বাংলাদেশ আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এলাকায় আ.লীগের কোন কার্যালয় নেই। এ তথ্য জানিয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের মুখপাত্র, ওবায়দুল কাদেরের ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু বলেছেন, এ ঘটনায় দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।

সোমবার রাত ৯টায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদের। সারা জীবনে সততায় সমৃদ্ধ রাজনৈতিক জীবন যার, তার নির্বাচনী এলাকায় এ ধরনের অপরাজনীতি অনভিপ্রেত এবং অগ্রহণযোগ্য। এ বিষয়ে বার বার দাবি করেও আমরা কোন সমাধান পাইনি। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের দুইজন ভাইস চেয়ারম্যান তাদের চেয়ারে বসে অফিস করতে পারেনা। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, ২০০৮ সাল থেকে থেকে এখানে কে কমিশন বাণিজ্য করেছে?

মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু বলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগ ওবায়দুল কাদেরের সাথে আছে এবং জেলা আ.লীগের নির্দেশে গঠনতন্ত্র মোতাবেক কার্যক্রম চালাবে। কোন ব্যক্তির ইশারায়, কোন ব্যক্তির নির্দেশে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগ কোন ব্যক্তির সম্পদে পরিণত হবেনা।

দুই একজন মানুষের লোভের কারণে ওবায়দুল কাদের ও দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এটি থেকে আপনার বের হওয়া উচিত। আমরা ছোট মানুষ, আপনাকে পরামর্শ দেওয়ার যোগ্যতা ও সাহস কোনটাই আমরা রাখিনা। আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি।

এ সময় মঞ্জু প্রশ্ন রেখে বলেন, কাদের মির্জা এখন যুক্তরাষ্ট্রে। পৌরসভায় যে সকল সশন্ত্র সন্ত্রাসী অবস্থান করছে পুলিশ তাদের নিরাপত্তা দিয়ে রেখেছে। এটি কিসের আলামত? এ থেকে সাধারণ মানুষের কাছে কি ম্যাসেজ যাচ্ছে?

তিনি আরও বলেন, মন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি। আপনার এলাকায় আ.লীগের অফিসটা আপনার ভাই ভেঙ্গে চুরে নিয়ে গেছে। আপনার এলাকায় আ.লীগের কোন কার্যালয় নেই। কার্যালয় করতে গিয়ে উপজেলা আ.লীগের সভাপতি আপনার ভাইয়ের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছে। সেই থেকে আমার বাসায় আ.লীগের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আপনি আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এখানে কার্যালয় থাকবেনা কেন? আমরা মিটিং করতে গেলে প্রশাসন নানান কথা বলে। কিন্তু করেনার মধ্যে পৌরসভা হলরুমে মিটিং গুলো কিভাবে হয়?আপনার বাড়ির সামনে বোমা পাঠানোর নাটক সৃষ্টি করা হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগের একটি কার্যালয় প্রতিষ্ঠার সুযোগ করে দেন।