alt

পাঠকের চিঠি

বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা

: মঙ্গলবার, ০৯ নভেম্বর ২০২১

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মতো আজকাল সাংবাদিকতাও দোকানে দোকানে পাওয়া যাচ্ছে। যে দোকানের মালিক একেকজন স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতাকে অবৈধ পথে পরিচালনা করছে। যার ফলে সৃষ্টি হচ্ছে সামাজিক অস্থিরতা ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা।

যে হারে সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও অনলাইন মাধ্যম বাড়ছে সেই হারে সাংবাদিকতার মান বাড়ছে না। সাংবাদিকতার নামে ভুরি ভুরি সংগঠন খুলে একটি শ্রেণি যেন সংবাদিক তৈরির ব্যবসা খুলে বসেছে। তাদের এই অবৈধ কর্মকা-ের ফলে সৃষ্টি হয়েছে চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্য। সাংবাদিকতার মতো মহৎ এই পেশাকে করা হচ্ছে কলুষিত। সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। যে পেশা মানুষকে সচেতনতার পাশাপাশি আদর্শ ও নীতিবান করে গড়ে তোলে। তবে এ কথা ঠিক যে অসৎ ও কূটবুদ্ধির কাছে কখনও কখনও নীতি-নৈতিকতাও হার মানে। রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা নিজেদের স্বার্থে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম গড়ে তুলছেন এবং পছন্দ মতো সংবাদকর্মী নিয়োগ দিচ্ছেন। নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে কোন্দল সৃষ্টি করাই যাদের মূল উদ্দেশ্য।

পেশাদারী সাংবাদিকতায় যুক্ত থেকেও অনেক মফস্বল সাংবাদিক তাদের পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না। বিভাগীয় শহরগুলোতে কাজ করা সংবাদকর্মীরা বেতন ভাতা পেলেও জেলা, উপজেলা পর্যায়ের অধিকাংশই পাচ্ছেন না। অথচ রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় নামধারীরা সাংবাদিক পরিচয়ে অবৈধ পন্থায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করে নিচ্ছে। আবার অনেক পেশাদার সাংবাদিক বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে যাচ্ছেন।

আজ দেশের সাংবাদিকতা চরম বিপাকে। গণমাধ্যম সম্পর্কে মানুষের মনে নেতিবাচক ধারণার জন্ম হচ্ছে। দুর্নীতি আজ গণমাধ্যম পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করেছে। তাই সাংবাদিকতাকে যারা কলুষিত করেছে বা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। পেশাদারি সাংবাদিকতায় যুক্ত সংবাদকর্মীদের সনদ প্রদান করা হোক। এতে করে আর কেউ সাংবাদিকতার পরিচয়ে নিজেদের অসাধু উদ্দেশ্য সাধন করতে পারবে না।

ইমন ইসলাম

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ প্রতিকার প্রসঙ্গে

কুষ্টিয়ায় শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয় চাই

এসআই ও সার্জেন্ট নিয়োগে বয়সসীমা বাড়ানো হোক

ছবি

স্কাউটে আছে আনন্দের জগৎ

সম্মাননা স্মারক কি শুধুই একটি শব্দ

মোবাইল আসক্তি

খেলাপি ঋণ আদায়ে পদক্ষেপ নিন

বই হোক প্রকৃত বন্ধু

ছবি

তীব্র তাপপ্রবাহে সচেতনতা জরুরি

ব্রিজ চাই

প্রসঙ্গ : পরিযায়ী পাখি

ছবি

পরিকল্পিতভাবে গাছ লাগাতে হবে

ছবি

গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং কমাতে হবে

কেন এত আত্মহত্যা

দুর্নীতি বন্ধ হবে কবে

ছবি

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

পিতা-মাতার স্থান হোক সন্তানের কাছে, বৃদ্ধাশ্রমে নয়

ছবি

ট্রেনের বিলম্বে যাত্রীদের দুর্ভোগ

অভিনব কৌশলে প্রতারণা

ট্রেনে ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করা হোক

ঈদে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে তৎপর হতে হবে

পথশিশুদের পাশে দাঁড়ান

ছবি

অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হোক

ছবি

অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

ঈদযাত্রা হোক ভোগান্তিমুক্ত

আত্মহত্যা সমাধান নয়

বেকারত্ব দূর করতে ব্যবস্থা নিতে হবে

ছবি

মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরবাসী

কোচিং ব্যবসা আর কত?

কর্মক্ষেত্রে নারীর অধিকার

ছবি

সময়সূচি মেনে চলুক ট্রেন

ছবি

উপকূলীয় বন রক্ষা করুন

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নির্যাতন

রাবিতে মশার উপদ্রব

ছবি

চমেক হাসপাতালে নিরাপত্তা চাই

নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর হোক

tab

পাঠকের চিঠি

বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা

মঙ্গলবার, ০৯ নভেম্বর ২০২১

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মতো আজকাল সাংবাদিকতাও দোকানে দোকানে পাওয়া যাচ্ছে। যে দোকানের মালিক একেকজন স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতাকে অবৈধ পথে পরিচালনা করছে। যার ফলে সৃষ্টি হচ্ছে সামাজিক অস্থিরতা ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা।

যে হারে সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও অনলাইন মাধ্যম বাড়ছে সেই হারে সাংবাদিকতার মান বাড়ছে না। সাংবাদিকতার নামে ভুরি ভুরি সংগঠন খুলে একটি শ্রেণি যেন সংবাদিক তৈরির ব্যবসা খুলে বসেছে। তাদের এই অবৈধ কর্মকা-ের ফলে সৃষ্টি হয়েছে চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্য। সাংবাদিকতার মতো মহৎ এই পেশাকে করা হচ্ছে কলুষিত। সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। যে পেশা মানুষকে সচেতনতার পাশাপাশি আদর্শ ও নীতিবান করে গড়ে তোলে। তবে এ কথা ঠিক যে অসৎ ও কূটবুদ্ধির কাছে কখনও কখনও নীতি-নৈতিকতাও হার মানে। রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা নিজেদের স্বার্থে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম গড়ে তুলছেন এবং পছন্দ মতো সংবাদকর্মী নিয়োগ দিচ্ছেন। নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে কোন্দল সৃষ্টি করাই যাদের মূল উদ্দেশ্য।

পেশাদারী সাংবাদিকতায় যুক্ত থেকেও অনেক মফস্বল সাংবাদিক তাদের পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না। বিভাগীয় শহরগুলোতে কাজ করা সংবাদকর্মীরা বেতন ভাতা পেলেও জেলা, উপজেলা পর্যায়ের অধিকাংশই পাচ্ছেন না। অথচ রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় নামধারীরা সাংবাদিক পরিচয়ে অবৈধ পন্থায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করে নিচ্ছে। আবার অনেক পেশাদার সাংবাদিক বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে যাচ্ছেন।

আজ দেশের সাংবাদিকতা চরম বিপাকে। গণমাধ্যম সম্পর্কে মানুষের মনে নেতিবাচক ধারণার জন্ম হচ্ছে। দুর্নীতি আজ গণমাধ্যম পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করেছে। তাই সাংবাদিকতাকে যারা কলুষিত করেছে বা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। পেশাদারি সাংবাদিকতায় যুক্ত সংবাদকর্মীদের সনদ প্রদান করা হোক। এতে করে আর কেউ সাংবাদিকতার পরিচয়ে নিজেদের অসাধু উদ্দেশ্য সাধন করতে পারবে না।

ইমন ইসলাম

back to top