টেকসই উন্নয়নের যুগে এসে ব্যাংকগুলো আসলে পরিবেশ, গ্রিন হাউস ইফেক্ট, পরিবেশ দূষণ, প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার ব্যাপারে ভাবতে শুরু করেছে। এ ভাবনা থেকেই সবুজ ব্যাংকিং ধারণার ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংক পরিবেশগত ও সামাজিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন ও অর্থায়নের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য নৈতিক ভূমিকা পালন করে।
সবুজ ব্যাংকিং হচ্ছে সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতামূলক সচেতন ব্যাংকিং যেখানে প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার হবে কম এবং ব্যাংকিং কার্যক্রম হবে পরিবেশবান্ধব। সরকার সাধারণ মানুষকে সবুজ ব্যাংকিং অনুশীলন সম্পর্কে উৎসাহিত করতে পারে। সরকারের উচিত আমাদের পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে সবুজ ব্যাংকিং চর্চার ক্ষেত্রে উদ্যোগ গ্রহণ করা। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক সবুজ ব্যাংকিংয়ের জন্য নীতিমালা সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করেছে। নির্দেশিকা অনুসারে, সমস্ত অপারেটিং ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে দেশে পরিবেশবান্ধব ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়। এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের সবুজ ব্যাংকিং পলিসিতে, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিপর্যয়ের জন্য বিশেষ ফান্ডের ব্যবস্থা করতে হবে এবং এ ধরনের ফান্ডের জন্য অতিরিক্ত কোনো প্রিমিয়াম ধার্য করা যাবে না; এ বিষয়েও গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
ব্যাংক শুধুমাত্র একটি ফিন্যান্সিয়াল অর্গানাইজেশন হবে এ ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিবেশ ও মানুষকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য সবুজ ব্যাংকিংয়ের বিকল্প নেই। সবুজ ব্যাংকিংয়ের অনুশীলন ব্যবসার মালিকদের তাদের ব্যবসা পরিবর্তন করে পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করবে, যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভালো। সুতরাং বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সবুজ ব্যাংকিংয়ের গুরুত্ব অপরিসীম।
তৌহিদা আফরোজ তানি
মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১
টেকসই উন্নয়নের যুগে এসে ব্যাংকগুলো আসলে পরিবেশ, গ্রিন হাউস ইফেক্ট, পরিবেশ দূষণ, প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার ব্যাপারে ভাবতে শুরু করেছে। এ ভাবনা থেকেই সবুজ ব্যাংকিং ধারণার ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংক পরিবেশগত ও সামাজিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন ও অর্থায়নের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য নৈতিক ভূমিকা পালন করে।
সবুজ ব্যাংকিং হচ্ছে সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতামূলক সচেতন ব্যাংকিং যেখানে প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার হবে কম এবং ব্যাংকিং কার্যক্রম হবে পরিবেশবান্ধব। সরকার সাধারণ মানুষকে সবুজ ব্যাংকিং অনুশীলন সম্পর্কে উৎসাহিত করতে পারে। সরকারের উচিত আমাদের পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে সবুজ ব্যাংকিং চর্চার ক্ষেত্রে উদ্যোগ গ্রহণ করা। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক সবুজ ব্যাংকিংয়ের জন্য নীতিমালা সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করেছে। নির্দেশিকা অনুসারে, সমস্ত অপারেটিং ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে দেশে পরিবেশবান্ধব ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়। এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের সবুজ ব্যাংকিং পলিসিতে, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিপর্যয়ের জন্য বিশেষ ফান্ডের ব্যবস্থা করতে হবে এবং এ ধরনের ফান্ডের জন্য অতিরিক্ত কোনো প্রিমিয়াম ধার্য করা যাবে না; এ বিষয়েও গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
ব্যাংক শুধুমাত্র একটি ফিন্যান্সিয়াল অর্গানাইজেশন হবে এ ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিবেশ ও মানুষকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য সবুজ ব্যাংকিংয়ের বিকল্প নেই। সবুজ ব্যাংকিংয়ের অনুশীলন ব্যবসার মালিকদের তাদের ব্যবসা পরিবর্তন করে পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করবে, যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভালো। সুতরাং বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সবুজ ব্যাংকিংয়ের গুরুত্ব অপরিসীম।
তৌহিদা আফরোজ তানি