alt

পাঠকের চিঠি

শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন স্কেল বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে

: মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১

শিক্ষকদের বলা হয় মানুষ গড়ার কারিগর। এ মানুষ গড়ার কারিগররা আজ রাষ্ট্রে সবচেয়ে অবহেলিত এবং মারাত্মক বেতন বৈষম্যের শিকার। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বিশেষ করে ইনডেক্সধারী শিক্ষকগণ বিএড স্কেল ও উচ্চতর স্কেল এছাড়া পদোন্নতিপ্রাপ্ত শিক্ষকগণের পূর্বে প্রাপ্ত ইনক্রিমেন্ট কেটে রাখা হচ্ছে। একই সাথে পদোন্নতিপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ ৫ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। যার ফলে তাঁদের প্রাপ্ত বেতনও অন্যান্য শিক্ষকদের তুলনায় কমে যাচ্ছে। আমাদের দেশের প্রায় ৯৭ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেসরকারি, এর বেশির ভাগই আবার এমপিওভুক্ত। উন্নত দেশগুলোতে যেখানে শিক্ষকদের বেতন-ভাতাদি সন্তোষজনক, সেখানে আমাদের দেশে শিক্ষকদের বেতনভাতা সরকারি অফিসের একজন ছোট পদধারির চেয়েও কম; যা দিয়ে বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে চলা অত্যন্ত কষ্টকর। অথচ ২০১০ সালে প্রণীত জাতীয় শিক্ষানীতিতে সব স্তরের শিক্ষকদের জন্য পৃথক বেতন কাঠামো করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সরকার আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে সেটি বাস্তবায়ন করছে না।

শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া মাত্র এক হাজার টাকা যা দিয়ে বাড়িভাড়া তো দূরে থাক, বর্তমানে একটি কুঁড়েঘরও ভাড়া পাওয়া যায় না। চিকিৎসাভাতা দেওয়া হয় মাত্র ৫০০ টাকা অথচ বর্তমানে একজন সিনিয়র ডাক্তার দেখানো ফি জনপ্রতি ৫০০-৬০০ টাকা; এর সঙ্গে আছে বিভিন্ন ধরনের টেস্ট, তারপর আছে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ কেনা। উৎসবভাতা কর্মচারীরা পায় বেসিকের ৫০ শতাংশ আর শিক্ষকরা পায় মাত্র ২৫ শতাংশ। একই দেশে দুই ধরনের নিয়ম কেন? শিক্ষকরা যদি অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়েন তাহলে তারা কীভাবে ক্লাসে মন দেবেন? কারণ মাথায় অর্থাভাবের চিন্তা নিয়ে পরিপূর্ণ পাঠদান করা সম্ভব নয়। দেশে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষকদের ভালো বেতন দেওয়ার বিকল্প নেই।

সুতরাং সর্বস্তরের শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল চালু করে অবহেলিত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দুঃখ-দুর্দশা দূর করার জন্য বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকারের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।

মো. মোশতাক মেহেদী

চিঠি : উচ্চশব্দে মাইক বাজানো বন্ধ হোক

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিন

প্রাথমিকে হিসাব রক্ষক নিয়োগ দিন

আবারও রক্তে রঞ্জিত রাস্তা, নেই কঠোর ব্যবস্থা

ছবি

ওমিক্রন : দরকার সর্বোচ্চ সচেতনতা

ভুলে যাওয়ার রোগ

চান্স পাওয়াই সামগ্রিক সফলতা নয়

ইউপি নির্বাচনে ইসিকে কঠোর হতে হবে

পিটিআই ইন্সট্রাক্টর প্রসঙ্গে

ছবি

অনলাইন কেনাকাটায় প্রতারণা বন্ধ হবে কবে?

ছবি

পোলট্রি ফিডের দাম

কর্মমুখী শিক্ষা

বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা

পেট্রল-অকটেনের দাম নিয়ে গুজব

জীবনের সেরা উপহার

শীতে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ান

ছবি

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রভাব

পায়রা সেতুর টোল

গ্রামে ইন্টারনেট সেবা বাড়ান

লবলং কি দখল-দূষণমুক্ত হবে না?

আকাশে ডানা মেলে কতদূর অতিথি পাখি

মাটির প্রদীপ

লেজার রশ্মি সচেতনতা জরুরি

কিশোর অপরাধ রুখতে সামাজিক দায়বদ্ধতা

অনলাইনে সব রেলস্টেশনের নাম যোগ করুন

ছবি

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা

চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়া বন্ধ হোক

ঢাকা-ময়মনসিংহ পূর্ব বাইপাসের নিরাপত্তা

একই সময়ে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষা কাম্য নয়

হামলা ও ধর্ষণ

দখল-দূষণে বিপর্যস্ত সুতাং নদী

খেলার মাঠ ও পার্ক রক্ষা করতে হবে

বিষ দিয়ে মাছ শিকার নয়

ছবি

ক্রিকেটারদের নিয়ে ট্রল

ড্রেনে নেই ঢাকনা বিপাকে পথচারী

করোনা মোকাবিলা আগামীর প্রস্তুতি

tab

পাঠকের চিঠি

শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন স্কেল বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে

মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১

শিক্ষকদের বলা হয় মানুষ গড়ার কারিগর। এ মানুষ গড়ার কারিগররা আজ রাষ্ট্রে সবচেয়ে অবহেলিত এবং মারাত্মক বেতন বৈষম্যের শিকার। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বিশেষ করে ইনডেক্সধারী শিক্ষকগণ বিএড স্কেল ও উচ্চতর স্কেল এছাড়া পদোন্নতিপ্রাপ্ত শিক্ষকগণের পূর্বে প্রাপ্ত ইনক্রিমেন্ট কেটে রাখা হচ্ছে। একই সাথে পদোন্নতিপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ ৫ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। যার ফলে তাঁদের প্রাপ্ত বেতনও অন্যান্য শিক্ষকদের তুলনায় কমে যাচ্ছে। আমাদের দেশের প্রায় ৯৭ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেসরকারি, এর বেশির ভাগই আবার এমপিওভুক্ত। উন্নত দেশগুলোতে যেখানে শিক্ষকদের বেতন-ভাতাদি সন্তোষজনক, সেখানে আমাদের দেশে শিক্ষকদের বেতনভাতা সরকারি অফিসের একজন ছোট পদধারির চেয়েও কম; যা দিয়ে বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে চলা অত্যন্ত কষ্টকর। অথচ ২০১০ সালে প্রণীত জাতীয় শিক্ষানীতিতে সব স্তরের শিক্ষকদের জন্য পৃথক বেতন কাঠামো করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সরকার আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে সেটি বাস্তবায়ন করছে না।

শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া মাত্র এক হাজার টাকা যা দিয়ে বাড়িভাড়া তো দূরে থাক, বর্তমানে একটি কুঁড়েঘরও ভাড়া পাওয়া যায় না। চিকিৎসাভাতা দেওয়া হয় মাত্র ৫০০ টাকা অথচ বর্তমানে একজন সিনিয়র ডাক্তার দেখানো ফি জনপ্রতি ৫০০-৬০০ টাকা; এর সঙ্গে আছে বিভিন্ন ধরনের টেস্ট, তারপর আছে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ কেনা। উৎসবভাতা কর্মচারীরা পায় বেসিকের ৫০ শতাংশ আর শিক্ষকরা পায় মাত্র ২৫ শতাংশ। একই দেশে দুই ধরনের নিয়ম কেন? শিক্ষকরা যদি অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়েন তাহলে তারা কীভাবে ক্লাসে মন দেবেন? কারণ মাথায় অর্থাভাবের চিন্তা নিয়ে পরিপূর্ণ পাঠদান করা সম্ভব নয়। দেশে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষকদের ভালো বেতন দেওয়ার বিকল্প নেই।

সুতরাং সর্বস্তরের শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল চালু করে অবহেলিত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দুঃখ-দুর্দশা দূর করার জন্য বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকারের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।

মো. মোশতাক মেহেদী

back to top