এ এইচ এম জহিরুল ইসলাম
যারা বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ নুরুল ইসলামের ‘বাংলাদেশ: মেকিং অব এ ন্যাশন’ পড়েছেন তারা জানেন- এক দেশ দুই অর্থনীতির কথা প্রথম তুলে ধরা হয়েছিল ১৯৫৬ সালের ১ সেপেটম্বর পাকিস্তান প্ল্যানিং কমিশনের কাছে দেওয়া প্রতিবেদনে, আবার রেহমান সোবহানের ‘From two economies to two nations , My journey to Bangladesh’ পড়েছেন তারাও জানেন ১৯৬১ সালে বিলেত ফেরত অর্থনীতিবিদ ‘ এক দেশ দুই অর্থনীতির তত্ত্ব তুলে হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন। পাশাপাশি চলছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক গণজাগরণ। কেমন করে নুরুল ইসলাম বা রেহমান সোবহান স্যারদের তুলে ধরা বৈষম্যের অর্থনীতি বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলনের দাবী ‘ছয়দফা’য় এসেছিল তাও আমরা জানতে পারি- বই দুটো থেকে। এই ছয় দফা নিয়ে শোষিতের পক্ষ নিয়ে নিপীড়িত মানুষের মুক্তির নায়ক বঙ্গবন্ধু এগিয়ে যাচ্ছিলেন ক্রমশ। তার ছয় দফা ছিল অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ের সাথে বৈষ্যমের অর্থনীতি থেকে গণমানুষের অর্থনীতিতে রূপান্তর করা। সেই ছয়দফা থেকে স্বাধীনতা,স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর গণমানুষ সম্পৃক্ত অর্থনীতি একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ যাকে বলা হতো তলাবিহীন ঝুড়ি তা থেকে আজকের এলডিসি উত্তরণ, জানতে হলে বুঝতে হবে বঙ্গবন্ধুকে, তাঁর রাষ্ট্র চিন্তাকে। বঙ্গবন্ধুর গণসম্পৃক্ত অর্থনীতি নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নারের’ নন্দিত উদ্ভাবক মোহম্মদ শামস্-উল ইসলাম এমডি এবং সিইও, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড লিখেছেন ‘গণমানুষের অর্থনীতি ও বঙ্গবন্ধু’। গণমানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি নিয়ে বঙ্গবন্ধু কীভাবে ভেবেছেন, তার ভাবনাগুলো কীভাবে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন, ‘গণমানুষের অর্থনীতি ও বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থে উপস্থাপিত ঐতিহাসিক তথ্য, বিশ্লেষণ, বিবরণী থেকে বোঝা যাবে সহজে। পাঁচ অধ্যায়ে বিন্যাসিত প্রথম অধ্যায়ে বাংলার ঐতিহাসিক পটভূমি, ঔপনিবেশিক শাসনামলে গণমানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা,পাকিস্তানের স্বাধীনতা ও পূর্ব বাংলার অর্থনৈতিক বৈষম্য নিয়ে একটি ঐতিহাসিক যৌক্তিক বিশ্লেষণ করেছেন লেখক। ঔপনিবেশিক অপশাসকদের শাসনামলে গণমানুষের অর্থনৈতিক দুরবস্থা, পাকিস্তান আমলে বৈষম্য এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরে পরবর্তী অধ্যায়গুলোর প্রেক্ষাপট তৈরি করার প্রয়াস পেয়েছেন। দ্বিতীয় অধ্যায় ‘বৈষম্যহীন অর্থনীতি বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু’। এ অধ্যায়ে তৃণমূল মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক ভাবনা, দর্শন, বৈষম্যহীন অর্থনীতি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর কর্মপ্রণালি তুলে ধরা হয়েছে। প্রান্তের মানুষের জন্য সমবায় গঠনের মাধ্যমে তৃণমূলের সম্মিলিত শক্তির মাধ্যমে জীবনমান উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর কর্মসূচি তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করেছেন। তৃতীয় অধ্যায়ে আবহমান বাংলার কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি কাঠামো তুলে ধরে কৃষির বিকাশে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও সুদূরপ্রসারী চিন্তার প্রতি আলোকপাত করেছেন লেখক। পাশাপাশি কৃষি ও শিল্প যে একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ এবং কৃষিসংলগ্ন শিল্প বিকাশে বঙ্গবন্ধুর অনুধাবন, পরিকল্পনা আলোচনায় আনা হয়েছে। চতুর্থ অধ্যায়ে স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর জাতীয়করণ কর্মসূচি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি বৈরী পরিবেশে টেকসই অর্থনীতির ভিত্তি বিনির্মাণে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের জাতীয়করণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে কীভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবার পরিকল্পনা বঙ্গবন্ধুর ছিল তা তুলে ধরার প্রয়াস লক্ষ্য করা যায়। পাকিস্তান আমলে গড়ে তোলা পুজিবাদীদের থাবা আর যাতে বাংলার মানুষকে বঞ্চিত না করে, কৃষক-শ্রমিকের রক্ত পূর্বের মতো শোষণ না করতে পারার বিষয়টি বঙ্গবন্ধুর জাতীয়করণ কর্মসূচীর মূল লক্ষ্য ছিল। আলোচনা ও বিশ্লেষণে তা উঠে এসেছে। পঞ্চম অধ্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’ নিয়ে চিন্তা জাগানিয়া একটি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। স্বাধীন দেশে প্রতিক্রিয়াশীল চক্র দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য তাদের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে ক্রমশ তখনই বঙ্গবন্ধু দিয়েছিল দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক। রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বাস্তবতায় দ্বিতীয় বিপ্লবের কেন প্রয়োজন ছিল তার গুরুত্বপূর্ণ বিবরণ, বিশ্লেষণ লিপিবদ্ধ করেছেন লেখক। দুর্নীতি ও অসহযোগিতা স্বাধীন দেশকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছিল তখন কৃষক-শ্রমিক, জনসাধারণকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়ার একটি সাহসী উদ্যোগ নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর এই সাহসী উদ্যোগকে লেখক নাম দিয়েছেন ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’। এ দ্বিতীয় বিপ্লবের মাধ্যমে তিনি (বঙ্গবন্ধু) চেয়েছিলেন বাংলার সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জসমূহকে মোকাবিলা করার জন্য। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস তার আগেই বঙ্গবন্ধু সপরিবারে শহীদ হন ঘাতকচক্রের হাতে।
বঙ্গবন্ধু আমাদের কাছে হিমালয়সম, তার উচ্চতাকে ধারণ করে অর্থনৈতিক ভাবনাকে দুই মলাটে এনে গ্রন্থভুক্ত করার একটি শ্রমসাধ্য কাজ করেছেন লেখক মোহম্মদ শামস্-উল ইসলাম। বইটি পাঠ করে পাঠক, গবেষক, বিশ্লেষক, লেখক, ঐতিহাসিক উপকৃত হবেন বলে আশা করি।
বইটির প্রচ্ছদ চমৎকার। তবে খুব সামান্যই সাধু, চলিত মিশ্রণ দেখা গেছে। পরবর্তী সংস্করণে আশা করি তা সংশোধন করা হবে।
গণমানুষের অর্থনীতি ও বঙ্গবন্ধু। প্রকাশক : আলোঘর প্রকাশনী। প্রচ্ছদ : শতাব্দী জাহিদ। প্রকাশকাল : অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২১। দাম: ৩৫০ টাকা।
পৃষ্ঠা: ১৭৫।
এ এইচ এম জহিরুল ইসলাম
বৃহস্পতিবার, ০৮ জুলাই ২০২১
যারা বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ নুরুল ইসলামের ‘বাংলাদেশ: মেকিং অব এ ন্যাশন’ পড়েছেন তারা জানেন- এক দেশ দুই অর্থনীতির কথা প্রথম তুলে ধরা হয়েছিল ১৯৫৬ সালের ১ সেপেটম্বর পাকিস্তান প্ল্যানিং কমিশনের কাছে দেওয়া প্রতিবেদনে, আবার রেহমান সোবহানের ‘From two economies to two nations , My journey to Bangladesh’ পড়েছেন তারাও জানেন ১৯৬১ সালে বিলেত ফেরত অর্থনীতিবিদ ‘ এক দেশ দুই অর্থনীতির তত্ত্ব তুলে হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন। পাশাপাশি চলছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক গণজাগরণ। কেমন করে নুরুল ইসলাম বা রেহমান সোবহান স্যারদের তুলে ধরা বৈষম্যের অর্থনীতি বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলনের দাবী ‘ছয়দফা’য় এসেছিল তাও আমরা জানতে পারি- বই দুটো থেকে। এই ছয় দফা নিয়ে শোষিতের পক্ষ নিয়ে নিপীড়িত মানুষের মুক্তির নায়ক বঙ্গবন্ধু এগিয়ে যাচ্ছিলেন ক্রমশ। তার ছয় দফা ছিল অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ের সাথে বৈষ্যমের অর্থনীতি থেকে গণমানুষের অর্থনীতিতে রূপান্তর করা। সেই ছয়দফা থেকে স্বাধীনতা,স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর গণমানুষ সম্পৃক্ত অর্থনীতি একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ যাকে বলা হতো তলাবিহীন ঝুড়ি তা থেকে আজকের এলডিসি উত্তরণ, জানতে হলে বুঝতে হবে বঙ্গবন্ধুকে, তাঁর রাষ্ট্র চিন্তাকে। বঙ্গবন্ধুর গণসম্পৃক্ত অর্থনীতি নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নারের’ নন্দিত উদ্ভাবক মোহম্মদ শামস্-উল ইসলাম এমডি এবং সিইও, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড লিখেছেন ‘গণমানুষের অর্থনীতি ও বঙ্গবন্ধু’। গণমানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি নিয়ে বঙ্গবন্ধু কীভাবে ভেবেছেন, তার ভাবনাগুলো কীভাবে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন, ‘গণমানুষের অর্থনীতি ও বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থে উপস্থাপিত ঐতিহাসিক তথ্য, বিশ্লেষণ, বিবরণী থেকে বোঝা যাবে সহজে। পাঁচ অধ্যায়ে বিন্যাসিত প্রথম অধ্যায়ে বাংলার ঐতিহাসিক পটভূমি, ঔপনিবেশিক শাসনামলে গণমানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা,পাকিস্তানের স্বাধীনতা ও পূর্ব বাংলার অর্থনৈতিক বৈষম্য নিয়ে একটি ঐতিহাসিক যৌক্তিক বিশ্লেষণ করেছেন লেখক। ঔপনিবেশিক অপশাসকদের শাসনামলে গণমানুষের অর্থনৈতিক দুরবস্থা, পাকিস্তান আমলে বৈষম্য এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরে পরবর্তী অধ্যায়গুলোর প্রেক্ষাপট তৈরি করার প্রয়াস পেয়েছেন। দ্বিতীয় অধ্যায় ‘বৈষম্যহীন অর্থনীতি বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু’। এ অধ্যায়ে তৃণমূল মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক ভাবনা, দর্শন, বৈষম্যহীন অর্থনীতি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর কর্মপ্রণালি তুলে ধরা হয়েছে। প্রান্তের মানুষের জন্য সমবায় গঠনের মাধ্যমে তৃণমূলের সম্মিলিত শক্তির মাধ্যমে জীবনমান উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর কর্মসূচি তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করেছেন। তৃতীয় অধ্যায়ে আবহমান বাংলার কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি কাঠামো তুলে ধরে কৃষির বিকাশে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও সুদূরপ্রসারী চিন্তার প্রতি আলোকপাত করেছেন লেখক। পাশাপাশি কৃষি ও শিল্প যে একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ এবং কৃষিসংলগ্ন শিল্প বিকাশে বঙ্গবন্ধুর অনুধাবন, পরিকল্পনা আলোচনায় আনা হয়েছে। চতুর্থ অধ্যায়ে স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর জাতীয়করণ কর্মসূচি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি বৈরী পরিবেশে টেকসই অর্থনীতির ভিত্তি বিনির্মাণে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের জাতীয়করণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে কীভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবার পরিকল্পনা বঙ্গবন্ধুর ছিল তা তুলে ধরার প্রয়াস লক্ষ্য করা যায়। পাকিস্তান আমলে গড়ে তোলা পুজিবাদীদের থাবা আর যাতে বাংলার মানুষকে বঞ্চিত না করে, কৃষক-শ্রমিকের রক্ত পূর্বের মতো শোষণ না করতে পারার বিষয়টি বঙ্গবন্ধুর জাতীয়করণ কর্মসূচীর মূল লক্ষ্য ছিল। আলোচনা ও বিশ্লেষণে তা উঠে এসেছে। পঞ্চম অধ্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’ নিয়ে চিন্তা জাগানিয়া একটি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। স্বাধীন দেশে প্রতিক্রিয়াশীল চক্র দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য তাদের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে ক্রমশ তখনই বঙ্গবন্ধু দিয়েছিল দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক। রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বাস্তবতায় দ্বিতীয় বিপ্লবের কেন প্রয়োজন ছিল তার গুরুত্বপূর্ণ বিবরণ, বিশ্লেষণ লিপিবদ্ধ করেছেন লেখক। দুর্নীতি ও অসহযোগিতা স্বাধীন দেশকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছিল তখন কৃষক-শ্রমিক, জনসাধারণকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়ার একটি সাহসী উদ্যোগ নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর এই সাহসী উদ্যোগকে লেখক নাম দিয়েছেন ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’। এ দ্বিতীয় বিপ্লবের মাধ্যমে তিনি (বঙ্গবন্ধু) চেয়েছিলেন বাংলার সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জসমূহকে মোকাবিলা করার জন্য। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস তার আগেই বঙ্গবন্ধু সপরিবারে শহীদ হন ঘাতকচক্রের হাতে।
বঙ্গবন্ধু আমাদের কাছে হিমালয়সম, তার উচ্চতাকে ধারণ করে অর্থনৈতিক ভাবনাকে দুই মলাটে এনে গ্রন্থভুক্ত করার একটি শ্রমসাধ্য কাজ করেছেন লেখক মোহম্মদ শামস্-উল ইসলাম। বইটি পাঠ করে পাঠক, গবেষক, বিশ্লেষক, লেখক, ঐতিহাসিক উপকৃত হবেন বলে আশা করি।
বইটির প্রচ্ছদ চমৎকার। তবে খুব সামান্যই সাধু, চলিত মিশ্রণ দেখা গেছে। পরবর্তী সংস্করণে আশা করি তা সংশোধন করা হবে।
গণমানুষের অর্থনীতি ও বঙ্গবন্ধু। প্রকাশক : আলোঘর প্রকাশনী। প্রচ্ছদ : শতাব্দী জাহিদ। প্রকাশকাল : অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২১। দাম: ৩৫০ টাকা।
পৃষ্ঠা: ১৭৫।