উপকূলীয় বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর ও ভেটিরিনারী হাসপাতাল জনবল সংকটে ভূগছে। একযুগের বেশি সময় ধরে এ হাসপাতালের ১১টি পদের মধ্যে ৮টি পদই রয়েছে শূন্য। যে কারণে ২লাখ কৃষকের গবাদী পশু ও হাস মুরগীর চিকিৎসা ব্যবস্থা চলছে খুড়িয়ে খুড়িয়ে।
একযুগের বেশি সময় ধরে এ হাসপাতালের ১১টি পদের মধ্যে ৮টি পদই রয়েছে শূন্য। যে কারণে ২ লাখ কৃষকের গবাদি পশু ও হাঁস মুরগির চিকিৎসা ব্যবস্থা চলছে খুঁড়িয়ে
এ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নসহ পৌরসভার গবাদিপশুর হাসমুরগীর চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণে আশির দশকে উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর ও ভেটিরিনারী হাসপাতালটি স্থাপিত হলেও একদিকে যেমন চিকিৎসার ক্ষেত্রে লাগেনি আধুনিকতার ছোঁয়া ।
সদ্য যোগদানকৃত ভেটিরিনারী সার্জন ডা. মো. আবু হানিফ যোগদনের পর থেকে একাই দায়িত্ব পালন করছেন কর্মকর্তার পদসহ দুটি পদের। এছাড়াও এ দপ্তরে দায়িত্ব পালন করছেন অফিস সহায়ক ১জন, ফিল্ড এসিসন্ট্যোন্ট (কৃত্রিম প্রজনন) ১জন। তিনজন দ্বারাই পরিচালিত হচ্ছে এ হাসপাতালটি। ভেটিরিনারী সার্জন যোগদনের পর অফিসের চিত্র কিছুটা পরিবর্তন হলেও একারপক্ষে অফিসিয়াল দাপ্তরিক কাজসহ গবাদিপশুর চিকিৎসার ক্ষেত্রে হিমশিম খাচ্ছেন। হাসপাতালের প্রানী সম্পদ কর্মকর্তার পদ ৪ মাস ধরে শূন্য। ফিল্ড এসিসন্ট্যান্ট ৩টি পদই শূণ্য রয়েছে ৬বছর । মিস্ত্রক্্রী পদটি একযুগেরও বেশী সময় ধরে শূন্য। ড্রেসার পদে ১জন থাকার কথা থাকলেও সে পদটি রয়েছে ১৫বছর ধরে শূন্য। উপজেলা লাইভ স্টক এসিট্যান্ট পদটি ১০বছর ধরে শূন্য। এছাড়াও এমএলএসএস পদেকেউ নেই ১৫ বছর । এর প্রভাব পড়ছে মাঠ পর্যায়ে চিকিৎসাসেবায়। সেবা নিতে এসে অনেকের দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকতে হয়। আবার কর্মকর্তা দাপ্তরিক কাজে অনেক সময় বাহিরে থাকায় চিকিৎসা নিতে আসা মানুষকে ফিরে যেতে হয়। প্রতি মাসে এ হাসপাতাল থেকে পোল্ট্রি ফার্ম, ডেইরি ফার্ম, ছাগল ফার্ম, ভেড়ার খামারসহ প্রাণী সম্পদের রেজিষ্ট্রেশনকৃত ১৮’শ খামার মালিকরা সেবা এছাড়াও ১০হাজার হাঁস মুরগি, ৩ হাজার গবাদিপশুর ভ্যাকসিন গ্রহণ করে থাকে। প্রতিমাসে ২টি প্রি মেডিকেল ক্যম্পে গ্রাহকরা সেবা নেয়। দেশের ২য় বৃহত্তর এ উপজেলায় ৭০হাজার গাভী থেকে প্রতি মাসে ১৫’শ মেট্রিকটন দুধ, ১৪’শ ১৭ মেট্রিকটন মাংস ও ২/ ৩ কোটি ডিম উৎপাদন করে তা নিজেদের চাহিদা মিটিয়েও বাহিরে সাপ্লাই দেয়া হয়। যা থেকে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করছেন। গুরুত্বপুর্ণ এ হাসপাতালটিতে জনবল সংকটের সমস্যার অচিরেই সমাধান না হলে উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে বলে স্থানীয় খামারি মালিকরা আশংকা করেছেন।
এসম্পর্কে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো. আবু হানিফ বলেন, এ হাসপাতালে জনবল সংকটের বিষয়টি উর্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। তবে গবাদিপশুর ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী সেবা প্রদানের আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
উপকূলীয় বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর ও ভেটিরিনারী হাসপাতাল জনবল সংকটে ভূগছে। একযুগের বেশি সময় ধরে এ হাসপাতালের ১১টি পদের মধ্যে ৮টি পদই রয়েছে শূন্য। যে কারণে ২লাখ কৃষকের গবাদী পশু ও হাস মুরগীর চিকিৎসা ব্যবস্থা চলছে খুড়িয়ে খুড়িয়ে।
একযুগের বেশি সময় ধরে এ হাসপাতালের ১১টি পদের মধ্যে ৮টি পদই রয়েছে শূন্য। যে কারণে ২ লাখ কৃষকের গবাদি পশু ও হাঁস মুরগির চিকিৎসা ব্যবস্থা চলছে খুঁড়িয়ে
এ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নসহ পৌরসভার গবাদিপশুর হাসমুরগীর চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণে আশির দশকে উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর ও ভেটিরিনারী হাসপাতালটি স্থাপিত হলেও একদিকে যেমন চিকিৎসার ক্ষেত্রে লাগেনি আধুনিকতার ছোঁয়া ।
সদ্য যোগদানকৃত ভেটিরিনারী সার্জন ডা. মো. আবু হানিফ যোগদনের পর থেকে একাই দায়িত্ব পালন করছেন কর্মকর্তার পদসহ দুটি পদের। এছাড়াও এ দপ্তরে দায়িত্ব পালন করছেন অফিস সহায়ক ১জন, ফিল্ড এসিসন্ট্যোন্ট (কৃত্রিম প্রজনন) ১জন। তিনজন দ্বারাই পরিচালিত হচ্ছে এ হাসপাতালটি। ভেটিরিনারী সার্জন যোগদনের পর অফিসের চিত্র কিছুটা পরিবর্তন হলেও একারপক্ষে অফিসিয়াল দাপ্তরিক কাজসহ গবাদিপশুর চিকিৎসার ক্ষেত্রে হিমশিম খাচ্ছেন। হাসপাতালের প্রানী সম্পদ কর্মকর্তার পদ ৪ মাস ধরে শূন্য। ফিল্ড এসিসন্ট্যান্ট ৩টি পদই শূণ্য রয়েছে ৬বছর । মিস্ত্রক্্রী পদটি একযুগেরও বেশী সময় ধরে শূন্য। ড্রেসার পদে ১জন থাকার কথা থাকলেও সে পদটি রয়েছে ১৫বছর ধরে শূন্য। উপজেলা লাইভ স্টক এসিট্যান্ট পদটি ১০বছর ধরে শূন্য। এছাড়াও এমএলএসএস পদেকেউ নেই ১৫ বছর । এর প্রভাব পড়ছে মাঠ পর্যায়ে চিকিৎসাসেবায়। সেবা নিতে এসে অনেকের দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকতে হয়। আবার কর্মকর্তা দাপ্তরিক কাজে অনেক সময় বাহিরে থাকায় চিকিৎসা নিতে আসা মানুষকে ফিরে যেতে হয়। প্রতি মাসে এ হাসপাতাল থেকে পোল্ট্রি ফার্ম, ডেইরি ফার্ম, ছাগল ফার্ম, ভেড়ার খামারসহ প্রাণী সম্পদের রেজিষ্ট্রেশনকৃত ১৮’শ খামার মালিকরা সেবা এছাড়াও ১০হাজার হাঁস মুরগি, ৩ হাজার গবাদিপশুর ভ্যাকসিন গ্রহণ করে থাকে। প্রতিমাসে ২টি প্রি মেডিকেল ক্যম্পে গ্রাহকরা সেবা নেয়। দেশের ২য় বৃহত্তর এ উপজেলায় ৭০হাজার গাভী থেকে প্রতি মাসে ১৫’শ মেট্রিকটন দুধ, ১৪’শ ১৭ মেট্রিকটন মাংস ও ২/ ৩ কোটি ডিম উৎপাদন করে তা নিজেদের চাহিদা মিটিয়েও বাহিরে সাপ্লাই দেয়া হয়। যা থেকে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করছেন। গুরুত্বপুর্ণ এ হাসপাতালটিতে জনবল সংকটের সমস্যার অচিরেই সমাধান না হলে উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে বলে স্থানীয় খামারি মালিকরা আশংকা করেছেন।
এসম্পর্কে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো. আবু হানিফ বলেন, এ হাসপাতালে জনবল সংকটের বিষয়টি উর্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। তবে গবাদিপশুর ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী সেবা প্রদানের আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে।