রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার চরে কাদা পানি মাড়িয়ে স্কুলে আসা শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে গাছ তলায়। গতকাল মঙ্গলবার পদ্মার চরের লক্ষীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গাছতলায় মাটিতে মাদুর বিছিয়ে ক্লাস করতে দেখা গেছে।
জানা যায়, গত বছর বিদ্যায়টি পদ্মার ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে যায়। তারপর অন্যস্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের ৩ কক্ষ বিশিষ্ট একটি ও আরেকটি এক কক্ষ বিশিষ্ট টিনের ঘর। মেঝে কাঁচা। চলতি বছরের পদ্মার পানি বৃদ্ধির কারণে শ্রেণী কক্ষে পানি প্রবেশ করে। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ১৬৫ জন। পানি জমে থাকায় উচুভিটার উপর গাছের নীচে মাদুর বিছিয়ে ক্লাস করে ছাত্র-ছাত্রীরা। বিদ্যালয়ের চারিদিকে পানি। শিক্ষার্থীদের পানি মাড়িয়ে স্কুলে যেতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে লক্ষীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান বলেন, উপজেলার পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের ৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে আমার বিদ্যালয়টি নিয়ে খুবই কষ্টে আছি। ভাঙনের পর শুরু হলো করোনা। তার পর আবার পদ্মার পানি বৃদ্ধি। পানি কমে গেলেও কাদায় পরিপূর্ণ শ্রেণী কক্ষ। তাই দীর্ঘদিন পরে স্কুল খুললেও শ্রেণী কক্ষে ক্লাস নেয়া সম্ভব হয়নি। বাধ্য হয়ে গাছ তলায় ক্লাস নিতে হয়েছে।
চকরাজাপুর প্র্রথমিক বিদ্যালয়ের আরেক প্র্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান বলেন, পদ্মার পানি বৃদ্ধির পর স্কুল খোলার একদিন আগে পানি নেমে যায়। তারপর জমে থাকা কাদা পানি সরিয়ে ক্লাশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমার বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৮২ জন।
উপজেলার সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা দিলরুবা ইয়াসমিন বলেন, পদ্মার চরে ৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে চৌমাদিয়া ও ফতেপুর পলাশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারিদিকে পানি। তাই কোমলমতি শিশুদের ঝুঁকি না নিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে বলা হয়েছে।
লক্ষীনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে কাদার কারণে মাদুর বিছিয়ে উঁচু জায়গায় ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পর স্কুল খোলার আনন্দে পদ্মার চরের মধ্যে বিদ্যালয়ে উপস্থিতির ছিল ৮২ ভাগ।
মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার চরে কাদা পানি মাড়িয়ে স্কুলে আসা শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে গাছ তলায়। গতকাল মঙ্গলবার পদ্মার চরের লক্ষীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গাছতলায় মাটিতে মাদুর বিছিয়ে ক্লাস করতে দেখা গেছে।
জানা যায়, গত বছর বিদ্যায়টি পদ্মার ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে যায়। তারপর অন্যস্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের ৩ কক্ষ বিশিষ্ট একটি ও আরেকটি এক কক্ষ বিশিষ্ট টিনের ঘর। মেঝে কাঁচা। চলতি বছরের পদ্মার পানি বৃদ্ধির কারণে শ্রেণী কক্ষে পানি প্রবেশ করে। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ১৬৫ জন। পানি জমে থাকায় উচুভিটার উপর গাছের নীচে মাদুর বিছিয়ে ক্লাস করে ছাত্র-ছাত্রীরা। বিদ্যালয়ের চারিদিকে পানি। শিক্ষার্থীদের পানি মাড়িয়ে স্কুলে যেতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে লক্ষীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান বলেন, উপজেলার পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের ৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে আমার বিদ্যালয়টি নিয়ে খুবই কষ্টে আছি। ভাঙনের পর শুরু হলো করোনা। তার পর আবার পদ্মার পানি বৃদ্ধি। পানি কমে গেলেও কাদায় পরিপূর্ণ শ্রেণী কক্ষ। তাই দীর্ঘদিন পরে স্কুল খুললেও শ্রেণী কক্ষে ক্লাস নেয়া সম্ভব হয়নি। বাধ্য হয়ে গাছ তলায় ক্লাস নিতে হয়েছে।
চকরাজাপুর প্র্রথমিক বিদ্যালয়ের আরেক প্র্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান বলেন, পদ্মার পানি বৃদ্ধির পর স্কুল খোলার একদিন আগে পানি নেমে যায়। তারপর জমে থাকা কাদা পানি সরিয়ে ক্লাশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমার বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৮২ জন।
উপজেলার সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা দিলরুবা ইয়াসমিন বলেন, পদ্মার চরে ৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে চৌমাদিয়া ও ফতেপুর পলাশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারিদিকে পানি। তাই কোমলমতি শিশুদের ঝুঁকি না নিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে বলা হয়েছে।
লক্ষীনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে কাদার কারণে মাদুর বিছিয়ে উঁচু জায়গায় ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পর স্কুল খোলার আনন্দে পদ্মার চরের মধ্যে বিদ্যালয়ে উপস্থিতির ছিল ৮২ ভাগ।