বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ভয়েস’ ৭ নভেম্বর ইন্টারনেট শাটডাউন বিষয়ে ভোলায় সাংবাদিকদের জন্য এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় বাংলাদেশ এবং বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট শাটডাউনের সদূরপ্রসারী প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা শাটডাউনে তাদের অভিজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ইন্টারনেট যোগাযোগ বিঘ্ন হওয়ার ফলে তারা সর্বজনীন এবং আন্তর্জাতিকভাবে তথ্য সরবরাহ ও সংবাদ প্রকাশে বাধা প্রাপ্ত হয়েছেন। কোন প্রকার পূর্ব নির্দেশনা না পাওয়ায় তারা এই ধরণের পরিস্থিতি মোকাবেলা ও উত্তরণের পদক্ষেপ নিতে পারে নি। অন্যদিকে, তাঁরা মনে করেন ইন্টারনেট শাটডাউন নিয়ে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে যা আগামী দিনগুলোতে আরও ভয়ানক রূপ ধারণ করতে পারে। এক্ষেত্রে সরকারের আন্তরিকতা, সঠিক আইন প্রণয়ন এবং ইন্টারনেট শাটডাউনের সম্ভাবনা দেখা দিলে আগে থেকে ঘোষণা দেওয়ার মত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এই দূরাবস্থা থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব।
কর্মশালায় উপস্থিত ইন্টারনেট বিশেষজ্ঞ এনগেজ মিডিয়া’র আশরাফুল হক পরিকল্পিতভাবে কোন দেশ বা অঞ্চলের ইন্টারনেট ব্যবস্থা যখন বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় এবং একইসাথে তথ্য সরবরাহ বন্ধ করা হয় তখন বিকল্প পদ্ধতি যেমন ব্রিজফাই ও বেরিয়ার এ্যাপ ব্যবহারের পাশাপাশি সুরক্ষিত ভিপিএন ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভয়েসের নির্বাহী পরিচালকআহমেদ স্বপন মাহমুদ। তিনি বলেন, ইন্টারনেট ব্যবস্থা ব্যহত হলে তার প্রভাব আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পড়ে। সেইসাথে সংবাদমাধ্যম বিশেষত সাধারণ মানুষের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার,মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদ প্রকাশের অধিকার হুমকির মধ্যে পড়ে। তিনি এই ধরণের ঘটনা মানবাধিকার ক্ষুন্ন হবার সাদৃশ্য বলে মনে করেন।
ভয়েসের সহকারি পরিচালক মুসাররাত মাহেরা বলেন, বিশ্বায়নের এই যুগে ইন্টারনেট আমাদের সাধারণ জীবনযাপনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পরিণত হয়েছে। ইন্টারনেট শাটডাউনের ফলে দেশে অনেক সমস্যার উদ্ভব হয়েছে এবং বিভিন্ন ধরণের গুজব ও অপপ্রচারের মধ্যে দিয়ে আমাদের অতিক্রম করতে হয়েছে। তিনি ইন্টারনেট শাটডাউন প্রতিরোধে বর্তমান সরকারকে আন্তরিকভাবে সঠিক এবং সদূরপ্রসারী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে অনুরোধ জানান।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা তথ্যপ্রবাহের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরন এবং অবৈধভাবে ইন্টারনেট শাটডাউন প্রতিরোধে বিষয়ে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে বলে মতামত ব্যক্ত করেন।
শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ভয়েস’ ৭ নভেম্বর ইন্টারনেট শাটডাউন বিষয়ে ভোলায় সাংবাদিকদের জন্য এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় বাংলাদেশ এবং বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট শাটডাউনের সদূরপ্রসারী প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা শাটডাউনে তাদের অভিজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ইন্টারনেট যোগাযোগ বিঘ্ন হওয়ার ফলে তারা সর্বজনীন এবং আন্তর্জাতিকভাবে তথ্য সরবরাহ ও সংবাদ প্রকাশে বাধা প্রাপ্ত হয়েছেন। কোন প্রকার পূর্ব নির্দেশনা না পাওয়ায় তারা এই ধরণের পরিস্থিতি মোকাবেলা ও উত্তরণের পদক্ষেপ নিতে পারে নি। অন্যদিকে, তাঁরা মনে করেন ইন্টারনেট শাটডাউন নিয়ে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে যা আগামী দিনগুলোতে আরও ভয়ানক রূপ ধারণ করতে পারে। এক্ষেত্রে সরকারের আন্তরিকতা, সঠিক আইন প্রণয়ন এবং ইন্টারনেট শাটডাউনের সম্ভাবনা দেখা দিলে আগে থেকে ঘোষণা দেওয়ার মত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এই দূরাবস্থা থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব।
কর্মশালায় উপস্থিত ইন্টারনেট বিশেষজ্ঞ এনগেজ মিডিয়া’র আশরাফুল হক পরিকল্পিতভাবে কোন দেশ বা অঞ্চলের ইন্টারনেট ব্যবস্থা যখন বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় এবং একইসাথে তথ্য সরবরাহ বন্ধ করা হয় তখন বিকল্প পদ্ধতি যেমন ব্রিজফাই ও বেরিয়ার এ্যাপ ব্যবহারের পাশাপাশি সুরক্ষিত ভিপিএন ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভয়েসের নির্বাহী পরিচালকআহমেদ স্বপন মাহমুদ। তিনি বলেন, ইন্টারনেট ব্যবস্থা ব্যহত হলে তার প্রভাব আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পড়ে। সেইসাথে সংবাদমাধ্যম বিশেষত সাধারণ মানুষের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার,মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদ প্রকাশের অধিকার হুমকির মধ্যে পড়ে। তিনি এই ধরণের ঘটনা মানবাধিকার ক্ষুন্ন হবার সাদৃশ্য বলে মনে করেন।
ভয়েসের সহকারি পরিচালক মুসাররাত মাহেরা বলেন, বিশ্বায়নের এই যুগে ইন্টারনেট আমাদের সাধারণ জীবনযাপনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পরিণত হয়েছে। ইন্টারনেট শাটডাউনের ফলে দেশে অনেক সমস্যার উদ্ভব হয়েছে এবং বিভিন্ন ধরণের গুজব ও অপপ্রচারের মধ্যে দিয়ে আমাদের অতিক্রম করতে হয়েছে। তিনি ইন্টারনেট শাটডাউন প্রতিরোধে বর্তমান সরকারকে আন্তরিকভাবে সঠিক এবং সদূরপ্রসারী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে অনুরোধ জানান।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা তথ্যপ্রবাহের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরন এবং অবৈধভাবে ইন্টারনেট শাটডাউন প্রতিরোধে বিষয়ে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে বলে মতামত ব্যক্ত করেন।