বর্তমান সময়ের উঠতি নায়িকা মন্দিরা চক্রবর্তী, তিনি মূলত একজন নৃত্যশিল্পী। ‘কাজলরেখা’ সিনেমার মাধ্যমে তার বড়পর্দায় ক্যারিয়ার শুরু হয়। এবার ঈদে মুক্তি পেল তার অভিনীত সিনেমা ‘নীলচক্র’। এই সিনেমা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে মন্দিরার সাথে কথা বলেন সংবাদের বিনোদন সাংবাদিক নায়িমী জান্নাত ব্যাপ্তি।

কেমন যাচ্ছে এই সময়টা?

খুব ব্যস্ততার মধ্যে আছি। হলে হলে ঘুরছি । দশকদের প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করছি।

পরিবার নিয়ে ঈদে ‘নীলচক্র’ দেখা হয়েছে? আপনার অভিনয় তাদের কেমন লেগেছে?

হ্যা, ঈদের দিন বিকেলেই পরিবার নিয়ে ‘নীলচক্র’ দেখা হয়েছে। পরিবারের সকলে খুবই আনন্দিত। সবাই খুব ভালো বলছেন, পাশাপাশি এটাও বলছেন আরো ভালো করতে হবে।

আপনার ছোটবেলার স্বপ্ন কী ছিল? তখন কি কখনো ভেবেছিলেন আপনি একজন নায়িকা হবেন?

নিজেকে ছোটবেলা থেকেই নায়িকা মনে করতাম। নাচ বেশি ভালো লাগত তাই প্রথমে নাচের জগতে আসা, সেখান থেকেই অভিনয়ে আসা।

আপনি ‘নীলচক্র’ নিয়ে কেমন আশাবাদি?

‘নীলচক্র’র পরিচালক মিঠু খান ভাইয়া বেশ যতœ দিয়ে সিনেমাটি বানিয়েছেন। আমি এবং আরিফিন শুভ ভাইয়াও চেষ্ট করেছি ভালো কিছু করার। সমাজের একটি সমস্যা সাইবার বুলিং সেটা নিয়ে কাজ করেছি আমরা । আশা করছি সবার ভালো লাগবে।

সহ অভিনেতা হিসেবে আরিফিন শুভ কেমন?

আরিফিন শুভ ভাইয়া খুবই ভালো অভিনেতা, অভিজ্ঞ অভিনেতা। সহ অভিনেতা হিসেবেও তিনি খুবই ভালো । আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন অভিনয়ে। তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি ।

পরিবার আপনার অভিনয়জীবনকে কীভাবে দেখছে?

আমার পরিবারের সকলেই খুব ভালো ভাবেই নিয়েছে আমার ক্যারিয়ারটা । তারা আমাকে প্রতিনিয়তই অনুপ্রেরণা দিয়ে পাশে থাকেন। বিশেষ করে আমার বাবা-মা আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। তারা আমার জন্য আনেক কষ্ট করেছেন। আমাকে বড় করতে আনেক কষ্ট করেছেন ।

আপনি যখন অবসর পান, তখন কী করতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে?

বই পড়ি, বই পড়তে ভিষণ ভালোবাসি। পরিবারের সাথে সময় কাটাই, বন্ধুদের সাথে ঘুরতে বের হই ।

আপনার মতে একজন ভালো অভিনেত্রীর সবচেয়ে জরুরি গুণ কোনটি?

ভালো অভিনেত্রীর সবচেয়ে জরুরি গুণ তার অভিনয় দক্ষতা। এটাই আমার বিশ্বাস । কারণ একজন অভিনেত্রীর প্রথম পরিচয় তার

অভিনয়। এছাড়াও অভিনেত্রীদের নানা রকম গুণ থাকতেই হয়।

এমন কোনো চরিত্র আছে যেটা আপনার জীবনের সঙ্গে খুব মিলে যায়?

এখন পযন্ত এমন চরিত্রে কাজ করা হয়নি আমার। কাজলরেখা একটি কাল্পনিক গল্পছিল। সেখানে আমার চরিত্রটি অনেক আগের গ্রামের একটি মেয়ে। কিন্তু ‘নীলচক্র’ সিনেমায় আমার চরিত্রটি এই যুগের একটি মেয়ের।

কোনো চরিত্র করার সময় কখনো মানসিকভাবে প্রভাবিত হয়েছেন?

‘কাজলরেখা’ করার সময় মানসিক ভাবে পস্তুত হতে হয়েছিল। কারণ আমি এই যুগের মেয়ে। গল্পটা যে যুগের সেই যুগের চালচলন ,পোশাকের ধরণ সব শিখতে হয়েছিল। কিন্তু ‘নীলচক্র’ এই যুগের সিনেমা তাই তেমন কোনো মানসিক প্রভাব ছিল না।

আপনি বর্তমান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কী পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছেন?

অনেক পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। পরিচালকরা গল্প নিভর ভালো ছবি বানাচ্ছেন। অনেক নতুন অভিনেতারাও কাজের সুযোগ পাচ্ছেন। সিনেমা গুলো ব্যবসা সফল হচ্ছে।

একজন নায়িকার ক্ষেত্রে কী ধরনের চাপ থাকে বলে আপনি মনে করেন?

অনেক ধরনের চাপ থাকে, যেমন নিজের অভিনয় দক্ষতা আরও বৃদ্ধি করার দিকে নজর রাখা। সময়ের সাথে নিজেকে আপডেট রাখা। দশকদের চাহিদা মাথায় রেখে কাজ করে যাওয়া।

আপনি কি শুধুই সিনেমায় সীমাবদ্ধ থাকতে চান, নাকি ওয়েব সিরিজ, থিয়েটার বা আন্তর্জাতিক প্রজেক্টেও কাজ করতে আগ্রহী?

অবশ্যই সব ধরনের কাজ করতে চাই। সুযোগ পেলে অবশ্যই করব।

আপনার ভক্তদের জন্য কিছু বলুন।

সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা । এভাবেই ভালোবাসা দেবেন। আর সবাই ‘নীলচক্র’ দেখবেন।