মালয়েশিয়ায় জঙ্গিবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে ৩৫ বাংলাদেশি প্রবাসীর বিরুদ্ধে ঢাকার বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।
রোববার (৬ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান মামলার এজাহার গ্রহণ করে আগামী ১১ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মালয়েশিয়ায় অবস্থানকালে বিভিন্ন উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহ, মতাদর্শ প্রচার এবং অর্থ সংগ্রহ ও প্রেরণের কাজ করতেন।
এই মামলায় ইতোমধ্যে মালয়েশিয়া থেকে ফেরত পাঠানো তিনজন—নজরুল ইসলাম সোহাগ, মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম ও জাহেদ আহমেদকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গত শুক্রবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, এসব প্রবাসী মালয়েশিয়ার আইপি ঠিকানা ব্যবহার করে বাংলাদেশে উগ্রবাদ ছড়ানোর পাশাপাশি সিরিয়া ও অন্যান্য দেশে অর্থ পাঠাতেন। সংগঠনের সদস্য হিসেবে তারা বছরে ৫০০ রিঙ্গিত করে চাঁদা দিতেন।
অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, এ চক্রটি বাংলাদেশে ফিরে নতুন করে জঙ্গি কার্যক্রমে লিপ্ত হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, যা দেশের সার্বভৌমত্ব ও জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারত।
মালয়েশিয়ার পুলিশ প্রধান খালিদ ইসমাইল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে ৩৬ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ সংশ্লিষ্ট মামলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আটক বাংলাদেশিরা মূলত নির্মাণ, কারখানা ও সেবা খাতে কাজ করতেন। তারা আইএস-এর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে অর্থ সংগ্রহ করে সিরিয়া ও বাংলাদেশে পাঠাচ্ছিল।
তবে মালয়েশিয়ার পুলিশের এসব বক্তব্যের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বার্তা পায়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সরকারের কাছে মালয়েশিয়ার পুলিশ প্রধানের বক্তব্যের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বার্তা আসেনি। আমরা সরকারি পর্যায়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।”
এ মামলায় যেসব প্রবাসীর নাম এসেছে, তারা হলেন, মো. নজরুল ইসলাম সোহাগ, মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, জাহেদ আহমেদ, পারভেজ মাহমুদ পাবেল, শরীফ উদ্দিন, রহমান মোহাম্মদ হাবিবুর, সালেহ আহমেদ, মো. আব্দুস সহিদ মিয়া, মো. মতিন, ফয়সাল আলম, রায়হান আহমেদ, মো. রাজ, মো. মনসুরুল হক, ইমন মহিদুজ্জামান, আকরাম মো. ওয়াসিম, শেখ সালাম, মোহাম্মদ রাজ মাহমুদ মন্ডল, আশরাফুল ইসলাম, মোহাম্মদ ফয়সাল উদ্দিন, মাহফুজ, রবিউল হাসান, মোহাম্মদ সোহেল রানা, মো. আফসার ভূইয়া, হোসাইন সাহেদ, মো. আশিকুর বিশ্বাস, মো. শাওন শেখ, ইয়াসিন আলী, মোহাম্মদ পারভেজ মোশারফ, মহিউদ্দিন, সাব্বির হোসাইন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. শাকিল মিয়া, আসাদুজ্জামান হোসাইন এবং মো. সোহাগ রানা।
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫
মালয়েশিয়ায় জঙ্গিবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে ৩৫ বাংলাদেশি প্রবাসীর বিরুদ্ধে ঢাকার বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।
রোববার (৬ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান মামলার এজাহার গ্রহণ করে আগামী ১১ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মালয়েশিয়ায় অবস্থানকালে বিভিন্ন উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহ, মতাদর্শ প্রচার এবং অর্থ সংগ্রহ ও প্রেরণের কাজ করতেন।
এই মামলায় ইতোমধ্যে মালয়েশিয়া থেকে ফেরত পাঠানো তিনজন—নজরুল ইসলাম সোহাগ, মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম ও জাহেদ আহমেদকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গত শুক্রবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, এসব প্রবাসী মালয়েশিয়ার আইপি ঠিকানা ব্যবহার করে বাংলাদেশে উগ্রবাদ ছড়ানোর পাশাপাশি সিরিয়া ও অন্যান্য দেশে অর্থ পাঠাতেন। সংগঠনের সদস্য হিসেবে তারা বছরে ৫০০ রিঙ্গিত করে চাঁদা দিতেন।
অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, এ চক্রটি বাংলাদেশে ফিরে নতুন করে জঙ্গি কার্যক্রমে লিপ্ত হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, যা দেশের সার্বভৌমত্ব ও জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারত।
মালয়েশিয়ার পুলিশ প্রধান খালিদ ইসমাইল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে ৩৬ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ সংশ্লিষ্ট মামলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আটক বাংলাদেশিরা মূলত নির্মাণ, কারখানা ও সেবা খাতে কাজ করতেন। তারা আইএস-এর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে অর্থ সংগ্রহ করে সিরিয়া ও বাংলাদেশে পাঠাচ্ছিল।
তবে মালয়েশিয়ার পুলিশের এসব বক্তব্যের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বার্তা পায়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সরকারের কাছে মালয়েশিয়ার পুলিশ প্রধানের বক্তব্যের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বার্তা আসেনি। আমরা সরকারি পর্যায়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।”
এ মামলায় যেসব প্রবাসীর নাম এসেছে, তারা হলেন, মো. নজরুল ইসলাম সোহাগ, মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, জাহেদ আহমেদ, পারভেজ মাহমুদ পাবেল, শরীফ উদ্দিন, রহমান মোহাম্মদ হাবিবুর, সালেহ আহমেদ, মো. আব্দুস সহিদ মিয়া, মো. মতিন, ফয়সাল আলম, রায়হান আহমেদ, মো. রাজ, মো. মনসুরুল হক, ইমন মহিদুজ্জামান, আকরাম মো. ওয়াসিম, শেখ সালাম, মোহাম্মদ রাজ মাহমুদ মন্ডল, আশরাফুল ইসলাম, মোহাম্মদ ফয়সাল উদ্দিন, মাহফুজ, রবিউল হাসান, মোহাম্মদ সোহেল রানা, মো. আফসার ভূইয়া, হোসাইন সাহেদ, মো. আশিকুর বিশ্বাস, মো. শাওন শেখ, ইয়াসিন আলী, মোহাম্মদ পারভেজ মোশারফ, মহিউদ্দিন, সাব্বির হোসাইন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. শাকিল মিয়া, আসাদুজ্জামান হোসাইন এবং মো. সোহাগ রানা।