পাঁচ সপ্তাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিতি প্রায় ৫০ শতাংশে নেমে এসেছে। নিয়মিত কমছে উপস্থিতির হার। টানা দেড় বছর বন্ধের পর গত ১২ সেপ্টেম্বর সীমিত পরিসরে শ্রেণীকক্ষে সরাসরি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম দিকে উপস্থিতির হার ছিল ৬০ শতাংশের বেশি। বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার খুব একটা বাড়বে না-এমনটি ধরেই ‘ব্লেন্ডেড এডুকেশন’ বা মিশ্রণ শিক্ষার আওতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা প্রশাসন। তিন মাসের মধ্যে এই শিক্ষার রূপরেখা তৈরি করতে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়াতে ‘ক্লাস বৃদ্ধির’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে এখনই ক্লাস বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে পারছে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাউশি কর্তৃপক্ষ। কারণ নভেম্বরে এসএসসি ও সমমান এবং ডিসেম্বরে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা হবে। এই সময়ে স্কুল ও কলেজগুলোকে পরীক্ষায় ব্যস্ত থাকতে হবে।
স্কুলে উপস্থিতি কমার পাঁচটি কারণ চিহ্নিত করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। সংস্থাটির মহাপরিচালক প্রফেসর সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ভার্চুয়াল সভায় স্কুল-কলেজে উপস্থিতি কম হওয়ার পাঁচটি কারণ তুলে ধরেন।
কারণগুলো হলো- ১. বিদ্যালয়ে আগত শিক্ষার্থীদের যদি তাদের বাড়িতে কারও জ্বর বা করোনার উপসর্গ আছে বলে প্রতীয়মান হয় তবে তাদের বিদ্যালয়ে আসার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
২. এসএসসি ২০২১ এবং এইচএসসি ২০২১-এর পরীক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে তাদের অনেকে বিদ্যালয়ে আসছে না।
৩. বিদ্যালয়ে আসার বিষয়ে কোন বাধ্যবাধকতা আরোপ না করা।
৪. এছাড়া স্থানান্তর, বিবাহ বা কাজে যোগ দেয়ার কারণেও অনেক শিক্ষার্থী অনুপস্থিত আছে, তবে তাদের অনেকেই যে ধীরে ধীরে মূল শিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে বা হবে তার কারণ তাদের বেশি ভাগই অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিচ্ছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও কর্মচারীদের উপস্থিতির হার সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক রয়েছে বলে মাউশি মহাপরিচালক জানিয়েছেন। দুই সপ্তাহ আগেও শ্রেণীকক্ষে উপস্থিতির হার কমার পাঁচটি কারণ চিহ্নিত করেছিল মাউশি।
শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিয়মিত কমতে থাকায় ‘ব্লেন্ডেড লার্নিং’ বা ‘মিশ্রণ শিক্ষা’ কার্যক্রম বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আগামী তিনমাস অর্থাৎ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্লেন্ডেড লার্নিং বা এডুকেশনের একটি রূপরেখা (ফ্রেমওয়ার্ক) তৈরির জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ক্রমে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে আগামীকাল জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) দিনব্যাপী এক কর্মশালার আয়োজন করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
ব্লেন্ডেড এডুকেশন কেমন হতে পারে- জানতে চাইলে মাউশির পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রফেসর ড. একিউএম শফিউল আজম সংবাদকে বলেন, ‘মূলত সবাইকে শিক্ষার আওতায় আনতেই এই উদ্যোগ। মনে করেন, নদীপাড়ে একটি গ্রামে কিছু শিক্ষার্থী রয়েছে; কিন্তু স্কুল নেই। তেমনি অন্য একটি এলাকায় স্কুল আছে, কিন্তু শিক্ষার্থী নেই সেই গ্রামে দুটি করে স্মার্ট টেলিভিশনে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে পাঠদান করা হবে।’
কর্মে নিয়োজিত ও শারীরিক সীমাবদ্ধতা থাকা শিক্ষার্থীদের পাঠদানের বিষয়ে শফিউল আজম বলেন, ‘এই শিক্ষার্থীরাও পাঠদানের আওতায় আসবে। এই ক্ষেত্রে অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। কেউ নির্ধারিত সময়ে অ্যাসাইনমেন্ট পাওয়া বা জমা দিতে না পারলে সুবিধাজনক সময়ে অনলাইনেই তা দেখতে পারবে, জমা দিতে পারবে। এক্ষেত্রে সরকার প্রযুক্তিগত সহায়তা বাড়াবে; একইসঙ্গে যুগোপযোগী শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করবে।’
মাউশির তথ্য অনুযায়ী, গত ১২ সেপ্টেম্বর সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণী কার্যক্রম শুরুর পর ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার ছিল ৬০ দশমিক ২৭ শতাংশ। ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই হার ছিল ৫৫ শতাংশ। পাঁচ সপ্তাহের মাথায় ১৪ অক্টোবর স্কুলে উপস্থিতির হার ছিল প্রায় ৫০ শতাংশ।
মাউশির বৃস্পতিবারের তথ্য অনুযায়ী, গত কিছুদিন ধরে নিম্নমাধ্যমিক পর্যায়ে উপস্থিতির গড় হার নির্ণয় হয়নি। তবে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রথম সপ্তাহে পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ছিল ৫৮ শতাংশ; দ্বিতীয় সপ্তাহে ৫৬ শতাংশ, তৃতীয় ও চতুর্থ সপ্তাহে ৫৩ শতাংশ এবং পঞ্চম সপ্তাহে তা ছিল ৫৪ শতাংশ।
আর একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম সপ্তাহে উপস্থিতির হার ছিল ৫৪ শতাংশ, দ্বিতীয় সপ্তাহে ৫৫ শতাংশ, তৃতীয় সপ্তাহে ৫০ শতাংশ, চতুর্থ সপ্তাহে ৪৯ শতাংশ এবং পঞ্চম সপ্তাহে উপস্থিতির হার ছিল ৫০ উপস্থিতি বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে মাউশির পরিচালক (মনিটরিং অ্যান্ড অ্যাভালুয়েশন) প্রফেসর আমির হোসেন সংবাদকে বলেছেন, ‘উপস্থিতির হার নানা কারণেই বাড়ানো কঠিন; ঝুলে পড়া রোধে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। তাছাড়া এখন তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। সারাবিশ্বই প্রযুক্তিতে এগিয়ে গেছে; আমরাও এগিয়েছি। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে প্রায় দেড় বছরে অনলাইনে পাঠদান এবং অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া ও জমা নেয়ার মাধ্যমে আমাদের সক্ষমতাও প্রমাণিত হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা রয়েছে, সেগুলো কাটিয়ে উঠার চেষ্টাও করা হচ্ছে।’
নানা কারণেই বিদ্যালয়ে শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না- মন্তব্য করে আমির হোসেন বলেন, ‘শ্রেণীকক্ষে শতভাগ উপস্থিতি ও হাজিরা নিশ্চিত করতে হবে- এই চিন্তা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। যেসব শিক্ষার্থী অনলাইনে অ্যাসাইনমেন্ট নিচ্ছে, জমা দিচ্ছে তারা নিয়মিত শ্রেণীকক্ষে আসা জরুরি মনে করছেন না। পর্যায়ক্রমে অনলাইন শিক্ষার প্রসার ঘটবে; এটাই বাস্তবতা।’
ব্লেন্ডেড এডুকেশনকে ‘সার্বজনীন শিক্ষা’ অভিহিত করে তিনি বলেন, ‘এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যে যেখানে আছে সেখান থেকেই একটি আমব্রেলার নিচে আসবে। কেউই শিক্ষার আওতায় বাইরে থাকবে না।’
বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২১
পাঁচ সপ্তাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিতি প্রায় ৫০ শতাংশে নেমে এসেছে। নিয়মিত কমছে উপস্থিতির হার। টানা দেড় বছর বন্ধের পর গত ১২ সেপ্টেম্বর সীমিত পরিসরে শ্রেণীকক্ষে সরাসরি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম দিকে উপস্থিতির হার ছিল ৬০ শতাংশের বেশি। বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার খুব একটা বাড়বে না-এমনটি ধরেই ‘ব্লেন্ডেড এডুকেশন’ বা মিশ্রণ শিক্ষার আওতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা প্রশাসন। তিন মাসের মধ্যে এই শিক্ষার রূপরেখা তৈরি করতে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়াতে ‘ক্লাস বৃদ্ধির’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে এখনই ক্লাস বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে পারছে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাউশি কর্তৃপক্ষ। কারণ নভেম্বরে এসএসসি ও সমমান এবং ডিসেম্বরে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা হবে। এই সময়ে স্কুল ও কলেজগুলোকে পরীক্ষায় ব্যস্ত থাকতে হবে।
স্কুলে উপস্থিতি কমার পাঁচটি কারণ চিহ্নিত করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। সংস্থাটির মহাপরিচালক প্রফেসর সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ভার্চুয়াল সভায় স্কুল-কলেজে উপস্থিতি কম হওয়ার পাঁচটি কারণ তুলে ধরেন।
কারণগুলো হলো- ১. বিদ্যালয়ে আগত শিক্ষার্থীদের যদি তাদের বাড়িতে কারও জ্বর বা করোনার উপসর্গ আছে বলে প্রতীয়মান হয় তবে তাদের বিদ্যালয়ে আসার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
২. এসএসসি ২০২১ এবং এইচএসসি ২০২১-এর পরীক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে তাদের অনেকে বিদ্যালয়ে আসছে না।
৩. বিদ্যালয়ে আসার বিষয়ে কোন বাধ্যবাধকতা আরোপ না করা।
৪. এছাড়া স্থানান্তর, বিবাহ বা কাজে যোগ দেয়ার কারণেও অনেক শিক্ষার্থী অনুপস্থিত আছে, তবে তাদের অনেকেই যে ধীরে ধীরে মূল শিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে বা হবে তার কারণ তাদের বেশি ভাগই অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিচ্ছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও কর্মচারীদের উপস্থিতির হার সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক রয়েছে বলে মাউশি মহাপরিচালক জানিয়েছেন। দুই সপ্তাহ আগেও শ্রেণীকক্ষে উপস্থিতির হার কমার পাঁচটি কারণ চিহ্নিত করেছিল মাউশি।
শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিয়মিত কমতে থাকায় ‘ব্লেন্ডেড লার্নিং’ বা ‘মিশ্রণ শিক্ষা’ কার্যক্রম বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আগামী তিনমাস অর্থাৎ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্লেন্ডেড লার্নিং বা এডুকেশনের একটি রূপরেখা (ফ্রেমওয়ার্ক) তৈরির জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ক্রমে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে আগামীকাল জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) দিনব্যাপী এক কর্মশালার আয়োজন করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
ব্লেন্ডেড এডুকেশন কেমন হতে পারে- জানতে চাইলে মাউশির পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রফেসর ড. একিউএম শফিউল আজম সংবাদকে বলেন, ‘মূলত সবাইকে শিক্ষার আওতায় আনতেই এই উদ্যোগ। মনে করেন, নদীপাড়ে একটি গ্রামে কিছু শিক্ষার্থী রয়েছে; কিন্তু স্কুল নেই। তেমনি অন্য একটি এলাকায় স্কুল আছে, কিন্তু শিক্ষার্থী নেই সেই গ্রামে দুটি করে স্মার্ট টেলিভিশনে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে পাঠদান করা হবে।’
কর্মে নিয়োজিত ও শারীরিক সীমাবদ্ধতা থাকা শিক্ষার্থীদের পাঠদানের বিষয়ে শফিউল আজম বলেন, ‘এই শিক্ষার্থীরাও পাঠদানের আওতায় আসবে। এই ক্ষেত্রে অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। কেউ নির্ধারিত সময়ে অ্যাসাইনমেন্ট পাওয়া বা জমা দিতে না পারলে সুবিধাজনক সময়ে অনলাইনেই তা দেখতে পারবে, জমা দিতে পারবে। এক্ষেত্রে সরকার প্রযুক্তিগত সহায়তা বাড়াবে; একইসঙ্গে যুগোপযোগী শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করবে।’
মাউশির তথ্য অনুযায়ী, গত ১২ সেপ্টেম্বর সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণী কার্যক্রম শুরুর পর ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার ছিল ৬০ দশমিক ২৭ শতাংশ। ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই হার ছিল ৫৫ শতাংশ। পাঁচ সপ্তাহের মাথায় ১৪ অক্টোবর স্কুলে উপস্থিতির হার ছিল প্রায় ৫০ শতাংশ।
মাউশির বৃস্পতিবারের তথ্য অনুযায়ী, গত কিছুদিন ধরে নিম্নমাধ্যমিক পর্যায়ে উপস্থিতির গড় হার নির্ণয় হয়নি। তবে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রথম সপ্তাহে পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ছিল ৫৮ শতাংশ; দ্বিতীয় সপ্তাহে ৫৬ শতাংশ, তৃতীয় ও চতুর্থ সপ্তাহে ৫৩ শতাংশ এবং পঞ্চম সপ্তাহে তা ছিল ৫৪ শতাংশ।
আর একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম সপ্তাহে উপস্থিতির হার ছিল ৫৪ শতাংশ, দ্বিতীয় সপ্তাহে ৫৫ শতাংশ, তৃতীয় সপ্তাহে ৫০ শতাংশ, চতুর্থ সপ্তাহে ৪৯ শতাংশ এবং পঞ্চম সপ্তাহে উপস্থিতির হার ছিল ৫০ উপস্থিতি বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে মাউশির পরিচালক (মনিটরিং অ্যান্ড অ্যাভালুয়েশন) প্রফেসর আমির হোসেন সংবাদকে বলেছেন, ‘উপস্থিতির হার নানা কারণেই বাড়ানো কঠিন; ঝুলে পড়া রোধে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। তাছাড়া এখন তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। সারাবিশ্বই প্রযুক্তিতে এগিয়ে গেছে; আমরাও এগিয়েছি। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে প্রায় দেড় বছরে অনলাইনে পাঠদান এবং অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া ও জমা নেয়ার মাধ্যমে আমাদের সক্ষমতাও প্রমাণিত হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা রয়েছে, সেগুলো কাটিয়ে উঠার চেষ্টাও করা হচ্ছে।’
নানা কারণেই বিদ্যালয়ে শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না- মন্তব্য করে আমির হোসেন বলেন, ‘শ্রেণীকক্ষে শতভাগ উপস্থিতি ও হাজিরা নিশ্চিত করতে হবে- এই চিন্তা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। যেসব শিক্ষার্থী অনলাইনে অ্যাসাইনমেন্ট নিচ্ছে, জমা দিচ্ছে তারা নিয়মিত শ্রেণীকক্ষে আসা জরুরি মনে করছেন না। পর্যায়ক্রমে অনলাইন শিক্ষার প্রসার ঘটবে; এটাই বাস্তবতা।’
ব্লেন্ডেড এডুকেশনকে ‘সার্বজনীন শিক্ষা’ অভিহিত করে তিনি বলেন, ‘এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যে যেখানে আছে সেখান থেকেই একটি আমব্রেলার নিচে আসবে। কেউই শিক্ষার আওতায় বাইরে থাকবে না।’