রংপুরে কোরবানীর পশুর চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছে মৌসুমী চামড়া ব্যাবসায়ীরা। সরকার চামড়ার দাম সরকার নির্ধারন করে দিলেও আড়তদার ব্যাবসায়ীরা তা মানছেননা। আড়তদাররা ইচ্ছে মতো দাম নির্ধারন করে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য করছে বলে অভিযোগ মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীদের।
৫ জন চামড়া ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেট করে রংপুরের পুরো চামড়ার বাজার এক চেটিয়া ভাবে নিয়ন্ত্রন করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পশুর চামড়া বিক্রি করার ব্যাপারে জেলা প্রশাসন , আইন শৃংখলা রক্ষাকারী এমনকি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন পরিষদের কোন তৎপরতাও লক্ষ্য করা যায়নি বলে অভিযোগ মৌসুমী ব্যবসায়ী ও নগরবাসিদের। ফলে মানুষকে জিম্মি করে সরকার নির্ধারিত মুল্যের অর্ধেক দামে ৩ থেকে ৫শ টাকা দরে দামড়া বিক্রি করতে বাধ্য করেছে তারা।
ঈদের দিন শনিবার বিকেল ৫ টায় সরেজমিন রংপুর নগরীর শাপলাচত্বর এলাকায় চামড়া পট্টি ঘুরে দেখা গেছে রংপুর নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাকে , রিকশা আর অটো ভ্যানে করে শত শত চামড়া নিয়ে আসছেন মৌসুমী ও চামড়া ব্যাবসায়ীরা। মৌসুমী ব্যবসায়ীদের অভিযোগ সরকার নির্ধারিত মুল্য অনুযায়ী প্রতি পিস চামড়া ১২ থেকে ১৩শ টাকা নির্ধারন করে দেয়া হলেও আড়তদাররা সর্ব্বচ্য ৪ থেকে ৫ শ টাকার বেশি দামে চামড়া কিনবেনা বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।
রংপুর নগরীর সিও বাজার থেকে শতাধিক চামড়া নিয়ে আসা মৌসুমী চামড়া ব্যাবসায়ী মন্টু মিয়া জানান প্রতিটি ্ মাঝারী গরুর চামড়া সর্বনিন্ম এক হাজার থেকে ১২শ টাকা, বড় গরুর চামড়া দেড় হাজার থেকে দু হাজার টাকা দাম হবার কথা। তিনি গড়ে ৮শ টাকা দরে চামড়া কিনছেন আড়তদাররা। গাড়ি ভাড়া আনুসাঙ্গিক খরচ সহ সাড়ে সাড়ে ৮শ টাকা পড়েছে। কিন্তু আড়তদাররা ৫শ টাকার বেশি দামে চামড়া কিনতে রাজি হচ্ছেনা ফলে তাকে বিপুল পরিমান অর্থ গচ্চা দিতে হবে। এরকই কথা জানালেন নগরীর মর্ডান মোড় এলাকার মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী আজ্ঞু মিয়া। তিনিও গড়ে ৬শ টাকা দরে চামড়া নিয়ে আড়তে এসেছেন আড়তদাররা ৫শ টাকার বেশি দামে চামড়া নিচ্ছেননা।
অন্যদিকে রংপুর নগরীর বাস টার্মিনাল এলাকার মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী রোস্তম আলী , পালিচড়ার মমতাজ জানালো তারা গড়ে ৭ থেকে ৮শ টাকা দামে চামড়া কিনেছে আড়তদার ব্যাবসায়ীরা আসল টাকা দামও বলছে না । আড়তদাররা ফুট হিসেবে চামড়া কেনার কথা কিন্তু তারা তা না করে মাঝারী চামড়া ৩ থেকে ৪শ বড় চামড়া ৫ থেকে সাড়ে ৫শ টাকার দাম নির্ধারন করে দিয়েছে।
তারা সরকারের দেয়া নির্দ্দেশ মানছেনা। রংপুরের চামড়ার আড়তদাররা সিন্ডিকেট করে নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী দাম নির্ধারন করে মানুষকে জিম্মিকরে ফেলেছে। চামড়ার ন্যায্য মুল্য পাওয়ার ব্যাপারে প্রশাসনের নজরদারির কথা বলা হলেও তাদের কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেন মৌসুমী ব্যাবসায়ীরা। এ ব্যাপারে রংপুর চেম্বার অফ কমার্সের পরিচালক সালাম অভিযোগ করেছেন কিছু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী তাদের মনোপলি দাম নির্ধারন করে জিম্মিকরে ফেলেছেন। সরকার দাম নির্ধারন করে দিলেও তারা তা মানছেননা। তিনি জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেবার দাবি জানান।
এদিকে রংপুর বিভাগীয় প্রানী সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ডা, নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন এবার রংপুর মহানগরী সহ পুরো জেলাতেই দুই লাখেরও বেশি গরু কোরবানী হয়েছে, খাসি হয়েছে প্রায় লাখেরও কাছাকাছি। কিন্তু চামড়া কেনা নিয়ে সরকার নির্ধারিত মুল্যে না মানার অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানালেন।
তবে ঈদের দিন কোরবানীর চামড়া বেঁচা কেনা মনিটারিং করা নিয়ে ভোক্তা অধিকারের কোন তৎপরতদা লক্ষ্য করা যায়নি।
এ ব্যাপারে চামড়া ব্যাবসায়ী আড়তদার মকবুল হোসেন বলেন, চামড়া সংরক্ষন করা লবন কেনাসহ চামড়া প্রতি ৪ থেকে ৫শ টাকা ব্যয় হয়। ফলে তাদের সরকার নির্ধারিত মুল্যে চামড়া কেনা সম্ভব হচ্ছেনা বলে স্বীকার করেন তিনি।
রোববার, ০৮ জুন ২০২৫
রংপুরে কোরবানীর পশুর চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছে মৌসুমী চামড়া ব্যাবসায়ীরা। সরকার চামড়ার দাম সরকার নির্ধারন করে দিলেও আড়তদার ব্যাবসায়ীরা তা মানছেননা। আড়তদাররা ইচ্ছে মতো দাম নির্ধারন করে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য করছে বলে অভিযোগ মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীদের।
৫ জন চামড়া ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেট করে রংপুরের পুরো চামড়ার বাজার এক চেটিয়া ভাবে নিয়ন্ত্রন করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পশুর চামড়া বিক্রি করার ব্যাপারে জেলা প্রশাসন , আইন শৃংখলা রক্ষাকারী এমনকি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন পরিষদের কোন তৎপরতাও লক্ষ্য করা যায়নি বলে অভিযোগ মৌসুমী ব্যবসায়ী ও নগরবাসিদের। ফলে মানুষকে জিম্মি করে সরকার নির্ধারিত মুল্যের অর্ধেক দামে ৩ থেকে ৫শ টাকা দরে দামড়া বিক্রি করতে বাধ্য করেছে তারা।
ঈদের দিন শনিবার বিকেল ৫ টায় সরেজমিন রংপুর নগরীর শাপলাচত্বর এলাকায় চামড়া পট্টি ঘুরে দেখা গেছে রংপুর নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাকে , রিকশা আর অটো ভ্যানে করে শত শত চামড়া নিয়ে আসছেন মৌসুমী ও চামড়া ব্যাবসায়ীরা। মৌসুমী ব্যবসায়ীদের অভিযোগ সরকার নির্ধারিত মুল্য অনুযায়ী প্রতি পিস চামড়া ১২ থেকে ১৩শ টাকা নির্ধারন করে দেয়া হলেও আড়তদাররা সর্ব্বচ্য ৪ থেকে ৫ শ টাকার বেশি দামে চামড়া কিনবেনা বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।
রংপুর নগরীর সিও বাজার থেকে শতাধিক চামড়া নিয়ে আসা মৌসুমী চামড়া ব্যাবসায়ী মন্টু মিয়া জানান প্রতিটি ্ মাঝারী গরুর চামড়া সর্বনিন্ম এক হাজার থেকে ১২শ টাকা, বড় গরুর চামড়া দেড় হাজার থেকে দু হাজার টাকা দাম হবার কথা। তিনি গড়ে ৮শ টাকা দরে চামড়া কিনছেন আড়তদাররা। গাড়ি ভাড়া আনুসাঙ্গিক খরচ সহ সাড়ে সাড়ে ৮শ টাকা পড়েছে। কিন্তু আড়তদাররা ৫শ টাকার বেশি দামে চামড়া কিনতে রাজি হচ্ছেনা ফলে তাকে বিপুল পরিমান অর্থ গচ্চা দিতে হবে। এরকই কথা জানালেন নগরীর মর্ডান মোড় এলাকার মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী আজ্ঞু মিয়া। তিনিও গড়ে ৬শ টাকা দরে চামড়া নিয়ে আড়তে এসেছেন আড়তদাররা ৫শ টাকার বেশি দামে চামড়া নিচ্ছেননা।
অন্যদিকে রংপুর নগরীর বাস টার্মিনাল এলাকার মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী রোস্তম আলী , পালিচড়ার মমতাজ জানালো তারা গড়ে ৭ থেকে ৮শ টাকা দামে চামড়া কিনেছে আড়তদার ব্যাবসায়ীরা আসল টাকা দামও বলছে না । আড়তদাররা ফুট হিসেবে চামড়া কেনার কথা কিন্তু তারা তা না করে মাঝারী চামড়া ৩ থেকে ৪শ বড় চামড়া ৫ থেকে সাড়ে ৫শ টাকার দাম নির্ধারন করে দিয়েছে।
তারা সরকারের দেয়া নির্দ্দেশ মানছেনা। রংপুরের চামড়ার আড়তদাররা সিন্ডিকেট করে নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী দাম নির্ধারন করে মানুষকে জিম্মিকরে ফেলেছে। চামড়ার ন্যায্য মুল্য পাওয়ার ব্যাপারে প্রশাসনের নজরদারির কথা বলা হলেও তাদের কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেন মৌসুমী ব্যাবসায়ীরা। এ ব্যাপারে রংপুর চেম্বার অফ কমার্সের পরিচালক সালাম অভিযোগ করেছেন কিছু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী তাদের মনোপলি দাম নির্ধারন করে জিম্মিকরে ফেলেছেন। সরকার দাম নির্ধারন করে দিলেও তারা তা মানছেননা। তিনি জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেবার দাবি জানান।
এদিকে রংপুর বিভাগীয় প্রানী সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ডা, নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন এবার রংপুর মহানগরী সহ পুরো জেলাতেই দুই লাখেরও বেশি গরু কোরবানী হয়েছে, খাসি হয়েছে প্রায় লাখেরও কাছাকাছি। কিন্তু চামড়া কেনা নিয়ে সরকার নির্ধারিত মুল্যে না মানার অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানালেন।
তবে ঈদের দিন কোরবানীর চামড়া বেঁচা কেনা মনিটারিং করা নিয়ে ভোক্তা অধিকারের কোন তৎপরতদা লক্ষ্য করা যায়নি।
এ ব্যাপারে চামড়া ব্যাবসায়ী আড়তদার মকবুল হোসেন বলেন, চামড়া সংরক্ষন করা লবন কেনাসহ চামড়া প্রতি ৪ থেকে ৫শ টাকা ব্যয় হয়। ফলে তাদের সরকার নির্ধারিত মুল্যে চামড়া কেনা সম্ভব হচ্ছেনা বলে স্বীকার করেন তিনি।