করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ ছিল। বর্তমানে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় তড়িঘড়ি করে একই সময়ে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছে সরকারি চাকরিপ্রত্যাশী বেকার যুবক-যুবতীরা। একই দিনে, একই সময়ে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষা থাকায় তারা কোনটা রেখে কোন পরীক্ষাটা দিবে তা নিয়ে বেশ দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ যাবত একই সময়ে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফলে দেখা যাচ্ছে যে, একজন আবেদনকারীর একাধিক নিয়োগ পরীক্ষা থাকলেও তাকে বাধ্য হয়ে যে কোনো একটি নিয়োগ পরীক্ষায় দিতে হচ্ছে। সব পরীক্ষা দিতে না পারায় বেকারদের চাকরির সুযোগ সংকুচিত হওয়ার পাশাপাশি অনেক টাকা-পয়সাও গচ্চা যাচ্ছে।
একজন প্রার্থী ভালো একটি চাকরি পাওয়ার আশায় একাধিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করে থাকেন। প্রতিষ্ঠানভেদে দ্বিতীয় ও প্রথম শ্রেণীর একেকটি পদে আবেদন ফি বাবদ ৫০০-১০০০ টাকা নেয়া হয়। এত টাকা-পয়সা দিয়ে আবেদন করেও একজন বেকার যখন পরীক্ষা দিতে পারে না তখন তার দুঃখ-কষ্টের সীমা থাকে না। নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে সমন্বয়হীনতার কারণে মূলত-এ সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে। নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যদি কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বয় করে পরীক্ষার তারিখ ও সময় ঘোষণা করতো তাহলে এমনটি হতো না। এতে করে আবেদনকারী, রাষ্ট্র ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান উভয়ই লাভবান হতো। আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বেকারদের এ সমস্যাটি ভেবে দেখবে।
আশরাফুল ইসলাম
মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১
করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ ছিল। বর্তমানে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় তড়িঘড়ি করে একই সময়ে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছে সরকারি চাকরিপ্রত্যাশী বেকার যুবক-যুবতীরা। একই দিনে, একই সময়ে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষা থাকায় তারা কোনটা রেখে কোন পরীক্ষাটা দিবে তা নিয়ে বেশ দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ যাবত একই সময়ে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফলে দেখা যাচ্ছে যে, একজন আবেদনকারীর একাধিক নিয়োগ পরীক্ষা থাকলেও তাকে বাধ্য হয়ে যে কোনো একটি নিয়োগ পরীক্ষায় দিতে হচ্ছে। সব পরীক্ষা দিতে না পারায় বেকারদের চাকরির সুযোগ সংকুচিত হওয়ার পাশাপাশি অনেক টাকা-পয়সাও গচ্চা যাচ্ছে।
একজন প্রার্থী ভালো একটি চাকরি পাওয়ার আশায় একাধিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করে থাকেন। প্রতিষ্ঠানভেদে দ্বিতীয় ও প্রথম শ্রেণীর একেকটি পদে আবেদন ফি বাবদ ৫০০-১০০০ টাকা নেয়া হয়। এত টাকা-পয়সা দিয়ে আবেদন করেও একজন বেকার যখন পরীক্ষা দিতে পারে না তখন তার দুঃখ-কষ্টের সীমা থাকে না। নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে সমন্বয়হীনতার কারণে মূলত-এ সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে। নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যদি কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বয় করে পরীক্ষার তারিখ ও সময় ঘোষণা করতো তাহলে এমনটি হতো না। এতে করে আবেদনকারী, রাষ্ট্র ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান উভয়ই লাভবান হতো। আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বেকারদের এ সমস্যাটি ভেবে দেখবে।
আশরাফুল ইসলাম