কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার কয়েকদিনের মাথায় ভারত ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মধ্যে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ভারতীয় চৌকি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করলে পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় বাহিনী।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি সূত্র জানায়, “গত রাতে নিয়ন্ত্রণ রেখার বিভিন্ন স্থানে ছোট অস্ত্র ব্যবহার করে পাকিস্তান গুলি চালিয়েছে। ভারতীয় বাহিনীও এর কার্যকর জবাব দিয়েছে।” তবে এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এই গোলাগুলি এমন এক সময়ে ঘটল, যখন পেহেলগামে জঙ্গি হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ওই হামলায় ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হন। ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) নামের একটি সংগঠন এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। সংগঠনটি পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার একটি শাখা হিসেবে পরিচিত। ধারণা করা হচ্ছে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এই সংগঠনকে সমর্থন দিয়ে আসছে।
এ হামলার পর ভারত সরকার বেশ কড়া প্রতিক্রিয়া জানায়। সার্ক ভিসা স্কিমের আওতায় পাকিস্তানিদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করা হয় এবং বর্তমানে ভারতে অবস্থান করা পাকিস্তানিদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে আটারি সীমান্ত বন্ধ, ঐতিহাসিক সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত, এবং দুই দেশের হাই কমিশনে কূটনীতিক সংখ্যা কমানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ভারতের এই পদক্ষেপের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানও বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঘোষণা দেয় ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি স্থগিত এবং ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত করে এবং নয়া দিল্লিকে পাকিস্তানের ভূখণ্ড ব্যবহার করে তৃতীয় দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইসলামাবাদ। ভারতীয় উড়োজাহাজের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণাও এসেছে।
উভয় দেশের এই পাল্টাপাল্টি অবস্থান ও নিয়ন্ত্রণ রেখার সাম্প্রতিক সংঘাত দুই প্রতিবেশী পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে নতুন করে বড় ধরনের সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার কয়েকদিনের মাথায় ভারত ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মধ্যে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ভারতীয় চৌকি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করলে পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় বাহিনী।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি সূত্র জানায়, “গত রাতে নিয়ন্ত্রণ রেখার বিভিন্ন স্থানে ছোট অস্ত্র ব্যবহার করে পাকিস্তান গুলি চালিয়েছে। ভারতীয় বাহিনীও এর কার্যকর জবাব দিয়েছে।” তবে এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এই গোলাগুলি এমন এক সময়ে ঘটল, যখন পেহেলগামে জঙ্গি হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ওই হামলায় ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হন। ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) নামের একটি সংগঠন এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। সংগঠনটি পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার একটি শাখা হিসেবে পরিচিত। ধারণা করা হচ্ছে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এই সংগঠনকে সমর্থন দিয়ে আসছে।
এ হামলার পর ভারত সরকার বেশ কড়া প্রতিক্রিয়া জানায়। সার্ক ভিসা স্কিমের আওতায় পাকিস্তানিদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করা হয় এবং বর্তমানে ভারতে অবস্থান করা পাকিস্তানিদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে আটারি সীমান্ত বন্ধ, ঐতিহাসিক সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত, এবং দুই দেশের হাই কমিশনে কূটনীতিক সংখ্যা কমানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ভারতের এই পদক্ষেপের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানও বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঘোষণা দেয় ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি স্থগিত এবং ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত করে এবং নয়া দিল্লিকে পাকিস্তানের ভূখণ্ড ব্যবহার করে তৃতীয় দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইসলামাবাদ। ভারতীয় উড়োজাহাজের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণাও এসেছে।
উভয় দেশের এই পাল্টাপাল্টি অবস্থান ও নিয়ন্ত্রণ রেখার সাম্প্রতিক সংঘাত দুই প্রতিবেশী পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে নতুন করে বড় ধরনের সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।