রাজধানীর গুলশান থানার বারিধারায় আলোচিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার বাসায় অভিযান চালিয়ে বিদেশি মদ, ইয়াবা ও সিসা উদ্ধার করেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ। রোববার রাত ১০ টায় এ অভিযানে তাকে আটক করা হয়।
পিয়াসা আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদারের ছেলে সাফায়েতের সাবেক স্ত্রী। সাফায়েত বনানীর রেইনট্রি হোটেলে জম্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে নিয়ে দুই তরুনীকে অস্ত্রেরমুখে জিম্মি করে ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন।
এছাড়াও পিয়াসা আলোচনায় আসে বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের প্রেমিকা কলেজ ছাত্রী মুনিয়ার মৃত্যুর ঘটনায়। অভিযোগ উঠে মুনিয়াকে আনভীরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় এ পিয়াসাই। বিষয়টি আনভীরের মা জেনে গেলে পিয়াসাই আবার মুনিয়াকে আনভীরের বাসায় নিয়ে গেলে তার সামনেই মুনিয়াক ঢাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেন আনভীরের মা।
পুলিশ জানিয়েছে পিয়াসার বারিধারার ৯ নং রোডের ৩ নং বাসায় অভিযানে পিয়াসার ঘরের টেবিল থেকে চার প্যাকেট ইয়াবা জব্দ করে। পিয়াসার রান্নাঘরের ক্যাবিনেট থেকে ৯ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। অভিযানের একপর্যায়ে পিয়াসার ফ্রিজ খুলে একটি আইসক্রিমের বাক্স থেকে সিসা তৈরির কাঁচামাল এবং বেশ কয়েকটি ই-সিগারেট পাওয়া যায়। এছাড়াও তার কাছ থেকে ৪টি স্মার্টফোনও জব্দ করা হয়।
অভিযানের সময় পিয়াসাকে একটি রুমে রাখা হয়। তার সঙ্গে ডিবির দুইজন নারী অফিসার ছিলেন। অভিযান শেষে নারী সদস্যরা পিয়াসাকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে ডিবি অফিসে নিয়ে যান।
ডিএমপির সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মহিদুল ইসলাম সংবাদকে বলেন ‘কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তার বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। তাকে আটক করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের মে মাসে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারে নাম ছিল ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসার। প্রথমে মামলা করতে ভুক্তভোগীদের সহযোগিতা করেছিলেন পিয়াসা। কিন্তু পরবর্তীতে সেই পিয়াসার বিরুদ্ধেই আবার মামলা তুলে নেওয়ার হুমকির অভিযোগে জিডি করেছিলেন ভুক্তভোগীদের একজন। চার বছর পর আবারও আলোচনায় এলেন সেই পিয়াসা।
সোমবার, ০২ আগস্ট ২০২১
রাজধানীর গুলশান থানার বারিধারায় আলোচিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার বাসায় অভিযান চালিয়ে বিদেশি মদ, ইয়াবা ও সিসা উদ্ধার করেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ। রোববার রাত ১০ টায় এ অভিযানে তাকে আটক করা হয়।
পিয়াসা আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদারের ছেলে সাফায়েতের সাবেক স্ত্রী। সাফায়েত বনানীর রেইনট্রি হোটেলে জম্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে নিয়ে দুই তরুনীকে অস্ত্রেরমুখে জিম্মি করে ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন।
এছাড়াও পিয়াসা আলোচনায় আসে বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের প্রেমিকা কলেজ ছাত্রী মুনিয়ার মৃত্যুর ঘটনায়। অভিযোগ উঠে মুনিয়াকে আনভীরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় এ পিয়াসাই। বিষয়টি আনভীরের মা জেনে গেলে পিয়াসাই আবার মুনিয়াকে আনভীরের বাসায় নিয়ে গেলে তার সামনেই মুনিয়াক ঢাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেন আনভীরের মা।
পুলিশ জানিয়েছে পিয়াসার বারিধারার ৯ নং রোডের ৩ নং বাসায় অভিযানে পিয়াসার ঘরের টেবিল থেকে চার প্যাকেট ইয়াবা জব্দ করে। পিয়াসার রান্নাঘরের ক্যাবিনেট থেকে ৯ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। অভিযানের একপর্যায়ে পিয়াসার ফ্রিজ খুলে একটি আইসক্রিমের বাক্স থেকে সিসা তৈরির কাঁচামাল এবং বেশ কয়েকটি ই-সিগারেট পাওয়া যায়। এছাড়াও তার কাছ থেকে ৪টি স্মার্টফোনও জব্দ করা হয়।
অভিযানের সময় পিয়াসাকে একটি রুমে রাখা হয়। তার সঙ্গে ডিবির দুইজন নারী অফিসার ছিলেন। অভিযান শেষে নারী সদস্যরা পিয়াসাকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে ডিবি অফিসে নিয়ে যান।
ডিএমপির সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মহিদুল ইসলাম সংবাদকে বলেন ‘কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তার বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। তাকে আটক করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের মে মাসে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারে নাম ছিল ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসার। প্রথমে মামলা করতে ভুক্তভোগীদের সহযোগিতা করেছিলেন পিয়াসা। কিন্তু পরবর্তীতে সেই পিয়াসার বিরুদ্ধেই আবার মামলা তুলে নেওয়ার হুমকির অভিযোগে জিডি করেছিলেন ভুক্তভোগীদের একজন। চার বছর পর আবারও আলোচনায় এলেন সেই পিয়াসা।