উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম কম্পিউটারটি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন রেজওয়ান সরদার।গত রোববার বিকেলে পর্ন থাকার অভিযোগে তার কম্পিউটারটি পুড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন সদর উপজেলার সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আসাদুজ্জামান ।
কম্পিউটারটি হারিয়ে ৬ সদস্যের সংসার চালানোর রোজগার নিয়ে দু:শ্চিন্তায় তিনি। রেজহওয়ান সদর উপজেলার শিয়ালডাঙ্গা গ্রামের গোলাপ সরদারের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা সদরের পশ্চিমে আবাদেরহাট বাজারে রেজওয়ান টেলিকম নামে একটি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান রয়েছে রেজওয়ান আহমেদের। এই প্রতিষ্ঠানে একটিমাত্র কম্পিউটারে ভিডিও ও ছবি, ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের ব্যবসা করে চলতো তার ছয় সদস্যের সংসার।
গত পয়লা আগস্ট রোববার বিকেলে তার প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আসাদুজ্জামান কম্পিউটারে পর্ন ভিডিও থাকার অভিযোগে রেজওয়ান টেলিকমকে এক হাজার টাকা জরিমানা ও একই সাথে কম্পিউটারটি জব্দ করে তা আগুনে পুড়িয়ে দেন।
রেজওয়ান সরদার জানান, লকডাউনে তিনি দোকান বন্ধ রেখেছিলেন। বাড়িতে বিদ্যুত লাইনে সমস্যা দেখা দেওয়ায় তিনি দোকানে এসেছিলেন যন্ত্রপাতি নিতে। দোকান খোলা দেখে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমাকে এক হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। এছাড়া দোকানের কম্পিউটার পুড়িয়ে দিয়েছেন। এটি আমার রোজগারের একমাত্র মাধ্যম ছিল।
পর্ন রাখার অভিযোগ অস্বীকার করে রেজওয়ান আহমেদ বলেন,পর্ন তো সবাই এখন নেটে দেখে। পর্ন ভিডিও তার ডেস্কটপে ছিলনা বলে তিনি দৃঢ়তার সাথে দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, এই কম্পিউটারের উপর চলে আমার ছয় সদস্যের সংসার। বৃদ্ধা দাদি, পিতা-মাতা, স্ত্রী নিয়েই আমার সেই সংসার এখন অচল প্রায়। লকডাউনে এমনিতেই সবকিছু স্থবির হয়ে পড়েছে, তার উপর দোকানের কম্পিউটারটি পুড়িয়ে দেওয়ায় আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা জজ কোর্টের অতিরিক্ত পিপি এডঃ ফাহিমুল হক কিসলু বলেন, কোন বেআইনী দ্রব্য বা পণ্য যা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর তা পুড়িয়ে বা অন্য কোনভাবে বিনষ্ট করতে হলে আদালতের নির্দেশ থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে মামলা হতে হবে, সেই মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা থাকবে। তারপর আদালত যদি নির্দেশ দেয় আলামত ধ্বংস করার, তাহলে তা ধ্বংস করা যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, কম্পিউটারে যদি কোন অশ্লীল ছবি বা ভিডিও থাকে শুধুমাত্র সেইগুলো ডিভাইস নষ্ট করা যেতে পারে। তাই বলে কম্পিউটার পুড়িয়ে দেওয়া আইনসিদ্ধ নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি প্রশ্ল রেখে বলেন, ইন্টারনেটে তো অনেক কিছুই থাকতে পারে। সেগুলো কি ধ্বংস করা সম্ভব?
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জামান জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিয়মিত অভিযান পরিচালনাকালে লকডাউনের মধ্যে দোকান খোলা রাখায় তাকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও কম্পিউটারে পর্ন ভিডিও থাকায় তা পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পর্ন ভিডিও সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর বিধায় দন্ডবিধির ২৯২ ধারায় তাকে জরিমানা ও জব্দকৃত আলামত ধ্বংস করা হয়। তিনি বলেন, এ ঘটনায় ওইদিন ৫৪০/২০২১ নং মামলা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির ১২ ধারা মোতাবেক ক্ষমতাবলে তিনি ওই আদেশ দিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার, ০৩ আগস্ট ২০২১
উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম কম্পিউটারটি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন রেজওয়ান সরদার।গত রোববার বিকেলে পর্ন থাকার অভিযোগে তার কম্পিউটারটি পুড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন সদর উপজেলার সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আসাদুজ্জামান ।
কম্পিউটারটি হারিয়ে ৬ সদস্যের সংসার চালানোর রোজগার নিয়ে দু:শ্চিন্তায় তিনি। রেজহওয়ান সদর উপজেলার শিয়ালডাঙ্গা গ্রামের গোলাপ সরদারের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা সদরের পশ্চিমে আবাদেরহাট বাজারে রেজওয়ান টেলিকম নামে একটি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান রয়েছে রেজওয়ান আহমেদের। এই প্রতিষ্ঠানে একটিমাত্র কম্পিউটারে ভিডিও ও ছবি, ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের ব্যবসা করে চলতো তার ছয় সদস্যের সংসার।
গত পয়লা আগস্ট রোববার বিকেলে তার প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আসাদুজ্জামান কম্পিউটারে পর্ন ভিডিও থাকার অভিযোগে রেজওয়ান টেলিকমকে এক হাজার টাকা জরিমানা ও একই সাথে কম্পিউটারটি জব্দ করে তা আগুনে পুড়িয়ে দেন।
রেজওয়ান সরদার জানান, লকডাউনে তিনি দোকান বন্ধ রেখেছিলেন। বাড়িতে বিদ্যুত লাইনে সমস্যা দেখা দেওয়ায় তিনি দোকানে এসেছিলেন যন্ত্রপাতি নিতে। দোকান খোলা দেখে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমাকে এক হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। এছাড়া দোকানের কম্পিউটার পুড়িয়ে দিয়েছেন। এটি আমার রোজগারের একমাত্র মাধ্যম ছিল।
পর্ন রাখার অভিযোগ অস্বীকার করে রেজওয়ান আহমেদ বলেন,পর্ন তো সবাই এখন নেটে দেখে। পর্ন ভিডিও তার ডেস্কটপে ছিলনা বলে তিনি দৃঢ়তার সাথে দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, এই কম্পিউটারের উপর চলে আমার ছয় সদস্যের সংসার। বৃদ্ধা দাদি, পিতা-মাতা, স্ত্রী নিয়েই আমার সেই সংসার এখন অচল প্রায়। লকডাউনে এমনিতেই সবকিছু স্থবির হয়ে পড়েছে, তার উপর দোকানের কম্পিউটারটি পুড়িয়ে দেওয়ায় আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা জজ কোর্টের অতিরিক্ত পিপি এডঃ ফাহিমুল হক কিসলু বলেন, কোন বেআইনী দ্রব্য বা পণ্য যা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর তা পুড়িয়ে বা অন্য কোনভাবে বিনষ্ট করতে হলে আদালতের নির্দেশ থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে মামলা হতে হবে, সেই মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা থাকবে। তারপর আদালত যদি নির্দেশ দেয় আলামত ধ্বংস করার, তাহলে তা ধ্বংস করা যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, কম্পিউটারে যদি কোন অশ্লীল ছবি বা ভিডিও থাকে শুধুমাত্র সেইগুলো ডিভাইস নষ্ট করা যেতে পারে। তাই বলে কম্পিউটার পুড়িয়ে দেওয়া আইনসিদ্ধ নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি প্রশ্ল রেখে বলেন, ইন্টারনেটে তো অনেক কিছুই থাকতে পারে। সেগুলো কি ধ্বংস করা সম্ভব?
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জামান জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিয়মিত অভিযান পরিচালনাকালে লকডাউনের মধ্যে দোকান খোলা রাখায় তাকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও কম্পিউটারে পর্ন ভিডিও থাকায় তা পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পর্ন ভিডিও সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর বিধায় দন্ডবিধির ২৯২ ধারায় তাকে জরিমানা ও জব্দকৃত আলামত ধ্বংস করা হয়। তিনি বলেন, এ ঘটনায় ওইদিন ৫৪০/২০২১ নং মামলা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির ১২ ধারা মোতাবেক ক্ষমতাবলে তিনি ওই আদেশ দিয়েছিলেন।