চর্তুদিকে পানি আর ময়লা আবর্জনার স্তুপ। আশেপাশে রয়েছে গাছপালা ও বাঁশঝাঁড়। গেইট খোলা কিন্তু ভেতরে কোন সাড়া শব্দ নেই। দেখে মনে হচ্ছে পুরনো কোন বাড়ি। ভেতরের পরিবেশটা আরও ভয়ানক। ঠিক যেন ভুতুড়ে বাড়ি। ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার ঘোঁষগাঁও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির এই বেহাল অবস্থা।
প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে নেই মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা। স্থানীয় এক যুবক জানায়, ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি এটা নাকি হাসপাতাল তবে কোনদিন কোন সেবা দিতে কাউকে দেখা যায়নি। ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে একজন আয়া ছাড়া কাউকে দেখা যায় না। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তিনি শুধু সামনের গেইটটা খুলে রাখেন। বিনা চিকিৎসায়, বিনা ওষুধে ফিরে যায় সাধারণ রোগীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ সরকারিভাবে যে ওষুধগুলো বরাদ্দ রয়েছে তা বিক্রি করে দেয়া হয়। এতে সেবা বঞ্চিত হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ৫টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। জনবল সঙ্কটসহ নানা সমস্যায় ভেঙ্গে পড়েছে সবগুলো কেন্দ্রের সেবা। এছাড়াও নানান অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মে বেহাল হয়ে পড়েছে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সেবা কার্যক্রম। মাঠকর্মীদের সেবা কার্যক্রম কাগজে কলমে থাকলেও মাঠ পর্যায়ে নেই মাঠ কর্মীরা। জন্ম নিয়ন্ত্রণের সরঞ্জাম শুধু মাঠ কর্মীরা গ্রহণ করেন। পরে তা কোথায় যায় কেউ জানে না। অঝোঁপাড়া এলাকা হিসেবে কোন কোন পরিবারে ৮-৯ জন সন্তান থাকলেও কোন পদক্ষেপ বা সচেতন করার উদ্যোগ নেই পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠ কর্মীদের। তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন জনবল সঙ্কটে ব্যাহত হচ্ছে এসব সেবা কার্যক্রম। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস সূত্রে জানা যায়, ৭টি ইউনিয়নে পরিবার পরিকল্পনা মাঠকর্মী হিসেবে ৩২ পদে রয়েছে ১৮ জন। তাদের মাঝে অধিকাংশ মাঠে না যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেন, জনবল সঙ্কটেই প্রয়োজনীয় সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না, তবে যারা রয়েছেন তারা কাজ করছে।
বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
চর্তুদিকে পানি আর ময়লা আবর্জনার স্তুপ। আশেপাশে রয়েছে গাছপালা ও বাঁশঝাঁড়। গেইট খোলা কিন্তু ভেতরে কোন সাড়া শব্দ নেই। দেখে মনে হচ্ছে পুরনো কোন বাড়ি। ভেতরের পরিবেশটা আরও ভয়ানক। ঠিক যেন ভুতুড়ে বাড়ি। ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার ঘোঁষগাঁও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির এই বেহাল অবস্থা।
প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে নেই মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা। স্থানীয় এক যুবক জানায়, ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি এটা নাকি হাসপাতাল তবে কোনদিন কোন সেবা দিতে কাউকে দেখা যায়নি। ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে একজন আয়া ছাড়া কাউকে দেখা যায় না। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তিনি শুধু সামনের গেইটটা খুলে রাখেন। বিনা চিকিৎসায়, বিনা ওষুধে ফিরে যায় সাধারণ রোগীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ সরকারিভাবে যে ওষুধগুলো বরাদ্দ রয়েছে তা বিক্রি করে দেয়া হয়। এতে সেবা বঞ্চিত হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ৫টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। জনবল সঙ্কটসহ নানা সমস্যায় ভেঙ্গে পড়েছে সবগুলো কেন্দ্রের সেবা। এছাড়াও নানান অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মে বেহাল হয়ে পড়েছে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সেবা কার্যক্রম। মাঠকর্মীদের সেবা কার্যক্রম কাগজে কলমে থাকলেও মাঠ পর্যায়ে নেই মাঠ কর্মীরা। জন্ম নিয়ন্ত্রণের সরঞ্জাম শুধু মাঠ কর্মীরা গ্রহণ করেন। পরে তা কোথায় যায় কেউ জানে না। অঝোঁপাড়া এলাকা হিসেবে কোন কোন পরিবারে ৮-৯ জন সন্তান থাকলেও কোন পদক্ষেপ বা সচেতন করার উদ্যোগ নেই পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠ কর্মীদের। তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন জনবল সঙ্কটে ব্যাহত হচ্ছে এসব সেবা কার্যক্রম। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস সূত্রে জানা যায়, ৭টি ইউনিয়নে পরিবার পরিকল্পনা মাঠকর্মী হিসেবে ৩২ পদে রয়েছে ১৮ জন। তাদের মাঝে অধিকাংশ মাঠে না যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেন, জনবল সঙ্কটেই প্রয়োজনীয় সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না, তবে যারা রয়েছেন তারা কাজ করছে।