নারী জাগরণের এই অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন জন্মগ্রহণ করেন ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর পায়রাবন্দ গ্রামে এবং ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এই হিসেবে আজ ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়ার ১৪০তম জন্মদিন ও ৮৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। প্রতি বছর ৯ ডিসেম্বর রোকেয়া দিবস পালন করা হয়ে থাকে তাকে সম্মান জানানোর জন্য। তিনি নারীদের মুক্তির জন্য যে পথ সুগম করে গেছেন তা শুধু কয়েকটি বাক্যে লিখে তার তাৎপর্য বোঝানো সম্ভব নয়। শুধু স্বল্প পরিসরে নয় বরং রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবার ব্যবস্থায় নারীর সমান অধিকারের জন্য লড়াই করেছেন বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন।
শুধু নারী জাগরণের অগ্রদূত নন, তিনি উনবিংশ শতাব্দীর খ্যাতিমান বাঙালি সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক ছিলেন।
বেগম রোকেয়ার যখন জন্ম তখন সমাজে বিরাজমান ছিল বিভিন্ন কুসংস্কার আর মেয়েদের জন্য কঠোর নিয়ম। নারীরা ছিল কঠোর নিয়মের বেড়াজালে বন্দী। তার জীবনও ব্যতিক্রম ছিল না। তিনি অত্যন্ত রক্ষণশীল ও প্রতিকূল পরিবেশে বেড়ে ওঠেন কিন্তু তিনি নিজেকে বিকশিত করেছেন এবং সেই সঙ্গে নারীদের জন্য নতুন দিগন্তের সূচনা করে গেছেন।
তার লেখনীতে তিনি নারীদের অধিকারের কথা বলেছেন। সাহিত্যিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯০২ সালে। তার প্রকাশিত রচনাগুলোর মধ্যে রয়েছে মতিচুর, সুলতানার স্বপ্ন, পদ্মরাগ, অবরোধবাসিনী ইত্যাদি। তিনি সমাজকে বোঝাতে চেয়েছেন, নারীরা কোনো অংশে কম নয় তারাও চাইলে পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে পারে। তাদেরও সমান অধিকার রয়েছে, শিক্ষা লাভের অধিকার রয়েছে। তিনি তার লেখনীর মাধ্যমে নারীবাদী চিন্তার প্রকাশ ঘটিয়েছেন।
ধর্মান্ধ সমাজে যখন নারী শিক্ষা নিষিদ্ধ ছিল তিনি তখন সমাজকে আলোর পথ দেখিয়েছেন। তার লেখনীর মাধ্যমে ধিক্কার জানিয়েছেন সেই সমাজকে যেখানে নারীদের শুধু ভোগ্যপণ্য মনে করা হয়। নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেই শিক্ষার নিগূঢ় অর্থ বুঝেছিলেন রোকেয়া তাই তিনি এ সমাজকে তা উপলব্ধি করিয়ে গেছেন। নারী শিক্ষাকে সুদূরপ্রসারী করার জন্য ভাগলপুরে প্রথম প্রতিষ্ঠা করেন সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল।
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন তাদের জন্য এক আদর্শ যারা নারীদের জন্য সংগ্রাম করে চলেছে আর সেইসব নারীদের জন্য পথপ্রদর্শক যারা আলোর পথের পথিক।
৯ ডিসেম্বর এ মহীয়সী নারীকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়। সরকারি-বেসরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করার মাধ্যমে জাতির কাছে তুলে ধরা হয় এক মহীয়সী নারীর জীবনী। এ মহীয়সী নারীর অবদানকে স্মরণ করে প্রতিটি নারী নতুন সমাজের স্বপ্ন দেখে।
ফারিয়া ইয়াসমিন
মঙ্গলবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২০
নারী জাগরণের এই অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন জন্মগ্রহণ করেন ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর পায়রাবন্দ গ্রামে এবং ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এই হিসেবে আজ ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়ার ১৪০তম জন্মদিন ও ৮৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। প্রতি বছর ৯ ডিসেম্বর রোকেয়া দিবস পালন করা হয়ে থাকে তাকে সম্মান জানানোর জন্য। তিনি নারীদের মুক্তির জন্য যে পথ সুগম করে গেছেন তা শুধু কয়েকটি বাক্যে লিখে তার তাৎপর্য বোঝানো সম্ভব নয়। শুধু স্বল্প পরিসরে নয় বরং রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবার ব্যবস্থায় নারীর সমান অধিকারের জন্য লড়াই করেছেন বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন।
শুধু নারী জাগরণের অগ্রদূত নন, তিনি উনবিংশ শতাব্দীর খ্যাতিমান বাঙালি সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক ছিলেন।
বেগম রোকেয়ার যখন জন্ম তখন সমাজে বিরাজমান ছিল বিভিন্ন কুসংস্কার আর মেয়েদের জন্য কঠোর নিয়ম। নারীরা ছিল কঠোর নিয়মের বেড়াজালে বন্দী। তার জীবনও ব্যতিক্রম ছিল না। তিনি অত্যন্ত রক্ষণশীল ও প্রতিকূল পরিবেশে বেড়ে ওঠেন কিন্তু তিনি নিজেকে বিকশিত করেছেন এবং সেই সঙ্গে নারীদের জন্য নতুন দিগন্তের সূচনা করে গেছেন।
তার লেখনীতে তিনি নারীদের অধিকারের কথা বলেছেন। সাহিত্যিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯০২ সালে। তার প্রকাশিত রচনাগুলোর মধ্যে রয়েছে মতিচুর, সুলতানার স্বপ্ন, পদ্মরাগ, অবরোধবাসিনী ইত্যাদি। তিনি সমাজকে বোঝাতে চেয়েছেন, নারীরা কোনো অংশে কম নয় তারাও চাইলে পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে পারে। তাদেরও সমান অধিকার রয়েছে, শিক্ষা লাভের অধিকার রয়েছে। তিনি তার লেখনীর মাধ্যমে নারীবাদী চিন্তার প্রকাশ ঘটিয়েছেন।
ধর্মান্ধ সমাজে যখন নারী শিক্ষা নিষিদ্ধ ছিল তিনি তখন সমাজকে আলোর পথ দেখিয়েছেন। তার লেখনীর মাধ্যমে ধিক্কার জানিয়েছেন সেই সমাজকে যেখানে নারীদের শুধু ভোগ্যপণ্য মনে করা হয়। নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেই শিক্ষার নিগূঢ় অর্থ বুঝেছিলেন রোকেয়া তাই তিনি এ সমাজকে তা উপলব্ধি করিয়ে গেছেন। নারী শিক্ষাকে সুদূরপ্রসারী করার জন্য ভাগলপুরে প্রথম প্রতিষ্ঠা করেন সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল।
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন তাদের জন্য এক আদর্শ যারা নারীদের জন্য সংগ্রাম করে চলেছে আর সেইসব নারীদের জন্য পথপ্রদর্শক যারা আলোর পথের পথিক।
৯ ডিসেম্বর এ মহীয়সী নারীকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়। সরকারি-বেসরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করার মাধ্যমে জাতির কাছে তুলে ধরা হয় এক মহীয়সী নারীর জীবনী। এ মহীয়সী নারীর অবদানকে স্মরণ করে প্রতিটি নারী নতুন সমাজের স্বপ্ন দেখে।
ফারিয়া ইয়াসমিন