ভোট চুরির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৯৩ জনের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইলের একটি আদালতে দায়ের করা মামলা মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বাদী। মামলায় স্থানীয় সাংবাদিকদের যুক্ত করায় ব্যাপক সমালোচনা এবং দলীয় চাপের মুখে পড়ে বিএনপি নেতা ও বাদী কামরুল হাসান এ সিদ্ধান্ত নেন।
বুধবার (২১ মে) সকালে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা আমলি আদালতে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন কামরুল। বাদীপক্ষের আইনজীবী আবু রায়হান খান জানান, আদালত আবেদন গ্রহণ করে মামলাটি নথিভুক্ত করেন। এতে মামলাটি কার্যত বাতিল হয়ে যায়।
এর আগে গত সোমবার (১৯ মে) কামরুল হাসান ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে ভোট চুরির অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে ১৯৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্তদের মধ্যে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও পাঁচজন স্থানীয় সাংবাদিক ছিলেন, যা নিয়ে জেলাজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
তীব্র সমালোচনার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বাদী আদালতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়ে অনাপত্তিপত্র জমা দেন। একদিন পরেই পুরো মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন তিনি।
ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কামরুল হাসান জানান, মামলাটি বিএনপির উপজেলা সভাপতি গোলাম মোস্তফার পরামর্শে এবং দলের ওপর মহলের নির্দেশে প্রত্যাহার করেছেন তিনি।
তবে জেলা বিএনপির একাধিক নেতা মামলার বিষয়ে অসচেতন থাকার কথা জানিয়েছেন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল বলেন, “মামলার বিষয়ে জানতে পেরেছি, তবে প্রত্যাহারের ব্যাপারে অবগত নই। এ নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।”
জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন বলেন, “এ ধরনের মামলা দায়েরের আগে জেলা পর্যায়ে পরামর্শ হওয়া উচিত ছিল। অনেক সময় বাদীর ব্যক্তিস্বার্থ বা বাণিজ্যিক মানসিকতা থেকেও এমন মামলা হয়।”
তিনি মামলাটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “ভবিষ্যতে এমন ঘটনায় যেন দলীয় সিদ্ধান্ত ছাড়া কেউ এককভাবে পদক্ষেপ না নেয়।”
বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
ভোট চুরির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৯৩ জনের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইলের একটি আদালতে দায়ের করা মামলা মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বাদী। মামলায় স্থানীয় সাংবাদিকদের যুক্ত করায় ব্যাপক সমালোচনা এবং দলীয় চাপের মুখে পড়ে বিএনপি নেতা ও বাদী কামরুল হাসান এ সিদ্ধান্ত নেন।
বুধবার (২১ মে) সকালে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা আমলি আদালতে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন কামরুল। বাদীপক্ষের আইনজীবী আবু রায়হান খান জানান, আদালত আবেদন গ্রহণ করে মামলাটি নথিভুক্ত করেন। এতে মামলাটি কার্যত বাতিল হয়ে যায়।
এর আগে গত সোমবার (১৯ মে) কামরুল হাসান ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে ভোট চুরির অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে ১৯৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্তদের মধ্যে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও পাঁচজন স্থানীয় সাংবাদিক ছিলেন, যা নিয়ে জেলাজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
তীব্র সমালোচনার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বাদী আদালতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়ে অনাপত্তিপত্র জমা দেন। একদিন পরেই পুরো মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন তিনি।
ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কামরুল হাসান জানান, মামলাটি বিএনপির উপজেলা সভাপতি গোলাম মোস্তফার পরামর্শে এবং দলের ওপর মহলের নির্দেশে প্রত্যাহার করেছেন তিনি।
তবে জেলা বিএনপির একাধিক নেতা মামলার বিষয়ে অসচেতন থাকার কথা জানিয়েছেন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল বলেন, “মামলার বিষয়ে জানতে পেরেছি, তবে প্রত্যাহারের ব্যাপারে অবগত নই। এ নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।”
জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন বলেন, “এ ধরনের মামলা দায়েরের আগে জেলা পর্যায়ে পরামর্শ হওয়া উচিত ছিল। অনেক সময় বাদীর ব্যক্তিস্বার্থ বা বাণিজ্যিক মানসিকতা থেকেও এমন মামলা হয়।”
তিনি মামলাটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “ভবিষ্যতে এমন ঘটনায় যেন দলীয় সিদ্ধান্ত ছাড়া কেউ এককভাবে পদক্ষেপ না নেয়।”