ফলে ফসলি জমির উপরিভাগে থাকা পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে জমি হারাচ্ছে উর্বরতা। অপরদিকে বিলের ঐতিহ্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশগত বিপর্যয়ের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। ধুলোবালিতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।

একইভাবে মাটির গাড়ির চাপে ভেঙ্গে যাচ্ছে গ্রামীণ সড়ক ও কালভার্ট। পাকা সড়কগুলোতে পেছনখোলা ট্রাক্টর চলাচলে সড়কে মাটি পড়ে পিচের উপর তৈরি হচ্ছে মাটির স্তর। এসব স্থানে অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তা পরিণত হচ্ছে মৃত্যুফাঁদে। তেমনি চিত্র লক্ষ্য করা যায় সিলেট-জকিগঞ্জ প্রধান সড়কের বিভিন্ন স্থানে। সড়কে মাটি পড়ে কাঁদা ও পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। ফসলি জমি, রাস্তাঘাট ও পরিবেশের বিপর্যয় ঠেকাতে এভাবে অপরিকল্পিতভাবে মাটিকাটা বন্ধ করতে হবে ।

আব্দুর রশিদ

সিলেট।

ছবি

দখলমুক্ত ফুটপাত চাই

ভূমিদস্যুদের প্রকোপে অতিষ্ঠ কেরানিগঞ্জবাসী

বাকৃতিতে নেই পর্যাপ্ত ডাস্টবিন

যৌতুক প্রথা: এক সামাজিক অভিশাপের নীরব বিস্তার

দেশের রাজনীতির তিন দিগন্ত

ছবি

দেশীয় মাছের বিলুপ্তি ও পুনরুদ্ধার উদ্যোগ

ছবি

নয়া জাগরণের পথে দেশের ফুটবল

শিশুদের খেলার জায়গায় স্থায়ী মঞ্চ নয়

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য

অগ্নিনির্বাপণে প্রস্তুতির ঘাটতি আমাদের বড় বিপদ

সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতনবৈষম্য দূর হবে কবে?

ছবি

নারী কৃষকের অবদান ও স্বীকৃতি

ছবি

অনিয়ন্ত্রিত বালু উত্তোলনে বাড়ছে নদীভাঙন

খেলার মাঠ নেই, হারিয়ে যাচ্ছে শৈশব ও শহরের প্রাণ

নদীমাতৃক দেশ এখন নদীহীন হওয়ার পথে

বাল্যবিবাহ রোধে দরকার সচেতনতা ও সহায়তা

বৈষম্যের স্বীকার প্রাথমিক শিক্ষক

ছবি

নরোত্তমপুর কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ, ভোগান্তিতে গ্রামীণ জনগণ

ছবি

একের পর এক কারখানা বন্ধ, টালমাটাল অর্থনীতি

রেলওয়ের টিকেট বুকিং একাউন্টে নম্বর পরিবর্তন

বাইক থেকে ইজিবাইক : নগর জীবনে গতি, ঝুঁকি ও বাস্তবতা

বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করা সময়ের দাবি

নদী বাঁচাতে হবে, জীবন বাঁচাতে হবে

ছবি

পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করুন

পারিবারিক বন্ধনের ভাঙন

উপকূলে সুপেয় পানির জন্য হাহাকার

নারী শ্রমিকের সুরক্ষা

বৃষ্টিতে অদৃশ্য ড্রেনের প্রাণঘাতী ফাঁদ

শিক্ষার্থীদের হাফভাড়া ন্যায্যতার দাবি

ফেনীর দেওয়ানগঞ্জে ময়লার পাহাড়

তাদের গল্প থেমে গেছে, কারণ আমরা আর শুনি না

দুবলার চরের রাসমেলা হতে পারে পর্যটকদের জন্য এক বিস্ময়ভ্রমণ

ছবি

খাদ্য অপচয় রোধে সচেতনতা এখন জরুরি

ছবি

জিপিএ ৫: পরিশ্রমের প্রতিবিম্ব, তবে ভবিষ্যৎ গড়ার মানদণ্ড নয়

ছবি

কোথায় হারালো বাবুই পাখি ও তাদের বাসা

ছবি

সাইবার বুলিয়িং-এর বাস্তবতা

tab

মাটি কেটে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সিলেটে প্রতি বছরের মত এবারের শীতেও মৌসুমি মাটি ব্যবসায়ীদের দৌরাতœ বেড়েছে। মাটি ব্যবসায়ী ও ইট ভাটা মালিকরা নিজেদের স্বার্থরক্ষার জন্য কৃষকদেরকে নানাভাবে প্রলুদ্ধ করছেন। মাটি বিক্রি করতে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করছেন কৃষকরা। এতে জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে। আর সেই মাটি বহনের জন্য ব্যবহৃত পেছনখোলা ট্রাক্টর চলাচলে সড়কগুলো পরিণত হচ্ছে মৃত্যুফাঁদে।

সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাটি ব্যবসায় জমজমাট হয়ে উঠছে দিন দিন। এসব এলাকায় কোন প্রকার সরকারি অনুমোদন ছাড়া পরিবর্তন করা হচ্ছে জমির শ্রেণী। কখনো গোরস্থান, মসজিদ, ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তা, নির্মাণাধীন ব্রিজ-কালভার্টে ব্যবহারের জন্য মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় উপজেলার ইলাবাজ ও পাঠানচক গ্রামের উত্তরের বিশাল এলাকা জুড়ে বিল থেকে অবাধে মাটি বিক্রির মাধ্যমে দেদারসে চলছে রমরমা বাণিজ্য। সন্ধ্যার পর থেকে ভোর রাত পর্যন্ত স্থানান্তর হচ্ছে মাটি। এতে যেমন ঝুঁকিতে পড়েছে পার্শ্ববর্তী জমিগুলো তেমনি শঙ্কা তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতার। মাটি কাটার ফলে ফসলি জমির উপরিভাগে থাকা পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে জমি হারাচ্ছে উর্বরতা। অপরদিকে বিলের ঐতিহ্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশগত বিপর্যয়ের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। ধুলোবালিতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।

একইভাবে মাটির গাড়ির চাপে ভেঙ্গে যাচ্ছে গ্রামীণ সড়ক ও কালভার্ট। পাকা সড়কগুলোতে পেছনখোলা ট্রাক্টর চলাচলে সড়কে মাটি পড়ে পিচের উপর তৈরি হচ্ছে মাটির স্তর। এসব স্থানে অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তা পরিণত হচ্ছে মৃত্যুফাঁদে। তেমনি চিত্র লক্ষ্য করা যায় সিলেট-জকিগঞ্জ প্রধান সড়কের বিভিন্ন স্থানে। সড়কে মাটি পড়ে কাঁদা ও পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। ফসলি জমি, রাস্তাঘাট ও পরিবেশের বিপর্যয় ঠেকাতে এভাবে অপরিকল্পিতভাবে মাটিকাটা বন্ধ করতে হবে ।

আব্দুর রশিদ

সিলেট।

back to top