দুর্ভোগ চরমে
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নওগাঁর রাণীনগর-আবাদপুকুর হয়ে কালীগঞ্জ যাওয়ার সড়ক সংস্কার কাজের দরপত্র বাতিল করেছে সওজ। ২২ কিলোমিটার সড়কের প্রসস্থ ও নির্মাণ কাজ দীর্ঘদিনেও শেষ না করায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিপত্র বাতিল করা হয়েছে। এতে করে এই অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের মেয়াদ আরো একধাপ বৃদ্ধি পেলো। সোমবার (২ মে) নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এই চুক্তিপত্র বাতিল করে প্রায় ৪ কোটি টাকা জরিমানা হিসেবে আর্থিকদন্ডে দন্ডিত করেছে ওই প্রতিষ্ঠানকে।
নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জনগুরুত্বপূর্ন রাণীনগর-আবাদপুকুর-কালীগঞ্জ ২২ কিলোমিটার সড়কটির প্রসস্থ এবং মজবুত পাকাকরণের জন্য গত ২০১৮ সালে দরপত্র আহবান করা হয়। দীর্ঘ ২২ কিলোমিটার রাস্তায় ২৬টি কালভার্ট ও ৪টি সেতু নির্মানে মোট ব্যয় ধরা হয় ১০৫ কোটি টাকা। এই কাজের সময় দেয়া হয় ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এর মধ্যে কয়েকটি কালভার্ট ও সেতুগুলোর কাজ এখনোও সম্পন্ন করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিয়ম না মেনে কাজ করায়, কাজে চরম গাফিলতি ও নির্ধারিত সময় শেষে একাধিকবার সতর্ক করার পরও বর্ধিত সময়েও কাজ শেষ না করায় ও নানা অনিয়মসহ বিভিন্ন কারণে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজের চুক্তিপত্র বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিপূরন হিসেবে প্রায় ৪ কোটি টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি ও অবহেলার কারণে বর্তমানে এই সড়কের বেহাল দশা। কোথাও পাথর আবার কোথাও ইটের খোয়া দিয়ে রাখা হয়েছে। এতে করে দীর্ঘদিন যাবত কাজ না করায় সড়কের অধিকাংশ স্থানেই সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের যার কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়তই চলাচল করতে হচ্ছে এই অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষকে। বর্তমানে এই সড়কটি উপজেলার পূর্বাঞ্চলের শত শত গ্রামের মানুষের গলার কাটায় পরিণত হয়েছে।
নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান বলেন, একাধিকবার সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করার পরও তারা নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে না পারাসহ বিভিন্ন কারনে ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজের চুক্তিপত্র বাতিল করা হয়েছে। দ্রুত অফিসিয়াল প্রসেস শেষ করে এই কাজের জন্য আবার নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হবে। এরপর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নতুন করে চুক্তিপত্র সম্পন্ন করার পর এই কাজ শুরু করা হবে। এতে করে দুর্ভোগের মেয়াদ আরো কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও আমরা চেষ্টা করবো যতদ্রুত এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়। আমি আশা রাখি সকল প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হলে চলতি বছরের শেষের দিকে এই সড়কের সকল কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।
দুর্ভোগ চরমে
মঙ্গলবার, ০৪ মে ২০২১
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নওগাঁর রাণীনগর-আবাদপুকুর হয়ে কালীগঞ্জ যাওয়ার সড়ক সংস্কার কাজের দরপত্র বাতিল করেছে সওজ। ২২ কিলোমিটার সড়কের প্রসস্থ ও নির্মাণ কাজ দীর্ঘদিনেও শেষ না করায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিপত্র বাতিল করা হয়েছে। এতে করে এই অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের মেয়াদ আরো একধাপ বৃদ্ধি পেলো। সোমবার (২ মে) নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এই চুক্তিপত্র বাতিল করে প্রায় ৪ কোটি টাকা জরিমানা হিসেবে আর্থিকদন্ডে দন্ডিত করেছে ওই প্রতিষ্ঠানকে।
নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জনগুরুত্বপূর্ন রাণীনগর-আবাদপুকুর-কালীগঞ্জ ২২ কিলোমিটার সড়কটির প্রসস্থ এবং মজবুত পাকাকরণের জন্য গত ২০১৮ সালে দরপত্র আহবান করা হয়। দীর্ঘ ২২ কিলোমিটার রাস্তায় ২৬টি কালভার্ট ও ৪টি সেতু নির্মানে মোট ব্যয় ধরা হয় ১০৫ কোটি টাকা। এই কাজের সময় দেয়া হয় ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এর মধ্যে কয়েকটি কালভার্ট ও সেতুগুলোর কাজ এখনোও সম্পন্ন করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিয়ম না মেনে কাজ করায়, কাজে চরম গাফিলতি ও নির্ধারিত সময় শেষে একাধিকবার সতর্ক করার পরও বর্ধিত সময়েও কাজ শেষ না করায় ও নানা অনিয়মসহ বিভিন্ন কারণে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজের চুক্তিপত্র বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিপূরন হিসেবে প্রায় ৪ কোটি টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি ও অবহেলার কারণে বর্তমানে এই সড়কের বেহাল দশা। কোথাও পাথর আবার কোথাও ইটের খোয়া দিয়ে রাখা হয়েছে। এতে করে দীর্ঘদিন যাবত কাজ না করায় সড়কের অধিকাংশ স্থানেই সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের যার কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়তই চলাচল করতে হচ্ছে এই অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষকে। বর্তমানে এই সড়কটি উপজেলার পূর্বাঞ্চলের শত শত গ্রামের মানুষের গলার কাটায় পরিণত হয়েছে।
নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান বলেন, একাধিকবার সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করার পরও তারা নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে না পারাসহ বিভিন্ন কারনে ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজের চুক্তিপত্র বাতিল করা হয়েছে। দ্রুত অফিসিয়াল প্রসেস শেষ করে এই কাজের জন্য আবার নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হবে। এরপর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নতুন করে চুক্তিপত্র সম্পন্ন করার পর এই কাজ শুরু করা হবে। এতে করে দুর্ভোগের মেয়াদ আরো কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও আমরা চেষ্টা করবো যতদ্রুত এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়। আমি আশা রাখি সকল প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হলে চলতি বছরের শেষের দিকে এই সড়কের সকল কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।