বিদায় বেলায় বগুড়ার শেরপুর সাব-রেজিস্ট্রার নূরে আলম সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দলিল রেজিস্ট্রি করার অভিযোগ উঠেছে। আইন বহির্ভূতভাবে জমির শ্রেণী পরিবর্তনের মাধ্যমে দলিল রেজিস্ট্রি করে এক দলিলেই সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হয় অন্তত সতের লাখ টাকা। বুধবার (২৪ নভেম্বর) এই দলিল রেজিস্ট্রির ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
দলিল লেখকদের অভিযোগ, বদলি জনিত কারণে এদিনই শেষ কর্মদিবস এই সাব-রেজিস্ট্রারের। তাই অনেকটা গোপনেই তরিঘরি করে দলিলটি রেজিস্ট্রি করেন। এতে সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারালেও তার পকেটে উঠেছে মোটা অঙ্কের টাকা। শুধু এই ঘটনাই নয়। এমন আরও অনেকটা ঘটনাই ধামাচাপা দেয়া হয়েছে। তাই সরকারের উচ্চমহল থেকে তদন্ত হলে এই উপজেলায় সরকারি লাখ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির গোমড় বের হয়ে আসবে বলে দাবি করেন তারা।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের দড়িমুকুন্দ মৌজায় দুই একর চার শতক বাণিজ্যিক জমি বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২’এর জেনারেল ম্যানেজার ক্রয় করেন। জমি বিক্রেতা স্থানীয় বাসিন্দা এসএম কামাল হোসেন। সর্বশেষ জমির কাগজপপত্রে বাণিজ্যিক হিসেবেই নামজারি ও খাজনা পরিশোধ করেন তিনি। অথচ এই জমি ধানী হিসেবে উল্লেখ করে বুধবার দুপুরে তার নিকট থেকে জমিটি রেজিস্ট্রি করে নেওয়া হয়। যার দলিল নং-১১০৯০। পুরো বিষয়টি সাব-রেজিস্ট্রার নূরে আলম সিদ্দিকীকে ম্যানেজ করেই করা হয়। এতে করে সরকার বাণিজ্যিক জমি রেজিস্ট্রির নির্ধারিত ভ্যাট-ট্যাক্স থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এভাবে জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে দলিল রেজিস্ট্রি করায় সরকার অন্তত সতের লাখ টাকা রাজস্ব হারিয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
এদিকে এই দলিলে সম্পাদনকারী হিসেবে স্বাক্ষর করেছেন দলিল লেখক মতিউর রহমান । তার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, জমির সব কাগজপত্রই ধানী রয়েছে। শুধু বাণিজ্যিক হিসেবে খাজনা পরিশোধ করা হয়। তাই সেভাবেই দলিল করা হয়েছে। এক্ষেত্রে জমির কোন শ্রেণী পরিবর্তন করা হয়নি বলে জানান তিনি।
বিষয়টি সম্পর্কে বক্তব্য জানতে চাইলে অভিযুক্ত সাব-রেজিস্টার নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, যথাযথ নিয়ম মেনেই দলিলটি রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। তাই সরকার কোন রাজস্ব হারাননি। এসব নিছক অপপ্রচার। আমি এখানে যোগদানের পর যেসব দলিল লেখক কোনো অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নিতে পারেননি মূলত তারাই আমার এই বিদায় বেলায় এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করেছেন বলে দাবি করেন এই সাব-রেজিস্ট্রার।
বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১
বিদায় বেলায় বগুড়ার শেরপুর সাব-রেজিস্ট্রার নূরে আলম সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দলিল রেজিস্ট্রি করার অভিযোগ উঠেছে। আইন বহির্ভূতভাবে জমির শ্রেণী পরিবর্তনের মাধ্যমে দলিল রেজিস্ট্রি করে এক দলিলেই সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হয় অন্তত সতের লাখ টাকা। বুধবার (২৪ নভেম্বর) এই দলিল রেজিস্ট্রির ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
দলিল লেখকদের অভিযোগ, বদলি জনিত কারণে এদিনই শেষ কর্মদিবস এই সাব-রেজিস্ট্রারের। তাই অনেকটা গোপনেই তরিঘরি করে দলিলটি রেজিস্ট্রি করেন। এতে সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারালেও তার পকেটে উঠেছে মোটা অঙ্কের টাকা। শুধু এই ঘটনাই নয়। এমন আরও অনেকটা ঘটনাই ধামাচাপা দেয়া হয়েছে। তাই সরকারের উচ্চমহল থেকে তদন্ত হলে এই উপজেলায় সরকারি লাখ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির গোমড় বের হয়ে আসবে বলে দাবি করেন তারা।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের দড়িমুকুন্দ মৌজায় দুই একর চার শতক বাণিজ্যিক জমি বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২’এর জেনারেল ম্যানেজার ক্রয় করেন। জমি বিক্রেতা স্থানীয় বাসিন্দা এসএম কামাল হোসেন। সর্বশেষ জমির কাগজপপত্রে বাণিজ্যিক হিসেবেই নামজারি ও খাজনা পরিশোধ করেন তিনি। অথচ এই জমি ধানী হিসেবে উল্লেখ করে বুধবার দুপুরে তার নিকট থেকে জমিটি রেজিস্ট্রি করে নেওয়া হয়। যার দলিল নং-১১০৯০। পুরো বিষয়টি সাব-রেজিস্ট্রার নূরে আলম সিদ্দিকীকে ম্যানেজ করেই করা হয়। এতে করে সরকার বাণিজ্যিক জমি রেজিস্ট্রির নির্ধারিত ভ্যাট-ট্যাক্স থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এভাবে জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে দলিল রেজিস্ট্রি করায় সরকার অন্তত সতের লাখ টাকা রাজস্ব হারিয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
এদিকে এই দলিলে সম্পাদনকারী হিসেবে স্বাক্ষর করেছেন দলিল লেখক মতিউর রহমান । তার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, জমির সব কাগজপত্রই ধানী রয়েছে। শুধু বাণিজ্যিক হিসেবে খাজনা পরিশোধ করা হয়। তাই সেভাবেই দলিল করা হয়েছে। এক্ষেত্রে জমির কোন শ্রেণী পরিবর্তন করা হয়নি বলে জানান তিনি।
বিষয়টি সম্পর্কে বক্তব্য জানতে চাইলে অভিযুক্ত সাব-রেজিস্টার নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, যথাযথ নিয়ম মেনেই দলিলটি রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। তাই সরকার কোন রাজস্ব হারাননি। এসব নিছক অপপ্রচার। আমি এখানে যোগদানের পর যেসব দলিল লেখক কোনো অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নিতে পারেননি মূলত তারাই আমার এই বিদায় বেলায় এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করেছেন বলে দাবি করেন এই সাব-রেজিস্ট্রার।