alt

প্রথম নারী

প্রথম নারী উপাচার্য

: বুধবার, ১০ মার্চ ২০২১

অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য। ১৯৮৬ সালে এ বিশ্বাবিদ্যালয়ে যোগদানের আগে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন কিছুদিন।

বাবা আবদুল কাদের ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। মা ফাতেমা খাতুন। ফারজানা ইসলামের জন্ম ১৯৫৮ সালের ২৫ ডিসেম্বর ঢাকায়। তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলায়।

নারী-পুরুষের সামাজিক সম্পর্ক, পরিবার-বিয়ে এবং সামাজিক অসমতা অধ্যাপক ফারাজানা ইসলামের গবেষণা ও শিক্ষকতার মূল আগ্রহের বিষয়। শ্রেণীকক্ষে পাঠদান, লেখালেখি ও গবেষণার মধ্য দিয়ে তিনি সামাজিক প্রতিষ্ঠান, প্রাত্যহিকচর্চা, প্রথা ও ব্যবস্থার মধ্যে অসঙ্গতি এবং বৈষম্যমূলক দিকগুলো সম্পর্কে গভীরতর উপলব্ধি তৈরিতে অবদান রাখাই তার লক্ষ্য।

অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম সামাজিক গবেষণার নানা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি নগর দারিদ্র্য, ইনফরমাল সেক্টরে নিয়োজিত নারী শ্রমিক, গ্রামীণ হতদরিদ্র গৃহস্থালি, শিশুশ্রম, শিশুর প্রতি যৌন নিগ্রহ ও শিশুপাচার, নারীর প্রতি সহিংসতার অবসান, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অবস্থান ও অধিকার প্রভৃতি বিষয়ে গবেষণা করেছেন।

আগামী বছরের ২ মার্চ উপাচার্যের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাবেন বলে জানান অধ্যাপক ফারজানা। এরপর তার আরও দুই বছর শিক্ষকতা করার সুযোগ থাকছে। শিক্ষকতার পাশাপাশি গবেষণা, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, বঞ্চিত ও অবহেলিত নারীদের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে তার।

tab

প্রথম নারী

প্রথম নারী উপাচার্য

বুধবার, ১০ মার্চ ২০২১

অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য। ১৯৮৬ সালে এ বিশ্বাবিদ্যালয়ে যোগদানের আগে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন কিছুদিন।

বাবা আবদুল কাদের ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। মা ফাতেমা খাতুন। ফারজানা ইসলামের জন্ম ১৯৫৮ সালের ২৫ ডিসেম্বর ঢাকায়। তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলায়।

নারী-পুরুষের সামাজিক সম্পর্ক, পরিবার-বিয়ে এবং সামাজিক অসমতা অধ্যাপক ফারাজানা ইসলামের গবেষণা ও শিক্ষকতার মূল আগ্রহের বিষয়। শ্রেণীকক্ষে পাঠদান, লেখালেখি ও গবেষণার মধ্য দিয়ে তিনি সামাজিক প্রতিষ্ঠান, প্রাত্যহিকচর্চা, প্রথা ও ব্যবস্থার মধ্যে অসঙ্গতি এবং বৈষম্যমূলক দিকগুলো সম্পর্কে গভীরতর উপলব্ধি তৈরিতে অবদান রাখাই তার লক্ষ্য।

অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম সামাজিক গবেষণার নানা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি নগর দারিদ্র্য, ইনফরমাল সেক্টরে নিয়োজিত নারী শ্রমিক, গ্রামীণ হতদরিদ্র গৃহস্থালি, শিশুশ্রম, শিশুর প্রতি যৌন নিগ্রহ ও শিশুপাচার, নারীর প্রতি সহিংসতার অবসান, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অবস্থান ও অধিকার প্রভৃতি বিষয়ে গবেষণা করেছেন।

আগামী বছরের ২ মার্চ উপাচার্যের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাবেন বলে জানান অধ্যাপক ফারজানা। এরপর তার আরও দুই বছর শিক্ষকতা করার সুযোগ থাকছে। শিক্ষকতার পাশাপাশি গবেষণা, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, বঞ্চিত ও অবহেলিত নারীদের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে তার।

back to top