গাজা সিটির জেইতুন এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বোমাবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্র আল-শাফি স্কুলের সামনে এক ফিলিস্তিনি শিশু। ছবি: রয়টার্স
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় শনিবার ভোর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় অন্তত ৬৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিন শিশু রয়েছে। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। গাজার বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্রে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
নিহতদের মধ্যে অন্তত নয়জন প্রাণ হারিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল-সমর্থিত মানবিক সহায়তা সংস্থা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) একটি কেন্দ্রের কাছাকাছি হামলায়। এ নিয়ে জিএইচএফ কেন্দ্রের আশপাশে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪৩ জনে, বলছে আল জাজিরা।
গাজা সিটির জেইতুন এলাকায় জাতিসংঘের পরিচালিত আশ্রয়কেন্দ্র আল-শাফি স্কুলে বোমাবর্ষণ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ হামলার সময় স্কুল ভবনের একটি ধ্বংসস্তূপ থেকে সন্তানদের নিয়ে পালিয়ে আসেন জাহওয়া সালমি নামের এক নারী। তিনি বলেন, “সোয়া দুইটার দিকে বিকট বিস্ফোরণের শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। লোকজন চিৎকার করছিল, তারপর হঠাৎ সব স্তব্ধ হয়ে যায়।”
ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজা সিটির কাছে একটি পানি বিশুদ্ধকরণ প্রকল্পে দুইজন নিহত হন, আহত হন আরও অন্তত ১৫ জন।
দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি এলাকায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের একটি তাবু শিবিরে ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে নিহত হয়েছেন ছয়জন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। আহতদের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া মধ্য গাজার আল-নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে চালানো আরেকটি হামলায় নিহত হয়েছেন আরও দুইজন, আহত হয়েছেন কয়েকজন।
গাজার ধ্বংসপ্রাপ্ত হাসপাতালগুলো বিপুল আহতের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রায় ৯ মাস ধরে চলা যুদ্ধ অভিযানে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৫৭,৩৩৮ জন, আহত হয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯৫৭ জন।
গাজা সিটির জেইতুন এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বোমাবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্র আল-শাফি স্কুলের সামনে এক ফিলিস্তিনি শিশু। ছবি: রয়টার্স
রোববার, ০৬ জুলাই ২০২৫
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় শনিবার ভোর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় অন্তত ৬৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিন শিশু রয়েছে। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। গাজার বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্রে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
নিহতদের মধ্যে অন্তত নয়জন প্রাণ হারিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল-সমর্থিত মানবিক সহায়তা সংস্থা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) একটি কেন্দ্রের কাছাকাছি হামলায়। এ নিয়ে জিএইচএফ কেন্দ্রের আশপাশে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪৩ জনে, বলছে আল জাজিরা।
গাজা সিটির জেইতুন এলাকায় জাতিসংঘের পরিচালিত আশ্রয়কেন্দ্র আল-শাফি স্কুলে বোমাবর্ষণ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ হামলার সময় স্কুল ভবনের একটি ধ্বংসস্তূপ থেকে সন্তানদের নিয়ে পালিয়ে আসেন জাহওয়া সালমি নামের এক নারী। তিনি বলেন, “সোয়া দুইটার দিকে বিকট বিস্ফোরণের শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। লোকজন চিৎকার করছিল, তারপর হঠাৎ সব স্তব্ধ হয়ে যায়।”
ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজা সিটির কাছে একটি পানি বিশুদ্ধকরণ প্রকল্পে দুইজন নিহত হন, আহত হন আরও অন্তত ১৫ জন।
দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি এলাকায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের একটি তাবু শিবিরে ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে নিহত হয়েছেন ছয়জন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। আহতদের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া মধ্য গাজার আল-নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে চালানো আরেকটি হামলায় নিহত হয়েছেন আরও দুইজন, আহত হয়েছেন কয়েকজন।
গাজার ধ্বংসপ্রাপ্ত হাসপাতালগুলো বিপুল আহতের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রায় ৯ মাস ধরে চলা যুদ্ধ অভিযানে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৫৭,৩৩৮ জন, আহত হয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯৫৭ জন।