অর্ধশতাব্দী ধরে সদর্পে দাঁড়িয়ে থাকা কৃষ্ণচূড়া গাছ কেটে ফেলার প্রতিবাদে কেটে ফেলা গাছের একটি গুড়ি নিয়ে প্রতীকী কাফন মিছিল করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে কাফনের কাপড়সমেত প্রতীকী লাশ রেখে দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এছাড়া কেটে ফেলা গাছের পাশে নতুন কৃষ্ণচূড়া গাছের একটি চারা রোপন করেছে তারা।
এসময় শিক্ষার্থীরা গাছ কাটার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে আরো ১০০ গাছ রোপণ করার দাবি জানায়।
বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটায় কলাভবনের সামনে গাছ রোপণ পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা এ দাবি জানান।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সাধারণ সম্পাদক রাগীব নাঈম বলেন, যখন প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ওড়ানো হয়েছিলো, তখন ঠিক ২০০ কদম দূর থেকে এই গাছটি পতাকা ওড়ানো প্রত্যক্ষ করেছিলো। কিন্তু এই আজ কেটে ফেলা হচ্ছে ঝুঁকির কথা বলে। আমি বুঝতে পারছি না ঝুঁকিটা আসলে কী। এছাড়া ক্যাম্পাসের অন্যান্য জায়গাগুলোতেও আরও গাছ কাটা হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যখন করোনায় আক্রান্ত হয়ে যখন অক্সিজেনের অভাব বোধ করছে, সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগ মুহূর্তে এভাবে গাছ কাটা হচ্ছে। এই গাছগুলো কাটা মানেই ইতিহাসকে কেটে ফেলা। আমরা এই ইতিহাসকে বহন করতে চাই।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা কাঠ দিয়ে নানা ধরনের ভাস্কর্য বানায়। আমরা চাই এই গাছগুলো যেন বিক্রি করা না হয়। এই গাছ যেন কোনো টেন্ডারবাজের হাতে না পড়ে। বরং এই গাছগুলো চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়। এই গাছকে যেন মরণোত্তর সম্মান দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের কাজী রাকিব হোসেন বলেন, এই গাছটি দীর্ঘদিন ধরে ছিলো। সেখানে তার নিজস্ব একটা বাস্তুতন্ত্রের সৃষ্টি হয়েছিলো। সেই বাস্তুতন্ত্র ধ্বংস করা হলো। এর বদলে যদি আরও ১০০টি গাছও লাগানো হয়, তারপরও এই ক্ষতি পূরণ করা সম্ভব না। তবুও আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই যে, এই গাছের পরিবর্তে আরও ১০০টি গাছ লাগাতে হবে।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফারজানা মিম বলেন, আমরা নির্বিচারে এই গাছ হত্যার প্রতিবাদ জানাই। আমরা চাই এভাবে যেন আর কোনো গাছ হত্যাকাণ্ডের শিকার না হয়। প্রশাসন এই গাছের কাঠগুলোকে বিক্রি করতে পারবে না। এই কাঠগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্যে দান করতে হবে। ক্যাম্পাসের গাছ ক্যাম্পাসে থাকবে।
বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
অর্ধশতাব্দী ধরে সদর্পে দাঁড়িয়ে থাকা কৃষ্ণচূড়া গাছ কেটে ফেলার প্রতিবাদে কেটে ফেলা গাছের একটি গুড়ি নিয়ে প্রতীকী কাফন মিছিল করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে কাফনের কাপড়সমেত প্রতীকী লাশ রেখে দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এছাড়া কেটে ফেলা গাছের পাশে নতুন কৃষ্ণচূড়া গাছের একটি চারা রোপন করেছে তারা।
এসময় শিক্ষার্থীরা গাছ কাটার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে আরো ১০০ গাছ রোপণ করার দাবি জানায়।
বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটায় কলাভবনের সামনে গাছ রোপণ পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা এ দাবি জানান।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সাধারণ সম্পাদক রাগীব নাঈম বলেন, যখন প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ওড়ানো হয়েছিলো, তখন ঠিক ২০০ কদম দূর থেকে এই গাছটি পতাকা ওড়ানো প্রত্যক্ষ করেছিলো। কিন্তু এই আজ কেটে ফেলা হচ্ছে ঝুঁকির কথা বলে। আমি বুঝতে পারছি না ঝুঁকিটা আসলে কী। এছাড়া ক্যাম্পাসের অন্যান্য জায়গাগুলোতেও আরও গাছ কাটা হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যখন করোনায় আক্রান্ত হয়ে যখন অক্সিজেনের অভাব বোধ করছে, সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগ মুহূর্তে এভাবে গাছ কাটা হচ্ছে। এই গাছগুলো কাটা মানেই ইতিহাসকে কেটে ফেলা। আমরা এই ইতিহাসকে বহন করতে চাই।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা কাঠ দিয়ে নানা ধরনের ভাস্কর্য বানায়। আমরা চাই এই গাছগুলো যেন বিক্রি করা না হয়। এই গাছ যেন কোনো টেন্ডারবাজের হাতে না পড়ে। বরং এই গাছগুলো চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়। এই গাছকে যেন মরণোত্তর সম্মান দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের কাজী রাকিব হোসেন বলেন, এই গাছটি দীর্ঘদিন ধরে ছিলো। সেখানে তার নিজস্ব একটা বাস্তুতন্ত্রের সৃষ্টি হয়েছিলো। সেই বাস্তুতন্ত্র ধ্বংস করা হলো। এর বদলে যদি আরও ১০০টি গাছও লাগানো হয়, তারপরও এই ক্ষতি পূরণ করা সম্ভব না। তবুও আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই যে, এই গাছের পরিবর্তে আরও ১০০টি গাছ লাগাতে হবে।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফারজানা মিম বলেন, আমরা নির্বিচারে এই গাছ হত্যার প্রতিবাদ জানাই। আমরা চাই এভাবে যেন আর কোনো গাছ হত্যাকাণ্ডের শিকার না হয়। প্রশাসন এই গাছের কাঠগুলোকে বিক্রি করতে পারবে না। এই কাঠগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্যে দান করতে হবে। ক্যাম্পাসের গাছ ক্যাম্পাসে থাকবে।