ভৈরবে অসুস্থ মাকে দেখতে আসার পথে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত হয়েছে। ১৬ এপ্রিল শুক্রবার রাত ৯টা ৩০ মিনিটে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতু দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে ভৈরবে আসার পথে ভৈরব মেঘনার পাড় ব্রিজের ওপরে তিনি ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে আহত হন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কিছুক্ষণ পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নিহত যুবক ভৈরব পৌর শহরের চন্ডিবের এলাকার সালাম খানের ছেলে ফারুক খান (৩৫)। ফারুকের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ব্যবসার কাজে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মামার বাড়িতে থাকতো ফারুক খান। মা অসুস্থ থাকায় মা হালিমা খানকে দেখতে ভৈরব আসার পথে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুতে ছিনতাইকারীর কবলে পরে। এ সময় সঙ্গে তার মামাতো ভাই আরিফ মিয়া ছিল।
এ বিষয়ে নিহতের মামাতো ভাই আরিফ মিয়া জানান, করোনা মহামারীতে লকডাউন থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আশুগঞ্জ পর্যন্ত আসে। আশুগঞ্জ থেকে ভৈরব সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতু দিয়ে হেঁটে ভৈরব আসে। ব্রিজ থেকে নামার পথে মাস্ক পরিহিত ৪/৫ ছিনতাইকারী তাদের ঘেরাও করে। এ সময় ফারুক খানকে ছিনতাইকারীরা একাধিক ছুরিকাঘাত করে আহত করে এবং আরিফের কাছে থাকা দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। আরিফের চিৎকার শুনে সড়কে একটি মুরগির গাড়ি থামলে ছিনতাইকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় পথচারীদের সহযোগিতায় আরিফ আহত ফারুক খানকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেয়ার পর অল্প সময়ের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রিয়াসাত আজিম বলেন, ৯টা ৫০ মিনিটে আহত ফারুককে হাসপাতালে আনা হয়। এ সময় তার প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট ছিল। তার শরীরে তিনটি বড় ধরনের ছুরিকাঘাত রয়েছে। এছাড়াও ছোট ছোট জখম রয়েছে। হাসপাতালে আনার ৩/৪ মিনিটের মধ্যে তিনি মারা যান।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহিন বলেন, ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ফারুক খান নিহত হয়েছেন। ঘটনার পর থেকে আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১
ভৈরবে অসুস্থ মাকে দেখতে আসার পথে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত হয়েছে। ১৬ এপ্রিল শুক্রবার রাত ৯টা ৩০ মিনিটে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতু দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে ভৈরবে আসার পথে ভৈরব মেঘনার পাড় ব্রিজের ওপরে তিনি ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে আহত হন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কিছুক্ষণ পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নিহত যুবক ভৈরব পৌর শহরের চন্ডিবের এলাকার সালাম খানের ছেলে ফারুক খান (৩৫)। ফারুকের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ব্যবসার কাজে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মামার বাড়িতে থাকতো ফারুক খান। মা অসুস্থ থাকায় মা হালিমা খানকে দেখতে ভৈরব আসার পথে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুতে ছিনতাইকারীর কবলে পরে। এ সময় সঙ্গে তার মামাতো ভাই আরিফ মিয়া ছিল।
এ বিষয়ে নিহতের মামাতো ভাই আরিফ মিয়া জানান, করোনা মহামারীতে লকডাউন থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আশুগঞ্জ পর্যন্ত আসে। আশুগঞ্জ থেকে ভৈরব সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতু দিয়ে হেঁটে ভৈরব আসে। ব্রিজ থেকে নামার পথে মাস্ক পরিহিত ৪/৫ ছিনতাইকারী তাদের ঘেরাও করে। এ সময় ফারুক খানকে ছিনতাইকারীরা একাধিক ছুরিকাঘাত করে আহত করে এবং আরিফের কাছে থাকা দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। আরিফের চিৎকার শুনে সড়কে একটি মুরগির গাড়ি থামলে ছিনতাইকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় পথচারীদের সহযোগিতায় আরিফ আহত ফারুক খানকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেয়ার পর অল্প সময়ের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রিয়াসাত আজিম বলেন, ৯টা ৫০ মিনিটে আহত ফারুককে হাসপাতালে আনা হয়। এ সময় তার প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট ছিল। তার শরীরে তিনটি বড় ধরনের ছুরিকাঘাত রয়েছে। এছাড়াও ছোট ছোট জখম রয়েছে। হাসপাতালে আনার ৩/৪ মিনিটের মধ্যে তিনি মারা যান।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহিন বলেন, ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ফারুক খান নিহত হয়েছেন। ঘটনার পর থেকে আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।