alt

শিক্ষা

সবাই পাস, বেড়েছে জিপিএ-৫

জেএসসি ও এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া চারশ’ জন জিপিএ-৫ পায়নি

রাকিব উদ্দিন : শনিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২১

২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের মূল্যায়নে শতভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। এই পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য ফরম পূরণকারী ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে। পাসের হার ১০০ ভাগ। তবে চতুর্থ বিষয়ের নম্বর যোগ না হওয়া এবং দুটি বা একটি বিষয়ে যারা ইম্প্রুভমেন্ট (মানোন্নয়ন) পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য ফরম পূরণ করেছিল তাদের অনেকেই ‘জিপিএ-৫’ হারিয়েছেন বলে শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তারা বলেন, পরীক্ষা না হওয়ায় এসব শিক্ষার্থীর ‘জিপিএ’ বাড়ানোর সুযোগ ছিল না, কিন্তু দুই পরীক্ষায় (জেএসসি ও এসএসসি) বিষয়ভিত্তিক নম্বরের গড় হিসাব করায় অনেকেই জিপিএ-৫ হারিয়েছেন।

এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন পরীক্ষার্থী। জিপিএ-৫ (গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজ) এর শতকরা হার ১১.৮৩ শতাংশ। ৯ হাজার ৬৩টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য ফরম পূরণ করেছিল। পরীক্ষা না নিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।

করোনা মহামারীর কারণে গত বছর এই পরীক্ষা নেয়া হয়নি। ‘বিশেষ পদ্ধতি’তে মূল্যায়ন করে সবাইকে ‘পাস’ দেয়া হয়েছে। করোনা মহামারীর কারণে সারাবিশ্বেই পরীক্ষা না নিয়ে শিক্ষার্থীদের ‘অটো’ পাস দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে না পারায় এই পদ্ধতি অনুসরণ করেছে। এর আগে ১৯৭২ সালে দেশে সব পরীক্ষায় সবাইকে সরাসরি (অটো) পাস দেয়া হয়েছিল।

জেএসসি-জেডিসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফল এবং করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইন ক্লাসের মূল্যায়নের ভিত্তিতে শনিবার (৩০ জানুয়ারী) এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ‘প্রি-রেজিস্ট্রেশন’ করে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোনে ফল জানতে পেরেছে।

অষ্টম শ্রেণীর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেলেও এইচএসসির মূল্যায়নের ফলাফলে ৩৯৬ জন শিক্ষার্থী পূর্ণাঙ্গ জিপিএ-৫ পায়নি। আবার ওই দুই পরীক্ষায় জিপিএ-৫ না পেয়েও মূল্যায়নের ফলাফলে ১৭ হাজার ৪৩ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।

মূল্যায়নের মারপ্যাচে জিপিএ-৫

ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, ‘সাবজেক্ট ম্যাপিং’ (বিষয়ভিত্তিক মূল্যায়ন) করায় জেএসসি-জেডিসি এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেলেও এবার ৩৯৬ জন জিপিএ-৫ পায়নি।

সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের কারণে জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রে এমনটি হয়েছে- দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘যখন ম্যাপিং করা হয়েছে, তখন জিপিএ-৫ এর জন্য যে নম্বর দরকার ছিল, তা তারা পায়নি। আবার বিষয়ভিত্তিক ম্যাপিং করায় অনেকে আগের দুই পরীক্ষায় জিপিএ-৫ না পেলেও এবার সেটি অর্জন করেছে।’

জিপিএ-৫ হারানো শিক্ষার্থীদের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট মঞ্জুরুল কবীর জানান, আগের দুই পরীক্ষায় যারা চতুর্থ বিষয়ের জিপিএ মিলিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছিল, তাদের কেউ কেউ এবার পদ্ধতিতে মূল্যায়নের ফলে পূর্ণাঙ্গ জিপিএ পায়নি। এ কারণে ৩৯৬ জন জিপিএ-৫ থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

জিপিএ-৫ হারানোর বিস্তারিত জানাবে শিক্ষা বোর্ড

জিপিএ-৫ হারানো শিক্ষার্থীদের বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহম্মেদ সংবাদকে বলেন, ‘তাদের বেশিরভাগই ইম্প্রুভমেন্ট (মানোন্নয়ন) পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল, তারা এক বা দুই বিষয়ে আগের বার ফেল করেছিল, কিন্তু বিষয়ভিত্তিক মূল্যায়ন হওয়ায় তাদের জিপিএ কমেছে। এ বিষয়ে ৩৯৬ জনের সবাইকে সুর্নিদিষ্টভাবে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দেয়া হবে।’

জেএসসি এবং এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন কিন্তু ২০১৯ সালে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাননি এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৬ হাজার বলে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সূচি অনুযায়ী, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ২০২০ সালের ১ এপ্রিল শুরু হয়ে ১৩ মে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এই পরীক্ষা বাতিল করা হয়।

সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ে ফল তৈরি

ফল তৈরিতে কীভাবে সাবজেক্ট ম্যাপিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, জেএসসি ও সমমান পরীক্ষার ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ৭৫ শতাংশ বিষয়ভিত্তিক নম্বর বিবেচনা করে গতবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর মধ্যে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার আবশ্যিক বাংলা, ইংরেজি ও আইসিটি বিষয়ের নম্বরের ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার আবশ্যিক বাংলা, ইংরেজি ও আইসিটি বিষয়ের নম্বরের ৭৫ শতাংশ বিবেচনা করে এইচএসসিতে আবশ্যিক বাংলা, ইংরেজি ও আইসিটি বিষয়ের নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।

আর বিজ্ঞান বিভাগের ক্ষেত্রে জেএসসি ও সমমান পরীক্ষার গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে প্রাপ্ত গড় নম্বরের ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও উচ্চতর গণিত/জীববিজ্ঞান বিষয়ের ৭৫ শতাংশ নম্বর বিবেচনা করে যথাক্রমে এইচএসসি এর পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও উচ্চতর গণিত/জীববিজ্ঞান বিষয়ের নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।

ব্যবসায় শিক্ষা

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি জানিয়েছে, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ক্ষেত্রে জেএসসি ও সমমান পরীক্ষার গণিত ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে প্রাপ্ত গড় নম্বরের ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার গ্রুপভিত্তিক তিনটি সমগোত্রীয় বিষয়ের ৭৫ শতাংশ নম্বর বিবেচনা করে যথাক্রমে এইচএসসির ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের তিনটি সমগোত্রীয় বিষয়ের নম্বর মূল্যায়ন করা হয়।

জিপিএ-৫ না পাওয়া শিক্ষার্থী বিজ্ঞানের বেশি

জেএসসি-জেডিসি এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ না পেলেও ১৭ হাজার ৪৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জেএসসি ও এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেলেও ২০১৭ সালে ১৭ হাজার ৩৭১ জন, ২০১৮ সালে ৫২ হাজার ৬৩৪ জন এবং ২০১৯ সালে ৪৫ হাজার ৮৬৫ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়নি।

জেএসসি-জেডিসি এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ না পেলেও ২০১৭ সালে ছয় হাজার ৯৭৬ জন, ২০১৮ সালে চার হাজার ১৫৭ জন এবং ২০১৯ সালে ৮ হাজার ৫৭০ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিল বলে জানান মন্ত্রী।

মানবিক ও অন্যান্য বিষয়ের মূল্যায়ন

মানবিক ও অন্যান্য বিভাগের ক্ষেত্রে জেএসসি ও সমমান পরীক্ষার গণিত ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে প্রাপ্ত গড় নম্বরের ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার গ্রুপভিত্তিক পর পর তিনটি বিষয়ের ৭৫ শতাংশ নম্বর বিবেচনা করে যথাক্রমে এইচএসসির মানবিক ও অন্যান্য গ্রুপের তিনটি বিষয়ের নম্বর মূল্যায়ন করা হয়েছে।

গ্রুপ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে জেএসসি ও সমমান পরীক্ষার গণিত ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে প্রাপ্ত গড় নম্বরের ২৫ শতাংশ ও এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার গ্রুপভিত্তিক পর পর তিনটি বিষয়ের ৭৫ শতাংশ নম্বর বিবেচনা করে যথাক্রমে এইচএসসির মানবিক ও অন্যান্য গ্রুপের তিনটি বিষয়ের নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। জিপিএ উন্নয়নের ক্ষেত্রেও এসব পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। আংশিক বিষয়ের পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অকৃতকার্য বিষয়ের নম্বর দেয়ার ক্ষেত্রেও উপরে বর্ণিত পদ্ধতিতে ফলাফল নির্ধারণ করা হয়েছে।

বোর্ডভিত্তিক মূল্যায়ন

৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড থেকে চার হাজার ৫৩৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে এইচএসসি পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেছিল ১১ লাখ ৪৫ হাজার ৩২৯ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৫৩ হাজার ৬১৪ জন। জিপিএ-৫ এর শতকরা হার ১৩.১৪ শতাংশ।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এক হাজার ৮৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এই পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেছিল এক লাখ ৩৩ হাজার ৭৪৬ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে চার হাজার ১৪৫ জন। জিপিএ-৫ পাওয়ার হার ৩.১০ শতাংশ।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ ফল প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় যুক্ত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

এর আগে শুক্রবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফল ঘোষণা উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সমাবেশ সম্পূর্ণ নিষেধ। এবার অনলাইনে ফল প্রকাশ করা হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোন ফল পাঠানো হয়নি। যারা মুঠোফোনের খুদেবার্তার মাধ্যমে ফল পেতে ইচ্ছুক তাদের ফল প্রকাশের আগেই প্রি-রেজিস্ট্রেশন করতে বলা হয়।

ফল পেতে HSC<>Board name (First 3 letter)<> Roll<>2020 টাইপ করে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই প্রি-রেজিস্ট্রেশন করা পরীক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বরে তাদের ফল পৌঁছে যাবে। এছাড়া এই www.educationboardresults.gov.bd থেকে ফল দেখা যাচ্ছে। শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকেও ফল জানা যাবে।

বোর্ডভিত্তিক জিপিএ-৫

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে এবার উচ্চমাধ্যমিক স্তরে পরীক্ষার্থী ছিল তিন লাখ ২৬ হাজার ৪১ জন। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৫৭ হাজার ৯২৬ শিক্ষার্থী।

অন্য বোর্ডের মধ্যে রাজশাহীতে এক লাখ ৪৯ হাজার ৯৭৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬ হাজার ৫৬৮ শিক্ষার্থী, কুমিল্লায় এক লাখ দুই হাজার ৪৩৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯ হাজার ৩৬৪ জন জিপিএ-৫, যশোর এক লাখ ২১ হাজার ৫২৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১২ হাজার ৮৯২ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫, চট্টগ্রাম ৯৭ হাজার ৯৬৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১২ হাজার ১৪৩ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫, বরিশালে ৬৮ হাজার ৯২০ জনের মধ্যে পাঁচ হাজার ৫৬৮ জন জিপিএ-৫, সিলেটে ৭৫ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ চার হাজার ২৪২ জন, দিনাজপুরে এক লাখ ১৮ হাজার ৭৩৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৪ হাজার ৮৭১ জন জিপিএ-৫ এবং ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে ৮৪ হাজার ৪০৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৪০ জন।

এছাড়া কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে এবার এইচএসসি (বিএম) এক লাখ ৩৩ হাজার ৭৪৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে চার হাজার ১৪৫ জন এবং মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে আলিমে (এইচএসসি সমমান) ৮৮ হাজার ৩০২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে চার হাজার ৪৮ জন।

৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রিভিউয়ের আবেদন

যেসব শিক্ষার্থী এই ফলাফলে খুশি হতে পারেননি কিংবা কারও কোন আপত্তি থাকলে তারা আজ থেকে (৩১ জানুয়ারি) ফল রিভিউয়ের আবেদন করতে পারবে বলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি জানিয়েছে। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফলাফল রিভিউয়ের আবেদন করা যাবে। ম্যানুয়ালি নয়, শুধু টেলিটকের প্রি-পেইড মোবাইল থেকে ফল রিভিউয়ের আবেদন করা যাবে। রিভিউ আবেদন করতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে জঊঠ লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে পিন নম্বর দেয়া হবে। এরপর মেসেজ অপশনে গিয়ে জঊঠ লিখে স্পেস দিয়ে ণঊঝ লিখে স্পেস দিয়ে পিন নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে যোগাযোগের জন্য যে কোন অপারেটরের মোবাইল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। প্রতিটি আবেদনের জন্য ১২৫ টাকা করে ফি নেয়া হবে।

তীব্র গরমেও বাড়ছে না ছুটি, রবিবার খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

৫০ শতাংশ লিখিত ও ৫০ শতাংশ কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়ন

নতুন শিক্ষাক্রমে সপ্তম শ্রেণীতে শরীফার গল্প থাকছে

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন ও দ্রুত সেবা প্রদানে নির্দেশ

তাপদাহের কারণে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস , মিডটার্ম পরীক্ষা স্থগিত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্ব-শরীরেই চলবে ক্লাস-পরীক্ষা

ছবি

গরমের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সকল কলেজের ক্লাস বন্ধ

ছবি

তৃতীয় দফায় তিনদিন শ্রেণি কার্যক্রম বর্জনে ঘোষণা কুবি শিক্ষক সমিতির

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ১ম বর্ষ ভর্তির আবেদনের ২য় মেধা তালিকা প্রকাশ

ছবি

বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালককে অব্যাহতি

ছবি

এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু মঙ্গলবার, চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত

ছবি

স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও ঈদ উপহার বিতরন

ছবি

রাবি-চবির অধিভুক্ত হল ৯ সরকারি কলেজ

ছবি

১১ মের মধ্যেই এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

নতুন শিক্ষাক্রম : আগের ধাচেই শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি এনটিআরসিএ’র

এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টেস্ট পরীক্ষার নামে ফি আদায় করলে ব্যবস্থা

ছবি

এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ৩০ জুন, রুটিন প্রকাশ

ছবি

বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চলবে : হাইকোর্ট

ছবি

বুয়েটে ছাত্ররাজনীতির দাবিতে দেশব্যাপী মানববন্ধন করবে ছাত্রলীগ

ছবি

তিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে তিন ক্যাম্পাসে চলছে পাল্টাপাল্টি মহড়া

ছবি

৩০টি বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব স্থগিত:এনবিআর

ছবি

শিক্ষায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উভয় স্তরে পারিবারিক ব্যয় বেড়েছে

শিক্ষায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উভয় স্তরে পারিবারিক ব্যয় বেড়েছে

কক্সবাজারে ওয়্যারলেস অডিও ডিভাইসসহ দুইজন আটক

ছবি

মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে, বেড়েছে মাদ্রাসায়

ছবি

দুর্নীতির অভিযোগে বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা বরখাস্ত

ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২৬ দিনের ছুটি শুরু

ছবি

শনিবার স্কুল খোলা রাখার ইঙ্গিত: শিক্ষামন্ত্রী নওফেল

উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সমাপনী পরীক্ষা পাঁচ ঘণ্টা করার প্রস্তাব এনসিটিবির

ছবি

ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক রাশেদা ইরশাদ

ছবি

এইচএসসি পরীক্ষা কার কোন কেন্দ্রে, তালিকা প্রকাশ

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের শতাধিক ‘ট্রেড কোর্সের’ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই সংস্থার দ্বন্দ্ব

ছবি

ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের ২০০ বছর বয়সী ভবন ভাঙার প্রতিবাদে মানববন্ধন

কেমব্রিজ পরীক্ষায় ডিপিএস শিক্ষার্থীদের অনন্য সাফল্য

ছবি

বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে

tab

শিক্ষা

সবাই পাস, বেড়েছে জিপিএ-৫

জেএসসি ও এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া চারশ’ জন জিপিএ-৫ পায়নি

রাকিব উদ্দিন

শনিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২১

২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের মূল্যায়নে শতভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। এই পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য ফরম পূরণকারী ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে। পাসের হার ১০০ ভাগ। তবে চতুর্থ বিষয়ের নম্বর যোগ না হওয়া এবং দুটি বা একটি বিষয়ে যারা ইম্প্রুভমেন্ট (মানোন্নয়ন) পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য ফরম পূরণ করেছিল তাদের অনেকেই ‘জিপিএ-৫’ হারিয়েছেন বলে শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তারা বলেন, পরীক্ষা না হওয়ায় এসব শিক্ষার্থীর ‘জিপিএ’ বাড়ানোর সুযোগ ছিল না, কিন্তু দুই পরীক্ষায় (জেএসসি ও এসএসসি) বিষয়ভিত্তিক নম্বরের গড় হিসাব করায় অনেকেই জিপিএ-৫ হারিয়েছেন।

এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন পরীক্ষার্থী। জিপিএ-৫ (গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজ) এর শতকরা হার ১১.৮৩ শতাংশ। ৯ হাজার ৬৩টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য ফরম পূরণ করেছিল। পরীক্ষা না নিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।

করোনা মহামারীর কারণে গত বছর এই পরীক্ষা নেয়া হয়নি। ‘বিশেষ পদ্ধতি’তে মূল্যায়ন করে সবাইকে ‘পাস’ দেয়া হয়েছে। করোনা মহামারীর কারণে সারাবিশ্বেই পরীক্ষা না নিয়ে শিক্ষার্থীদের ‘অটো’ পাস দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে না পারায় এই পদ্ধতি অনুসরণ করেছে। এর আগে ১৯৭২ সালে দেশে সব পরীক্ষায় সবাইকে সরাসরি (অটো) পাস দেয়া হয়েছিল।

জেএসসি-জেডিসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফল এবং করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইন ক্লাসের মূল্যায়নের ভিত্তিতে শনিবার (৩০ জানুয়ারী) এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ‘প্রি-রেজিস্ট্রেশন’ করে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোনে ফল জানতে পেরেছে।

অষ্টম শ্রেণীর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেলেও এইচএসসির মূল্যায়নের ফলাফলে ৩৯৬ জন শিক্ষার্থী পূর্ণাঙ্গ জিপিএ-৫ পায়নি। আবার ওই দুই পরীক্ষায় জিপিএ-৫ না পেয়েও মূল্যায়নের ফলাফলে ১৭ হাজার ৪৩ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।

মূল্যায়নের মারপ্যাচে জিপিএ-৫

ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, ‘সাবজেক্ট ম্যাপিং’ (বিষয়ভিত্তিক মূল্যায়ন) করায় জেএসসি-জেডিসি এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেলেও এবার ৩৯৬ জন জিপিএ-৫ পায়নি।

সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের কারণে জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রে এমনটি হয়েছে- দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘যখন ম্যাপিং করা হয়েছে, তখন জিপিএ-৫ এর জন্য যে নম্বর দরকার ছিল, তা তারা পায়নি। আবার বিষয়ভিত্তিক ম্যাপিং করায় অনেকে আগের দুই পরীক্ষায় জিপিএ-৫ না পেলেও এবার সেটি অর্জন করেছে।’

জিপিএ-৫ হারানো শিক্ষার্থীদের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট মঞ্জুরুল কবীর জানান, আগের দুই পরীক্ষায় যারা চতুর্থ বিষয়ের জিপিএ মিলিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছিল, তাদের কেউ কেউ এবার পদ্ধতিতে মূল্যায়নের ফলে পূর্ণাঙ্গ জিপিএ পায়নি। এ কারণে ৩৯৬ জন জিপিএ-৫ থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

জিপিএ-৫ হারানোর বিস্তারিত জানাবে শিক্ষা বোর্ড

জিপিএ-৫ হারানো শিক্ষার্থীদের বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহম্মেদ সংবাদকে বলেন, ‘তাদের বেশিরভাগই ইম্প্রুভমেন্ট (মানোন্নয়ন) পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল, তারা এক বা দুই বিষয়ে আগের বার ফেল করেছিল, কিন্তু বিষয়ভিত্তিক মূল্যায়ন হওয়ায় তাদের জিপিএ কমেছে। এ বিষয়ে ৩৯৬ জনের সবাইকে সুর্নিদিষ্টভাবে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দেয়া হবে।’

জেএসসি এবং এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন কিন্তু ২০১৯ সালে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাননি এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৬ হাজার বলে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সূচি অনুযায়ী, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ২০২০ সালের ১ এপ্রিল শুরু হয়ে ১৩ মে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এই পরীক্ষা বাতিল করা হয়।

সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ে ফল তৈরি

ফল তৈরিতে কীভাবে সাবজেক্ট ম্যাপিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, জেএসসি ও সমমান পরীক্ষার ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ৭৫ শতাংশ বিষয়ভিত্তিক নম্বর বিবেচনা করে গতবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর মধ্যে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার আবশ্যিক বাংলা, ইংরেজি ও আইসিটি বিষয়ের নম্বরের ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার আবশ্যিক বাংলা, ইংরেজি ও আইসিটি বিষয়ের নম্বরের ৭৫ শতাংশ বিবেচনা করে এইচএসসিতে আবশ্যিক বাংলা, ইংরেজি ও আইসিটি বিষয়ের নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।

আর বিজ্ঞান বিভাগের ক্ষেত্রে জেএসসি ও সমমান পরীক্ষার গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে প্রাপ্ত গড় নম্বরের ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও উচ্চতর গণিত/জীববিজ্ঞান বিষয়ের ৭৫ শতাংশ নম্বর বিবেচনা করে যথাক্রমে এইচএসসি এর পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও উচ্চতর গণিত/জীববিজ্ঞান বিষয়ের নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।

ব্যবসায় শিক্ষা

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি জানিয়েছে, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ক্ষেত্রে জেএসসি ও সমমান পরীক্ষার গণিত ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে প্রাপ্ত গড় নম্বরের ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার গ্রুপভিত্তিক তিনটি সমগোত্রীয় বিষয়ের ৭৫ শতাংশ নম্বর বিবেচনা করে যথাক্রমে এইচএসসির ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের তিনটি সমগোত্রীয় বিষয়ের নম্বর মূল্যায়ন করা হয়।

জিপিএ-৫ না পাওয়া শিক্ষার্থী বিজ্ঞানের বেশি

জেএসসি-জেডিসি এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ না পেলেও ১৭ হাজার ৪৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জেএসসি ও এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেলেও ২০১৭ সালে ১৭ হাজার ৩৭১ জন, ২০১৮ সালে ৫২ হাজার ৬৩৪ জন এবং ২০১৯ সালে ৪৫ হাজার ৮৬৫ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়নি।

জেএসসি-জেডিসি এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ না পেলেও ২০১৭ সালে ছয় হাজার ৯৭৬ জন, ২০১৮ সালে চার হাজার ১৫৭ জন এবং ২০১৯ সালে ৮ হাজার ৫৭০ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিল বলে জানান মন্ত্রী।

মানবিক ও অন্যান্য বিষয়ের মূল্যায়ন

মানবিক ও অন্যান্য বিভাগের ক্ষেত্রে জেএসসি ও সমমান পরীক্ষার গণিত ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে প্রাপ্ত গড় নম্বরের ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার গ্রুপভিত্তিক পর পর তিনটি বিষয়ের ৭৫ শতাংশ নম্বর বিবেচনা করে যথাক্রমে এইচএসসির মানবিক ও অন্যান্য গ্রুপের তিনটি বিষয়ের নম্বর মূল্যায়ন করা হয়েছে।

গ্রুপ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে জেএসসি ও সমমান পরীক্ষার গণিত ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে প্রাপ্ত গড় নম্বরের ২৫ শতাংশ ও এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার গ্রুপভিত্তিক পর পর তিনটি বিষয়ের ৭৫ শতাংশ নম্বর বিবেচনা করে যথাক্রমে এইচএসসির মানবিক ও অন্যান্য গ্রুপের তিনটি বিষয়ের নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। জিপিএ উন্নয়নের ক্ষেত্রেও এসব পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। আংশিক বিষয়ের পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অকৃতকার্য বিষয়ের নম্বর দেয়ার ক্ষেত্রেও উপরে বর্ণিত পদ্ধতিতে ফলাফল নির্ধারণ করা হয়েছে।

বোর্ডভিত্তিক মূল্যায়ন

৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড থেকে চার হাজার ৫৩৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে এইচএসসি পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেছিল ১১ লাখ ৪৫ হাজার ৩২৯ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৫৩ হাজার ৬১৪ জন। জিপিএ-৫ এর শতকরা হার ১৩.১৪ শতাংশ।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এক হাজার ৮৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এই পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেছিল এক লাখ ৩৩ হাজার ৭৪৬ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে চার হাজার ১৪৫ জন। জিপিএ-৫ পাওয়ার হার ৩.১০ শতাংশ।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ ফল প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় যুক্ত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

এর আগে শুক্রবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফল ঘোষণা উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সমাবেশ সম্পূর্ণ নিষেধ। এবার অনলাইনে ফল প্রকাশ করা হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোন ফল পাঠানো হয়নি। যারা মুঠোফোনের খুদেবার্তার মাধ্যমে ফল পেতে ইচ্ছুক তাদের ফল প্রকাশের আগেই প্রি-রেজিস্ট্রেশন করতে বলা হয়।

ফল পেতে HSC<>Board name (First 3 letter)<> Roll<>2020 টাইপ করে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই প্রি-রেজিস্ট্রেশন করা পরীক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বরে তাদের ফল পৌঁছে যাবে। এছাড়া এই www.educationboardresults.gov.bd থেকে ফল দেখা যাচ্ছে। শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকেও ফল জানা যাবে।

বোর্ডভিত্তিক জিপিএ-৫

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে এবার উচ্চমাধ্যমিক স্তরে পরীক্ষার্থী ছিল তিন লাখ ২৬ হাজার ৪১ জন। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৫৭ হাজার ৯২৬ শিক্ষার্থী।

অন্য বোর্ডের মধ্যে রাজশাহীতে এক লাখ ৪৯ হাজার ৯৭৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬ হাজার ৫৬৮ শিক্ষার্থী, কুমিল্লায় এক লাখ দুই হাজার ৪৩৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯ হাজার ৩৬৪ জন জিপিএ-৫, যশোর এক লাখ ২১ হাজার ৫২৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১২ হাজার ৮৯২ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫, চট্টগ্রাম ৯৭ হাজার ৯৬৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১২ হাজার ১৪৩ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫, বরিশালে ৬৮ হাজার ৯২০ জনের মধ্যে পাঁচ হাজার ৫৬৮ জন জিপিএ-৫, সিলেটে ৭৫ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ চার হাজার ২৪২ জন, দিনাজপুরে এক লাখ ১৮ হাজার ৭৩৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৪ হাজার ৮৭১ জন জিপিএ-৫ এবং ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে ৮৪ হাজার ৪০৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৪০ জন।

এছাড়া কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে এবার এইচএসসি (বিএম) এক লাখ ৩৩ হাজার ৭৪৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে চার হাজার ১৪৫ জন এবং মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে আলিমে (এইচএসসি সমমান) ৮৮ হাজার ৩০২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে চার হাজার ৪৮ জন।

৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রিভিউয়ের আবেদন

যেসব শিক্ষার্থী এই ফলাফলে খুশি হতে পারেননি কিংবা কারও কোন আপত্তি থাকলে তারা আজ থেকে (৩১ জানুয়ারি) ফল রিভিউয়ের আবেদন করতে পারবে বলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি জানিয়েছে। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফলাফল রিভিউয়ের আবেদন করা যাবে। ম্যানুয়ালি নয়, শুধু টেলিটকের প্রি-পেইড মোবাইল থেকে ফল রিভিউয়ের আবেদন করা যাবে। রিভিউ আবেদন করতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে জঊঠ লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে পিন নম্বর দেয়া হবে। এরপর মেসেজ অপশনে গিয়ে জঊঠ লিখে স্পেস দিয়ে ণঊঝ লিখে স্পেস দিয়ে পিন নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে যোগাযোগের জন্য যে কোন অপারেটরের মোবাইল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। প্রতিটি আবেদনের জন্য ১২৫ টাকা করে ফি নেয়া হবে।

back to top