তিন দিনের অবস্থান, লংমার্চ ও অনশনের পর দাবি মানার প্রতিশ্রুতি পেয়ে আন্দোলন স্থগিত করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ আন্দোলনস্থলে এসে দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়।
সেখানে তিনি অনশনকারী এক শিক্ষার্থীকে নিজ হাতে পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান। এরপর শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইছ উদ্দীন আনুষ্ঠানিকভাবে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।
কী ছিল শিক্ষার্থীদের দাবি?
আন্দোলনকারীদের প্রধান তিনটি দাবি ছিল:
-২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি চালু,
-প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদন,
-দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন দিয়ে দ্রুত বাস্তবায়ন।**
ইউজিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,
- বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন বাজেট বাড়ানো হচ্ছে,
- দ্রুত অস্থায়ী হল নির্মাণ শুরু হবে,
- দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রকল্পকেও অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
কী বললেন উপাচার্য ও শিক্ষক নেতারা?
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন,
“দাবিগুলো বাস্তবায়নে প্রশাসন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।”
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রইছ উদ্দীন বলেন,
“যদি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে গড়িমসি হয়, আমরা আবার রাস্তায় নামব।”
কীভাবে শুরু হয়েছিল আন্দোলন?
গত বুধবার (১৫ মে) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা লংমার্চ করে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যমুনা ভবনের দিকে এগোতে গেলে কাকরাইলে পুলিশ বাধা দেয়। সেখানে কাঁদানে গ্যাস, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। এতে আহত হন অন্তত ৫০ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী। এরপর থেকে আন্দোলন ক্রমেই তীব্র হয়।
পরে কাকরাইল মোড়েই অবস্থান নিয়ে শুরু হয় টানা আন্দোলন, যার শেষ হয় শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় ইউজিসির আশ্বাসে।
রোববার, ১৮ মে ২০২৫
তিন দিনের অবস্থান, লংমার্চ ও অনশনের পর দাবি মানার প্রতিশ্রুতি পেয়ে আন্দোলন স্থগিত করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ আন্দোলনস্থলে এসে দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়।
সেখানে তিনি অনশনকারী এক শিক্ষার্থীকে নিজ হাতে পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান। এরপর শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইছ উদ্দীন আনুষ্ঠানিকভাবে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।
কী ছিল শিক্ষার্থীদের দাবি?
আন্দোলনকারীদের প্রধান তিনটি দাবি ছিল:
-২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি চালু,
-প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদন,
-দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন দিয়ে দ্রুত বাস্তবায়ন।**
ইউজিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,
- বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন বাজেট বাড়ানো হচ্ছে,
- দ্রুত অস্থায়ী হল নির্মাণ শুরু হবে,
- দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রকল্পকেও অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
কী বললেন উপাচার্য ও শিক্ষক নেতারা?
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন,
“দাবিগুলো বাস্তবায়নে প্রশাসন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।”
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রইছ উদ্দীন বলেন,
“যদি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে গড়িমসি হয়, আমরা আবার রাস্তায় নামব।”
কীভাবে শুরু হয়েছিল আন্দোলন?
গত বুধবার (১৫ মে) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা লংমার্চ করে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যমুনা ভবনের দিকে এগোতে গেলে কাকরাইলে পুলিশ বাধা দেয়। সেখানে কাঁদানে গ্যাস, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। এতে আহত হন অন্তত ৫০ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী। এরপর থেকে আন্দোলন ক্রমেই তীব্র হয়।
পরে কাকরাইল মোড়েই অবস্থান নিয়ে শুরু হয় টানা আন্দোলন, যার শেষ হয় শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় ইউজিসির আশ্বাসে।