লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঢুকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর সংগঠকসহ অন্তত ১০ জনকে লাঠিসোঁটা দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (৮ জুন) রাত ৯টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আটক ব্যক্তিরা হলেন—মাসুদ, কামাল হোসেন ও তুষার। তাদের বিস্তারিত পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন—রামগঞ্জের ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর সংগঠক রেদোয়ান সালেহীন নাঈম, আজিজ শাকিল, সাঈদ আলম শাহীন, জাহীদ হাসান পাবেল, তারেক আজিজ, সায়মন স্যাম, তারেক এবং স্থানীয় সংবাদকর্মী রায়হানুর রহমান। বাকি দুজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ঘটনার সূত্রপাত বিকালে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের শৈরশই গ্রামে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে। স্থানীয় দুই কিশোর রাহুল ও সাফোয়ান খেলছিলেন, তখন তাদের মারা ফুটবল একটি শিশুর মাথায় লাগে। ওই শিশুটির মা আমেনা আক্তার বিথী বিষয়টি নিয়ে কথা বললে কথাকাটাকাটি হয় দুই পক্ষের মধ্যে।
পরে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ সময় অভিযুক্ত কিশোরদের স্বজনরা শিশুটির পরিবারকে আইনি পদক্ষেপ না নিতে হুমকি দেন বলে অভিযোগ ওঠে।
রাতেই শিশুটির আত্মীয় রেদোয়ান সালেহীন নাঈম হাসপাতালের সামনে গেলে মাসুদ, তুষার, কামালসহ ২০–২৫ জনের একটি দল তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় রেদোয়ানসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। পরে তারা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
এ ঘটনায় হাসপাতালে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, “হাসপাতালের ভেতরে হামলার ঘটনায় আমরা চরম উদ্বিগ্ন। চিকিৎসক ও নার্সদের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে।”
ঘটনার পরপরই হাসপাতালে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম। তিনি বলেন, “এ হামলা পরিকল্পিত ও ন্যাক্কারজনক। আমরা জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাশার বলেন, “হাসপাতালে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঢুকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর সংগঠকসহ অন্তত ১০ জনকে লাঠিসোঁটা দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (৮ জুন) রাত ৯টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আটক ব্যক্তিরা হলেন—মাসুদ, কামাল হোসেন ও তুষার। তাদের বিস্তারিত পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন—রামগঞ্জের ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর সংগঠক রেদোয়ান সালেহীন নাঈম, আজিজ শাকিল, সাঈদ আলম শাহীন, জাহীদ হাসান পাবেল, তারেক আজিজ, সায়মন স্যাম, তারেক এবং স্থানীয় সংবাদকর্মী রায়হানুর রহমান। বাকি দুজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ঘটনার সূত্রপাত বিকালে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের শৈরশই গ্রামে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে। স্থানীয় দুই কিশোর রাহুল ও সাফোয়ান খেলছিলেন, তখন তাদের মারা ফুটবল একটি শিশুর মাথায় লাগে। ওই শিশুটির মা আমেনা আক্তার বিথী বিষয়টি নিয়ে কথা বললে কথাকাটাকাটি হয় দুই পক্ষের মধ্যে।
পরে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ সময় অভিযুক্ত কিশোরদের স্বজনরা শিশুটির পরিবারকে আইনি পদক্ষেপ না নিতে হুমকি দেন বলে অভিযোগ ওঠে।
রাতেই শিশুটির আত্মীয় রেদোয়ান সালেহীন নাঈম হাসপাতালের সামনে গেলে মাসুদ, তুষার, কামালসহ ২০–২৫ জনের একটি দল তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় রেদোয়ানসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। পরে তারা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
এ ঘটনায় হাসপাতালে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, “হাসপাতালের ভেতরে হামলার ঘটনায় আমরা চরম উদ্বিগ্ন। চিকিৎসক ও নার্সদের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে।”
ঘটনার পরপরই হাসপাতালে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম। তিনি বলেন, “এ হামলা পরিকল্পিত ও ন্যাক্কারজনক। আমরা জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাশার বলেন, “হাসপাতালে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”