হত্যা চেষ্টা মামলায় জামিন না দেওয়ায় ঢাকার এক বিচারককে ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ বলে গালিগালাজ করেছেন বিএনপিপন্থি কয়েকজন আইনজীবী। এ সময় তারা আদালতের কজলিস্ট ছুড়ে ফেলা ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার একটি হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি হানিফ মেম্বারের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হলে উত্তেজিত হয়ে পড়েন কয়েকজন আইনজীবী। আদালতের বেঞ্চ সহকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “বিচারক জামিন নাকচ করার পর আইনজীবীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। একপর্যায়ে বলেন, ‘আপনি আওয়ামী লীগের দালাল’। কজলিস্ট ছুড়ে দেন এবং বিচারককে হুমকি দেন।”
ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যায়, আইনজীবী খোরশেদ আলম বিচারকের উদ্দেশে বলেন, “দুইটা মামলার ঘটনা, তারিখ, সময়, স্থান একই—এটা হয়?” এরপর তিনি এজলাস ত্যাগ করেন।
অন্য এক আইনজীবী আব্দুল খালেক মিলন বলেন, “আমরা শুনানি করে চলে আসি। পরে বিচারক জিআরওকে বলেন, ‘আপনি ভয় পেয়েছেন জামিনের বিরোধিতা করতে’। এটা আমাদের অসম্মান করা হয়েছে।”
তবে আদালত সূত্র বলছে, আইনজীবীরা পুনরায় শুনানির জন্য বিচারকের ওপর চাপ প্রয়োগ করেন। বিচারক বলেন, “স্পেশাল পুটআপে সিজেএম স্যারের অনুমতি নিলে পুনরায় শুনানি হতে পারে।” এরপরও উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়।
মামলার বাদী ফজলুল হক অভিযোগ করেছেন, শাক্তা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার হানিফ দীর্ঘদিন ধরে জমি দখলসহ নানা অনিয়মে জড়িত। তিনি বলেন, “জমি দখলের চেষ্টা, বাড়ি ভাঙচুর, কেয়ারটেকারকে বেঁধে রাখা, স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি—এসব ঘটনায় মামলা করেছি। এখন মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে।”
বাদীর অভিযোগ, “সে তিতাস গ্যাসের লাইন দেওয়ার নামে হাজার হাজার মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। এখন জেলে থেকেও হুমকি দিচ্ছে। উকিলরাও কোর্টে দাঁড়িয়ে হুমকি দেয়। হানিফের প্রভাব এত বেশি যে এলাকার সাবেক এমপির চেয়েও বেশি।”
রোববার, ১৮ মে ২০২৫
হত্যা চেষ্টা মামলায় জামিন না দেওয়ায় ঢাকার এক বিচারককে ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ বলে গালিগালাজ করেছেন বিএনপিপন্থি কয়েকজন আইনজীবী। এ সময় তারা আদালতের কজলিস্ট ছুড়ে ফেলা ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার একটি হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি হানিফ মেম্বারের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হলে উত্তেজিত হয়ে পড়েন কয়েকজন আইনজীবী। আদালতের বেঞ্চ সহকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “বিচারক জামিন নাকচ করার পর আইনজীবীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। একপর্যায়ে বলেন, ‘আপনি আওয়ামী লীগের দালাল’। কজলিস্ট ছুড়ে দেন এবং বিচারককে হুমকি দেন।”
ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যায়, আইনজীবী খোরশেদ আলম বিচারকের উদ্দেশে বলেন, “দুইটা মামলার ঘটনা, তারিখ, সময়, স্থান একই—এটা হয়?” এরপর তিনি এজলাস ত্যাগ করেন।
অন্য এক আইনজীবী আব্দুল খালেক মিলন বলেন, “আমরা শুনানি করে চলে আসি। পরে বিচারক জিআরওকে বলেন, ‘আপনি ভয় পেয়েছেন জামিনের বিরোধিতা করতে’। এটা আমাদের অসম্মান করা হয়েছে।”
তবে আদালত সূত্র বলছে, আইনজীবীরা পুনরায় শুনানির জন্য বিচারকের ওপর চাপ প্রয়োগ করেন। বিচারক বলেন, “স্পেশাল পুটআপে সিজেএম স্যারের অনুমতি নিলে পুনরায় শুনানি হতে পারে।” এরপরও উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়।
মামলার বাদী ফজলুল হক অভিযোগ করেছেন, শাক্তা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার হানিফ দীর্ঘদিন ধরে জমি দখলসহ নানা অনিয়মে জড়িত। তিনি বলেন, “জমি দখলের চেষ্টা, বাড়ি ভাঙচুর, কেয়ারটেকারকে বেঁধে রাখা, স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি—এসব ঘটনায় মামলা করেছি। এখন মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে।”
বাদীর অভিযোগ, “সে তিতাস গ্যাসের লাইন দেওয়ার নামে হাজার হাজার মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। এখন জেলে থেকেও হুমকি দিচ্ছে। উকিলরাও কোর্টে দাঁড়িয়ে হুমকি দেয়। হানিফের প্রভাব এত বেশি যে এলাকার সাবেক এমপির চেয়েও বেশি।”