রংপুরসহ বিভাগের দুটি করোনা স্পেশালাইজড হাসপাতালের ২৪টি আইসিইউ বেডের এটিও ফাঁকা নেই। ফলে মুমূর্ষু রোগীরা আইসিইউ বেডের অভাবে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় আইসিইউতে ভর্তি হতে না পেরে বিনা চিকিৎসায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫ রোগী মারা গেছে। এরা সকলেই সাধারণ ওয়ার্ডে করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন।
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রংপুরে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে একশ বেডের হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হলেও সেখানে আইসিইউ বেড আছে কাগজ কলমে ১০টি। কিন্তু ৮টি বেডে আইসিইউ সংক্রান্ত সকল যন্ত্রপাতি রয়েছে। দুটি বেডের আইসিইউ কোনো সামগ্রী নেই। ফলে ৮টি বেড দিয়ে চলছে করোনা হাসপাতালের কার্যক্রম। অন্যদিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডকে করোনা ইউনিট হিসেবে ঘোষণা দিয়ে সেখানে ৩১ বেডের করোনা ইউনিট চালু করা হয়েছে অতি সম্প্রতি। কিন্তু সেখানে একটিও আইসিইউ বেড নেই। শুধু মাত্র মুমুর্ষ রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ করার লাইন রয়েছে। সেই অক্সিজেন সরবরাহ লাইনও চলছে জোড়াতালি দিয়ে। তার পরেও দুই হাসপাতালে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত আইসিইউ ৮টি বেডসহ রোগী আছে ১৯০ জন। অথচ দুটি হাসপাতালে রোগীর বেড আছে ১৩১টি। ফলে ৫৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী বেডে জায়গা না পাওয়ায় ফ্লোরিং করে মানবেতরভাবে অবস্থান করছে।
অন্যদিকে দিনাজপুর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ১৬টি আইসিইউ বেডের একটিও খালি নেই। বৃহসপতিবার দুপুর পর্যন্ত একটি আইসিইউ বেড খালি হয়নি। বরং করোনা আক্রান্ত মুমুর্ষু রোগী যাদের আইসিইউ সাপোর্ট দেয়া খুবই জরুরি এমন অন্তত ১৫ জন রোগীকে আইসিইউ সাপোর্ট দেয়া যাচ্ছে না বলে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান।
অন্যদিকে দিনাজপুর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে মোট বেডের অতিরিক্ত রোগী রয়েছে। সেখানে ২৬৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধিন আছে। রংপুর বিভাগের আইসিইউ বেড খালি না থাকা সাধারণ বেডে অতিরিক্ত রোগী থাকার বিষয়টি বৃহস্পতিবার প্রতিদিনের মতো প্রেস বিজ্ঞপ্তি আকারে সাংবাদিকদের সরবরাহ করা হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মোতাহারুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্বীকার করেন- রংপুর বিভাগের ৮ জেলার মানুষের জন্য আইসিইউ বেড আছে ২৪ টি। এর মধ্যে ১৬টি দিনাজপুরের কোভিট হাসপাতালে রংপুর কোভিড হাসপাতালে। আইসিইউ বেড সংখ্যা বৃদ্ধি করার বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অচিরেই আরও কিছু আইসিইউ বেড স্থাপন করা হচ্ছে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১
রংপুরসহ বিভাগের দুটি করোনা স্পেশালাইজড হাসপাতালের ২৪টি আইসিইউ বেডের এটিও ফাঁকা নেই। ফলে মুমূর্ষু রোগীরা আইসিইউ বেডের অভাবে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় আইসিইউতে ভর্তি হতে না পেরে বিনা চিকিৎসায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫ রোগী মারা গেছে। এরা সকলেই সাধারণ ওয়ার্ডে করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন।
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রংপুরে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে একশ বেডের হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হলেও সেখানে আইসিইউ বেড আছে কাগজ কলমে ১০টি। কিন্তু ৮টি বেডে আইসিইউ সংক্রান্ত সকল যন্ত্রপাতি রয়েছে। দুটি বেডের আইসিইউ কোনো সামগ্রী নেই। ফলে ৮টি বেড দিয়ে চলছে করোনা হাসপাতালের কার্যক্রম। অন্যদিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডকে করোনা ইউনিট হিসেবে ঘোষণা দিয়ে সেখানে ৩১ বেডের করোনা ইউনিট চালু করা হয়েছে অতি সম্প্রতি। কিন্তু সেখানে একটিও আইসিইউ বেড নেই। শুধু মাত্র মুমুর্ষ রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ করার লাইন রয়েছে। সেই অক্সিজেন সরবরাহ লাইনও চলছে জোড়াতালি দিয়ে। তার পরেও দুই হাসপাতালে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত আইসিইউ ৮টি বেডসহ রোগী আছে ১৯০ জন। অথচ দুটি হাসপাতালে রোগীর বেড আছে ১৩১টি। ফলে ৫৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী বেডে জায়গা না পাওয়ায় ফ্লোরিং করে মানবেতরভাবে অবস্থান করছে।
অন্যদিকে দিনাজপুর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ১৬টি আইসিইউ বেডের একটিও খালি নেই। বৃহসপতিবার দুপুর পর্যন্ত একটি আইসিইউ বেড খালি হয়নি। বরং করোনা আক্রান্ত মুমুর্ষু রোগী যাদের আইসিইউ সাপোর্ট দেয়া খুবই জরুরি এমন অন্তত ১৫ জন রোগীকে আইসিইউ সাপোর্ট দেয়া যাচ্ছে না বলে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান।
অন্যদিকে দিনাজপুর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে মোট বেডের অতিরিক্ত রোগী রয়েছে। সেখানে ২৬৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধিন আছে। রংপুর বিভাগের আইসিইউ বেড খালি না থাকা সাধারণ বেডে অতিরিক্ত রোগী থাকার বিষয়টি বৃহস্পতিবার প্রতিদিনের মতো প্রেস বিজ্ঞপ্তি আকারে সাংবাদিকদের সরবরাহ করা হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মোতাহারুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্বীকার করেন- রংপুর বিভাগের ৮ জেলার মানুষের জন্য আইসিইউ বেড আছে ২৪ টি। এর মধ্যে ১৬টি দিনাজপুরের কোভিট হাসপাতালে রংপুর কোভিড হাসপাতালে। আইসিইউ বেড সংখ্যা বৃদ্ধি করার বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অচিরেই আরও কিছু আইসিইউ বেড স্থাপন করা হচ্ছে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তিনি।