চরফ্যাশনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
চরফ্যাশনে ১৩ নং উত্তর চর আইচা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষার ফি বাবত গড়ে ১০০ টাকা করে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। নির্ধারিত টাকা দিতে না পারায় কিছু কিছু শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুফিয়া বেগম এ সব টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা অভিযোগ করেছেন।
তৃতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী শাওন জানান, এ পর্যন্ত ৬ টি এ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষায় সে অংশগ্রহন করেছে। এ জন্য প্রধান শিক্ষিকা সুফিয়া বেগমকে ১০০ টাকা ফি দিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়েছে। তার সহপাঠিরা যারা ফি দিতে পারেনি তাদের এ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়নি। শাওনের মা শিল্পী বেগম অভিযোগ করেন এ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষার জন্য স্কুল থেকে শুধুমাত্র প্রশ্নপত্র দেয়া হয়েছে। উত্তর পত্র শিক্ষার্থীরা নিজনিজ খরচে সংগ্রহ করেছেন। শুধুমাত্র প্রশ্নপত্রের জন্য ১০০ টাকা খরচ হয়না বিষযটি প্রধান শিক্ষক সুফিয়া বেগমকে জানিয়ে ৬০ টাকা ফি দিয়েছিলাম কিন্তু তিনি সে টাকা ফেরত দিয়েছেন।পরে নিরুপায় হয়ে ১০০ টাকা দিয়ে ছেলেকে পরীক্ষা দিতে পাঠিয়েছি। শাওনের মতো ২য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী লামিয়া, তৃতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী খাদিজা, খাদিজার মা শাহিদা বেগম, ৫ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী তানজিলা, তানজিলার বাবা এবং এই বিদ্যালয়ের জমিদাতা মো, জামাল সহ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা এ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষার ফি বাবত প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রধান শিক্ষিকা ১০০ টাকা করে আদায় করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
জানাগেছে, বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৬ জন শিক্ষকের বিপরীতে ৪০০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে। অনুসন্ধানে আরো জানাগেছে, করোনা কালের সীমাবদ্ধতা এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসের জনবল সংকটের ফলে সৃষ্ট দূর্বল তদারকির সুযোগে গোটা উপজেলায় বিচ্ছিন্ন ভাবে কিছু কিছু অতিলোভী প্রধান শিক্ষক এ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষার মতো নানা অজুহাতে শিক্ষার্থীদেও কাছ থেকে বিভিন্ন হাওে টাকা আদায় করছেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে ১৩ নং উত্তর চর আইচা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুফিয়া বেগম জানান, স্থানীয় গ্রুপ তার বিরুদ্ধে ষঢ়যন্ত্র করে আসছে। এ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষা কিংবা কোন কারনে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার কথা সঠিক নয়।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সফিকুর রহমান বলেছেন, কোন পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ পাইনি । বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চরফ্যাশনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
চরফ্যাশনে ১৩ নং উত্তর চর আইচা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষার ফি বাবত গড়ে ১০০ টাকা করে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। নির্ধারিত টাকা দিতে না পারায় কিছু কিছু শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুফিয়া বেগম এ সব টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা অভিযোগ করেছেন।
তৃতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী শাওন জানান, এ পর্যন্ত ৬ টি এ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষায় সে অংশগ্রহন করেছে। এ জন্য প্রধান শিক্ষিকা সুফিয়া বেগমকে ১০০ টাকা ফি দিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়েছে। তার সহপাঠিরা যারা ফি দিতে পারেনি তাদের এ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়নি। শাওনের মা শিল্পী বেগম অভিযোগ করেন এ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষার জন্য স্কুল থেকে শুধুমাত্র প্রশ্নপত্র দেয়া হয়েছে। উত্তর পত্র শিক্ষার্থীরা নিজনিজ খরচে সংগ্রহ করেছেন। শুধুমাত্র প্রশ্নপত্রের জন্য ১০০ টাকা খরচ হয়না বিষযটি প্রধান শিক্ষক সুফিয়া বেগমকে জানিয়ে ৬০ টাকা ফি দিয়েছিলাম কিন্তু তিনি সে টাকা ফেরত দিয়েছেন।পরে নিরুপায় হয়ে ১০০ টাকা দিয়ে ছেলেকে পরীক্ষা দিতে পাঠিয়েছি। শাওনের মতো ২য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী লামিয়া, তৃতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী খাদিজা, খাদিজার মা শাহিদা বেগম, ৫ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী তানজিলা, তানজিলার বাবা এবং এই বিদ্যালয়ের জমিদাতা মো, জামাল সহ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা এ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষার ফি বাবত প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রধান শিক্ষিকা ১০০ টাকা করে আদায় করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
জানাগেছে, বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৬ জন শিক্ষকের বিপরীতে ৪০০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে। অনুসন্ধানে আরো জানাগেছে, করোনা কালের সীমাবদ্ধতা এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসের জনবল সংকটের ফলে সৃষ্ট দূর্বল তদারকির সুযোগে গোটা উপজেলায় বিচ্ছিন্ন ভাবে কিছু কিছু অতিলোভী প্রধান শিক্ষক এ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষার মতো নানা অজুহাতে শিক্ষার্থীদেও কাছ থেকে বিভিন্ন হাওে টাকা আদায় করছেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে ১৩ নং উত্তর চর আইচা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুফিয়া বেগম জানান, স্থানীয় গ্রুপ তার বিরুদ্ধে ষঢ়যন্ত্র করে আসছে। এ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষা কিংবা কোন কারনে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার কথা সঠিক নয়।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সফিকুর রহমান বলেছেন, কোন পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ পাইনি । বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।