মানিকগঞ্জের সাতটি উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে সূর্যের সবটুকু উত্তাপ কেঁড়ে নিয়েছে লাল টুকটুকে কৃষ্ণচুরা। জনপ্রিয় ও অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর রক্তিম ফুলে প্রকৃতি সেজেছে অপরুপ সৌন্দয্যে। পথচারীদের সহজেই চোখে পড়বে এই ফুল। বহু দুর থেকে দেখলে মনে হবে যেন গাছ গুলোতে আগুন লেগেছে। গ্রীস্মের অতি পরিচিত ফুল কৃষ্ণচুরা। কৃষ্ণচুরার পাশাপাশি রাধাচুরা,সোনালু,জারুল, টগর, ভাটিকা, হৈমন্তি, কাঞ্চনসহ বিভিন্ন প্রজাতির নাম না জানা ফুল ।
মানিকগঞ্জ সদর , ঘিওর, দৌলতপুর, হরিরামপুর, শিবালয়, সাটুরিয়া, সিংগাইর অঞ্চলে বিভিন্ন এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও কৃষ্ণচুড়ার শাখায় মনোমুগ্ধকর শোভায় প্রকৃতি দগদগে লালে লাল হয়ে সজ্ঝিত হয়েছে। শোভা বর্ধনকারী এ কৃষ্ণচুরা গ্রামীন জনপদের পাশাপাশি এখনও নড়বড় অস্তিত্ব নিয়ে কোনোমতে টিকে আছে গ্রামবাংলার প্রকৃতিতে।
উপজেলা বন অফিস সুত্রে জানা গেছে,শোভা বর্ধনকারী কৃষ্ণচুড়ার আদি নিবাস পূর্ব আফ্রিকার মাদাগাস্কায়।
ভীনদেশি এ ফুলের বৃক্ষগুলো আমাদের দেশে নতুন নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে। তবে ধরেনা করা হয়, রাধা - কৃষ্ণের সাথে নাম মিলিয়ে এ বৃক্ষের নাম হয়েছে কৃষ্ণচুড়া। এর বড় খ্যাতি প্রচন্ড তাপদাহে যখন এ ফুল ফোটে তখন এর রুপে মুগ্ধ হয়ে পথচারীরাও থমকে দারায়।
কৃষ্ণচুরার উচ্চতা খুব বেশি হয়না। সর্ব্বোচ এগার বার ফিট পর্যন্ত লম্বা হয়। তবে এর শাখা পলব অনেক দুর পর্যন্ত ছড়ানো থাকে। বছরের অন্য সময় গাছগুলে চোখে পড়ে না। এপ্রিল মে মাসে প্রকৃতির পেছনে ফেলে মানুষের দৃষ্টিতে আসে অত্যন্ত আকর্ষনীয় এ ফুল। উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের মতে, আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে বাংলাদেশে কৃষ্ণচুড়ার ফুল ফোটে এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত।
মুকুল ধরার কিছু দিনের মধ্যে পুরো ফুলগুলো বড় সাত থেকে আটটি পাপড়িযুক্ত গাড় লাল হয়ে যায়। ফুলের ভীতরের অংশ হালকা হলুদ ও রক্তিম হয়ে থাকে। কৃষ্ণচুরা ফুলের সত্যিকার সৌন্দয্য এর কাছে কিছুটা হলেও উপলদ্ধি করা সম্ভব। এ ছাড়া সোনালু বাংলাদেশের দৃষ্টিনন্দন ও জনপ্রিয় ফুল।
গ্রীস্মকালে গাছের শাখা প্রশাখাতে থোকায় থোকায় ফুটে। রক্ত জবা ফুল সারা বছরেই কম বেশি ফুটে। পাঁচটিপাপড়ি যুক্ত ফুল লাল জবা। মাঝ খাণে লম্বা স্তম্ভ থাকে। বিভিন্ন ফ’জাতে এই ফুলটি প্রচুর ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া গোলঅপি ও সাদা জবা ফুল আছে।
মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর উপ-পরিচালক (খামারবাড়ি) ড. রবীআহ নূর আহম্মেদ জানান, মানিকগঞ্জ ৭টি উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে প্রচুর কৃষ্ণচুরা ফুল গাছ দেখতে পাওয়া যায়। কৃষ্ণচুরা ফুলের সত্যিকার সৌন্দয্য এর কাছে কিছুটা হলেও উপলদ্ধি করা সম্ভব। তবে পরিবেশের ভারসাম্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারনে কৃষ্ণচুরা চাষাবাদ করা প্রয়োজন।
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
মানিকগঞ্জের সাতটি উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে সূর্যের সবটুকু উত্তাপ কেঁড়ে নিয়েছে লাল টুকটুকে কৃষ্ণচুরা। জনপ্রিয় ও অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর রক্তিম ফুলে প্রকৃতি সেজেছে অপরুপ সৌন্দয্যে। পথচারীদের সহজেই চোখে পড়বে এই ফুল। বহু দুর থেকে দেখলে মনে হবে যেন গাছ গুলোতে আগুন লেগেছে। গ্রীস্মের অতি পরিচিত ফুল কৃষ্ণচুরা। কৃষ্ণচুরার পাশাপাশি রাধাচুরা,সোনালু,জারুল, টগর, ভাটিকা, হৈমন্তি, কাঞ্চনসহ বিভিন্ন প্রজাতির নাম না জানা ফুল ।
মানিকগঞ্জ সদর , ঘিওর, দৌলতপুর, হরিরামপুর, শিবালয়, সাটুরিয়া, সিংগাইর অঞ্চলে বিভিন্ন এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও কৃষ্ণচুড়ার শাখায় মনোমুগ্ধকর শোভায় প্রকৃতি দগদগে লালে লাল হয়ে সজ্ঝিত হয়েছে। শোভা বর্ধনকারী এ কৃষ্ণচুরা গ্রামীন জনপদের পাশাপাশি এখনও নড়বড় অস্তিত্ব নিয়ে কোনোমতে টিকে আছে গ্রামবাংলার প্রকৃতিতে।
উপজেলা বন অফিস সুত্রে জানা গেছে,শোভা বর্ধনকারী কৃষ্ণচুড়ার আদি নিবাস পূর্ব আফ্রিকার মাদাগাস্কায়।
ভীনদেশি এ ফুলের বৃক্ষগুলো আমাদের দেশে নতুন নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে। তবে ধরেনা করা হয়, রাধা - কৃষ্ণের সাথে নাম মিলিয়ে এ বৃক্ষের নাম হয়েছে কৃষ্ণচুড়া। এর বড় খ্যাতি প্রচন্ড তাপদাহে যখন এ ফুল ফোটে তখন এর রুপে মুগ্ধ হয়ে পথচারীরাও থমকে দারায়।
কৃষ্ণচুরার উচ্চতা খুব বেশি হয়না। সর্ব্বোচ এগার বার ফিট পর্যন্ত লম্বা হয়। তবে এর শাখা পলব অনেক দুর পর্যন্ত ছড়ানো থাকে। বছরের অন্য সময় গাছগুলে চোখে পড়ে না। এপ্রিল মে মাসে প্রকৃতির পেছনে ফেলে মানুষের দৃষ্টিতে আসে অত্যন্ত আকর্ষনীয় এ ফুল। উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের মতে, আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে বাংলাদেশে কৃষ্ণচুড়ার ফুল ফোটে এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত।
মুকুল ধরার কিছু দিনের মধ্যে পুরো ফুলগুলো বড় সাত থেকে আটটি পাপড়িযুক্ত গাড় লাল হয়ে যায়। ফুলের ভীতরের অংশ হালকা হলুদ ও রক্তিম হয়ে থাকে। কৃষ্ণচুরা ফুলের সত্যিকার সৌন্দয্য এর কাছে কিছুটা হলেও উপলদ্ধি করা সম্ভব। এ ছাড়া সোনালু বাংলাদেশের দৃষ্টিনন্দন ও জনপ্রিয় ফুল।
গ্রীস্মকালে গাছের শাখা প্রশাখাতে থোকায় থোকায় ফুটে। রক্ত জবা ফুল সারা বছরেই কম বেশি ফুটে। পাঁচটিপাপড়ি যুক্ত ফুল লাল জবা। মাঝ খাণে লম্বা স্তম্ভ থাকে। বিভিন্ন ফ’জাতে এই ফুলটি প্রচুর ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া গোলঅপি ও সাদা জবা ফুল আছে।
মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর উপ-পরিচালক (খামারবাড়ি) ড. রবীআহ নূর আহম্মেদ জানান, মানিকগঞ্জ ৭টি উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে প্রচুর কৃষ্ণচুরা ফুল গাছ দেখতে পাওয়া যায়। কৃষ্ণচুরা ফুলের সত্যিকার সৌন্দয্য এর কাছে কিছুটা হলেও উপলদ্ধি করা সম্ভব। তবে পরিবেশের ভারসাম্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারনে কৃষ্ণচুরা চাষাবাদ করা প্রয়োজন।