সকালে অথৈ পানি, বিকেলে জেগে উঠছে বালুচর। তিস্তার সে এক অপরূপ মহিমা। গত এক সপ্তাহ আগে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চ-িপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার নদীতে থৈ থৈ করছিল বন্যার পানি। তিস্তার চরে নৌকা ছাড়া চলাচলের কোন পথ ছিল না, অথচ এক সপ্তাহের ব্যাবধানে পানি সরে গিয়ে দেখা দিয়েছে বালুচর। জেগে উঠেছে ডুবে যাওয়া আমনসহ নানান ফসলের ক্ষেত।
গত বৃহস্পতিবার উপজেলার চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে-ফিরে দেখা গেছে, পানি নেমে যাওয়ায় চরাঞ্চলের কৃষকরা স্ত্রী, কন্যা ও পরিজন নিয়ে মাঠে নানাবিধ ফসলের ক্ষেত পরিচর্যাকাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। কথা হয়, হরিপুর চরের ফরমান আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, আশা করা যাচ্ছে আর আমন ক্ষেতে পানি উঠবে না। সে কারণে পরিজন নিয়ে ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার করা হচ্ছে। পাশাপাশি যে সব ধান ক্ষেতের গোছা (চারা) নষ্ট হয়ে গেছে তা মেরামত করে দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আশা নিয়ে এখনও আমন চারা রোপণ করা হচ্ছে। এদিকে শাখা নদীগুলোতে পানি না থাকায় নৌকা চলাচল করতে পারছে না। অনেকে হেঁটে, আবার অনেকে হাঁটুপানি পাড়ি দিয়ে নৌকায় উঠে নদী পার হচ্ছে। তিস্তার এই অপরূপ দৃশ্য যেন প্রকৃতিকে হার মানিয়েছে।
অন্যদিকে, হরিপুর ইউনিয়নের উজানে এখনও ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, পানি নেমে যাওয়ায়, চরাঞ্চল জেগে উঠেছে। চরাঞ্চলের কৃষকরা তাদের প্রাণ ফিরে পেয়েছে। রোপণকৃত ফসল ঘরে তোলার জন্য মরিয়ে উঠেছে তারা।
তিনি বলেন, বন্যাপরবর্তী যোগযোগ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে, মেরামত একান্ত প্রয়োজন। উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল কবির জানান, চলতি বছরের বন্যায় চরাঞ্চলের ফসলের তেমন ক্ষতি হয়নি। পলি জমে যাওয়ায় আমনের ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
সকালে অথৈ পানি, বিকেলে জেগে উঠছে বালুচর। তিস্তার সে এক অপরূপ মহিমা। গত এক সপ্তাহ আগে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চ-িপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার নদীতে থৈ থৈ করছিল বন্যার পানি। তিস্তার চরে নৌকা ছাড়া চলাচলের কোন পথ ছিল না, অথচ এক সপ্তাহের ব্যাবধানে পানি সরে গিয়ে দেখা দিয়েছে বালুচর। জেগে উঠেছে ডুবে যাওয়া আমনসহ নানান ফসলের ক্ষেত।
গত বৃহস্পতিবার উপজেলার চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে-ফিরে দেখা গেছে, পানি নেমে যাওয়ায় চরাঞ্চলের কৃষকরা স্ত্রী, কন্যা ও পরিজন নিয়ে মাঠে নানাবিধ ফসলের ক্ষেত পরিচর্যাকাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। কথা হয়, হরিপুর চরের ফরমান আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, আশা করা যাচ্ছে আর আমন ক্ষেতে পানি উঠবে না। সে কারণে পরিজন নিয়ে ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার করা হচ্ছে। পাশাপাশি যে সব ধান ক্ষেতের গোছা (চারা) নষ্ট হয়ে গেছে তা মেরামত করে দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আশা নিয়ে এখনও আমন চারা রোপণ করা হচ্ছে। এদিকে শাখা নদীগুলোতে পানি না থাকায় নৌকা চলাচল করতে পারছে না। অনেকে হেঁটে, আবার অনেকে হাঁটুপানি পাড়ি দিয়ে নৌকায় উঠে নদী পার হচ্ছে। তিস্তার এই অপরূপ দৃশ্য যেন প্রকৃতিকে হার মানিয়েছে।
অন্যদিকে, হরিপুর ইউনিয়নের উজানে এখনও ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, পানি নেমে যাওয়ায়, চরাঞ্চল জেগে উঠেছে। চরাঞ্চলের কৃষকরা তাদের প্রাণ ফিরে পেয়েছে। রোপণকৃত ফসল ঘরে তোলার জন্য মরিয়ে উঠেছে তারা।
তিনি বলেন, বন্যাপরবর্তী যোগযোগ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে, মেরামত একান্ত প্রয়োজন। উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল কবির জানান, চলতি বছরের বন্যায় চরাঞ্চলের ফসলের তেমন ক্ষতি হয়নি। পলি জমে যাওয়ায় আমনের ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।