মহামারী করোনা সংক্রমণের কারণে বইমেলার শুরু থেকেই ছিল পাঠক, ক্রেতা এবং দর্শনার্থী সংকট। করোনা কারণে ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে মার্চে শুরু হয় বইমেলা। অন্যাবারের তুলনায় তাই প্রথমে ক্রেতা-দর্শনার্থী কম থাকায় মলিনতার ছাপ ছিল। তবে ধীরে ধীরে বইমেলার ফিরছিল স্বরূপে। ছুটির দিনগুলোয় বাড়ছিল পাঠকের আনাগোনা। বসন্তের পরিবর্তে চৈত্রের খরতাপে মেলা হওয়ায় মূলত দুপুর গড়ানো বিকেলে থেকে গ্রন্থানুরাগীদের উচ্ছ্বাস আর জমাটবাঁধা আড্ডার মুখরিত হয় মেলা প্রাঙ্গণ। তাছাড়া করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তৃতীয়বারের মতো বইমেলার সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ৩১ মার্চ বুধবার হঠাৎ করেই বইমেলার নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করে বাংলা একাডেমি। নতুন সূচি অনুযায়ী, প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত মেলা চলবে। প্রকাশকদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই মেলার নতুন সময়সূচি ঘোষণা করায় বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) বিকেলে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির নেতারা।
বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে শুরু হওয়া বৈঠক মাত্র ১৫ মিনিট স্থায়ী হয়। এ বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ও সময় প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফরিদ আহমেদ জানান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। প্রকাশকদের তরফ থেকে বলা হয়েছে, নীতিমালা মেনে তারা মেলা শেষ করতে চান। তারপরও করোনার বিষয়টি মাথায় রেখে বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলার সময় নির্ধারণের জন্য তারা মহাপরিচালকের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
প্রকাশকদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী জানিয়েছেন, তিনি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন এবং নতুন সিদ্ধান্তের বিষয়ে আজ প্রকাশকদের জানাবেন। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠকে আরও অংশ নেন অনন্যা প্রকাশনীর মনিরুল হক, অ্যাডর্ন পাবলিকেশন্সের সৈয়দ জাকির হোসেন, অনুপম প্রকাশনীর মিলন নাথ, কাকলীর নাসির আহমেদ সেলিম, তাম্রলিপির একেএম তারিকুল ইসলাম রনি, প্রগতি পাবলিশার্সের আশরার মাসুদসহ অন্যরা।
এদিকে, অবিলম্বে বইমেলা, সামাজিক অনুষ্ঠান, বিনোদন কেন্দ্রসহ যেকোন মেলা বন্ধ করার সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। রোগ প্রতিরোধের জন্য অবিলম্বে সামাজিক অনুষ্ঠান, বিনোদনকেন্দ্র, বইমেলা ও অন্যান্য মেলা বন্ধ করা দরকার। পরিবহনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা সম্পর্কে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সব নির্দেশনা যাতে পালন করা হয়, তার ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, বুধবার থেকে বইমেলার সময় দেড় ঘণ্টা কমানো হয়েছে। বর্তমানে বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত বইমেলা হচ্ছে। শুক্র ও শনিবার সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত বইমেলা হবে।
বৃহস্পতিবার ছিল অমর একুশে বইমেলা ২০২১-এর ১৫তম দিন। মেলা শুরু হয় বিকেল ৩টায়। চলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার নতুন বই এসেছে ৭২টি।
বিষয়ভিত্তিক বই : গল্প-১৫, উপন্যাস-১০, প্রবন্ধ-৬, কবিতা-২২, গবেষণা-০, ছড়া-০, শিশুসাহিত্য-১, জীবনী-২, রচনাবলি-০, মুক্তিযুদ্ধ-১, নাটক-০, বিজ্ঞান-১, ভ্রমণ-০, ইতিহাস-৩, রাজনীতি-০, চি:/ স্বাস্থ্য-০, বঙ্গবন্ধু-৪, রম্য/ধাঁধা-১, ধর্মীয়-০, অনুবাদ-১, অভিধান-০, সায়েন্স ফিকশন-০ এবং অন্যান্য-৪টি বই। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য আগামী প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত আবদুল গণীর বই ‘প্রাচীন বাংলার ঐতিহাসিক ভূগোল’ এবারের মেলায় এসেছে। বইটি প্রাচীনকালের অনেক অজানা তথ্যের গবেষণামূলক তথ্য উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার, ০১ এপ্রিল ২০২১
মহামারী করোনা সংক্রমণের কারণে বইমেলার শুরু থেকেই ছিল পাঠক, ক্রেতা এবং দর্শনার্থী সংকট। করোনা কারণে ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে মার্চে শুরু হয় বইমেলা। অন্যাবারের তুলনায় তাই প্রথমে ক্রেতা-দর্শনার্থী কম থাকায় মলিনতার ছাপ ছিল। তবে ধীরে ধীরে বইমেলার ফিরছিল স্বরূপে। ছুটির দিনগুলোয় বাড়ছিল পাঠকের আনাগোনা। বসন্তের পরিবর্তে চৈত্রের খরতাপে মেলা হওয়ায় মূলত দুপুর গড়ানো বিকেলে থেকে গ্রন্থানুরাগীদের উচ্ছ্বাস আর জমাটবাঁধা আড্ডার মুখরিত হয় মেলা প্রাঙ্গণ। তাছাড়া করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তৃতীয়বারের মতো বইমেলার সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ৩১ মার্চ বুধবার হঠাৎ করেই বইমেলার নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করে বাংলা একাডেমি। নতুন সূচি অনুযায়ী, প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত মেলা চলবে। প্রকাশকদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই মেলার নতুন সময়সূচি ঘোষণা করায় বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) বিকেলে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির নেতারা।
বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে শুরু হওয়া বৈঠক মাত্র ১৫ মিনিট স্থায়ী হয়। এ বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ও সময় প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফরিদ আহমেদ জানান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। প্রকাশকদের তরফ থেকে বলা হয়েছে, নীতিমালা মেনে তারা মেলা শেষ করতে চান। তারপরও করোনার বিষয়টি মাথায় রেখে বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলার সময় নির্ধারণের জন্য তারা মহাপরিচালকের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
প্রকাশকদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী জানিয়েছেন, তিনি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন এবং নতুন সিদ্ধান্তের বিষয়ে আজ প্রকাশকদের জানাবেন। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠকে আরও অংশ নেন অনন্যা প্রকাশনীর মনিরুল হক, অ্যাডর্ন পাবলিকেশন্সের সৈয়দ জাকির হোসেন, অনুপম প্রকাশনীর মিলন নাথ, কাকলীর নাসির আহমেদ সেলিম, তাম্রলিপির একেএম তারিকুল ইসলাম রনি, প্রগতি পাবলিশার্সের আশরার মাসুদসহ অন্যরা।
এদিকে, অবিলম্বে বইমেলা, সামাজিক অনুষ্ঠান, বিনোদন কেন্দ্রসহ যেকোন মেলা বন্ধ করার সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। রোগ প্রতিরোধের জন্য অবিলম্বে সামাজিক অনুষ্ঠান, বিনোদনকেন্দ্র, বইমেলা ও অন্যান্য মেলা বন্ধ করা দরকার। পরিবহনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা সম্পর্কে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সব নির্দেশনা যাতে পালন করা হয়, তার ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, বুধবার থেকে বইমেলার সময় দেড় ঘণ্টা কমানো হয়েছে। বর্তমানে বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত বইমেলা হচ্ছে। শুক্র ও শনিবার সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত বইমেলা হবে।
বৃহস্পতিবার ছিল অমর একুশে বইমেলা ২০২১-এর ১৫তম দিন। মেলা শুরু হয় বিকেল ৩টায়। চলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার নতুন বই এসেছে ৭২টি।
বিষয়ভিত্তিক বই : গল্প-১৫, উপন্যাস-১০, প্রবন্ধ-৬, কবিতা-২২, গবেষণা-০, ছড়া-০, শিশুসাহিত্য-১, জীবনী-২, রচনাবলি-০, মুক্তিযুদ্ধ-১, নাটক-০, বিজ্ঞান-১, ভ্রমণ-০, ইতিহাস-৩, রাজনীতি-০, চি:/ স্বাস্থ্য-০, বঙ্গবন্ধু-৪, রম্য/ধাঁধা-১, ধর্মীয়-০, অনুবাদ-১, অভিধান-০, সায়েন্স ফিকশন-০ এবং অন্যান্য-৪টি বই। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য আগামী প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত আবদুল গণীর বই ‘প্রাচীন বাংলার ঐতিহাসিক ভূগোল’ এবারের মেলায় এসেছে। বইটি প্রাচীনকালের অনেক অজানা তথ্যের গবেষণামূলক তথ্য উঠে এসেছে।