কর ছাড় ও বিপুল ব্যয়ের লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বহুল আলোচিত ‘বিগ, বিউটিফুল বিল’ শেষ পর্যন্ত মার্কিন কংগ্রেসের দুই কক্ষেই পাস হয়েছে। তুমুল বিতর্ক আর হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি মাত্র চার ভোটের ব্যবধানে পাস হয়। এর আগে সিনেটেও এটি ১ ভোটের ব্যবধানে গৃহীত হয়েছিল।
বিবিসি জানায়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি ২১৮–২১৪ ভোটে পাস হয়। এর মাধ্যমে বিলটি এখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের স্বাক্ষরের অপেক্ষায় রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, শুক্রবার বিকেলে ট্রাম্প বিলটিতে স্বাক্ষর করে একে আইনে পরিণত করবেন।
প্রতিনিধি পরিষদে ভোটের পর রিপাবলিকান স্পিকার মাইক জনসন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে দলীয় সাংসদদের ধন্যবাদ জানান। বিল পাসের পর ফ্লোরে দাঁড়িয়ে ডজনখানেক রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ‘ইউএসএ, ইউএসএ’ স্লোগান দেন।
তবে বিলটি নিয়ে ছিল চরম মতভেদ। কংগ্রেসের বাজেট দপ্তরের অনুমান অনুযায়ী, এই বিলের ফলে আগামী ১০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি বাড়বে প্রায় ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলার। সেই সঙ্গে কোটি কোটি আমেরিকান স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক নিরাপত্তার আওতার বাইরে চলে যেতে পারেন। যদিও হোয়াইট হাউজ এ বিশ্লেষণের সঙ্গে একমত নয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, “এই বিল দেশকে রকেটের গতিতে এগিয়ে নেবে। এটি আমেরিকার জন্য চমৎকার এক বিল।”
বিলটির বিরোধিতায় সর্বশেষ পর্যন্ত শুধু দুই রিপাবলিকান—থমাস মেসি ও ব্রায়ান ফিজপ্যাট্রিক—ভোট দেন। অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাট নেতা হাকিম জেফরিস বিলটির বিরুদ্ধে ৮ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট ধরে বক্তৃতা দেন—যা প্রতিনিধি পরিষদের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘতম বক্তৃতা হিসেবে রেকর্ড গড়েছে।
বিলটি আইনে পরিণত হলে ২০১৭ সালে ট্রাম্পের দেওয়া কর ছাড় স্থায়ী হবে। সেই সঙ্গে বখশিশ, ওভারটাইম ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতের উপার্জনের ওপর কর প্রত্যাহার করা হবে, যার ফলে ১০ বছরে ফেডারেল আয়ে ৪.৫ লাখ কোটি ডলার ঘাটতি হতে পারে।
এছাড়া বিলটির আওতায় ট্রাম্প সীমান্ত নিরাপত্তা, আটককেন্দ্র ও অভিবাসন কার্যক্রমে ১৫ হাজার কোটি ডলার এবং সামরিক খাতে আরও ১৫ হাজার কোটি ডলার ব্যয়ের সুযোগ পাবেন। এই বাজেটের মধ্যে রয়েছে তাঁর স্বপ্নের ‘গোল্ডেন ডোম’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা কর্মসূচির বরাদ্দও।
ডেমোক্র্যাটদের আশঙ্কা, বিলটি কার্যকর হলে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মার্কিনিদের জীবন আরও কঠিন হয়ে উঠবে। অনেক সুবিধা কমে যাবে, এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানি প্রকল্পে কর ছাড় বন্ধ হয়ে যাবে।
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
কর ছাড় ও বিপুল ব্যয়ের লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বহুল আলোচিত ‘বিগ, বিউটিফুল বিল’ শেষ পর্যন্ত মার্কিন কংগ্রেসের দুই কক্ষেই পাস হয়েছে। তুমুল বিতর্ক আর হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি মাত্র চার ভোটের ব্যবধানে পাস হয়। এর আগে সিনেটেও এটি ১ ভোটের ব্যবধানে গৃহীত হয়েছিল।
বিবিসি জানায়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি ২১৮–২১৪ ভোটে পাস হয়। এর মাধ্যমে বিলটি এখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের স্বাক্ষরের অপেক্ষায় রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, শুক্রবার বিকেলে ট্রাম্প বিলটিতে স্বাক্ষর করে একে আইনে পরিণত করবেন।
প্রতিনিধি পরিষদে ভোটের পর রিপাবলিকান স্পিকার মাইক জনসন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে দলীয় সাংসদদের ধন্যবাদ জানান। বিল পাসের পর ফ্লোরে দাঁড়িয়ে ডজনখানেক রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ‘ইউএসএ, ইউএসএ’ স্লোগান দেন।
তবে বিলটি নিয়ে ছিল চরম মতভেদ। কংগ্রেসের বাজেট দপ্তরের অনুমান অনুযায়ী, এই বিলের ফলে আগামী ১০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি বাড়বে প্রায় ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলার। সেই সঙ্গে কোটি কোটি আমেরিকান স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক নিরাপত্তার আওতার বাইরে চলে যেতে পারেন। যদিও হোয়াইট হাউজ এ বিশ্লেষণের সঙ্গে একমত নয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, “এই বিল দেশকে রকেটের গতিতে এগিয়ে নেবে। এটি আমেরিকার জন্য চমৎকার এক বিল।”
বিলটির বিরোধিতায় সর্বশেষ পর্যন্ত শুধু দুই রিপাবলিকান—থমাস মেসি ও ব্রায়ান ফিজপ্যাট্রিক—ভোট দেন। অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাট নেতা হাকিম জেফরিস বিলটির বিরুদ্ধে ৮ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট ধরে বক্তৃতা দেন—যা প্রতিনিধি পরিষদের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘতম বক্তৃতা হিসেবে রেকর্ড গড়েছে।
বিলটি আইনে পরিণত হলে ২০১৭ সালে ট্রাম্পের দেওয়া কর ছাড় স্থায়ী হবে। সেই সঙ্গে বখশিশ, ওভারটাইম ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতের উপার্জনের ওপর কর প্রত্যাহার করা হবে, যার ফলে ১০ বছরে ফেডারেল আয়ে ৪.৫ লাখ কোটি ডলার ঘাটতি হতে পারে।
এছাড়া বিলটির আওতায় ট্রাম্প সীমান্ত নিরাপত্তা, আটককেন্দ্র ও অভিবাসন কার্যক্রমে ১৫ হাজার কোটি ডলার এবং সামরিক খাতে আরও ১৫ হাজার কোটি ডলার ব্যয়ের সুযোগ পাবেন। এই বাজেটের মধ্যে রয়েছে তাঁর স্বপ্নের ‘গোল্ডেন ডোম’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা কর্মসূচির বরাদ্দও।
ডেমোক্র্যাটদের আশঙ্কা, বিলটি কার্যকর হলে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মার্কিনিদের জীবন আরও কঠিন হয়ে উঠবে। অনেক সুবিধা কমে যাবে, এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানি প্রকল্পে কর ছাড় বন্ধ হয়ে যাবে।