ফ্রান্সের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর নঁতে-তে এক হাই স্কুলে সহপাঠীদের ছুরিকাঘাত করেছে ১৫ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় এক ছাত্রী নিহত এবং আরও তিনজন ছেলে শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে নতর-দাম-দ্য-তুত-এইদ নামের একটি বেসরকারি ক্যাথলিক স্কুলে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
ফরাসি বার্তা সংস্থা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হামলাকারী শিক্ষার্থীকে পুলিশ আসার আগেই শিক্ষকরা ধরে ফেলেন এবং তাকে নিরস্ত করেন। নিহত শিক্ষার্থীর বয়স বা পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
ঘটনার পর হামলাকারী ছাত্রের এক সহপাঠী জানান, সে প্রায়ই হিটলারের নাৎসি মতাদর্শ নিয়ে কথা বলত এবং বলে বেড়াত যে, সে ওই দর্শন ফিরিয়ে আনতে চায়। “আমরা ভেবেছিলাম সে শুধু ঠাট্টা করছে,” বলেন ওই সহপাঠী।
ছুরি হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে হামলাকারী একটি দীর্ঘ ইমেইল পাঠায় স্কুল কর্তৃপক্ষকে। ইমেইলে পরিবেশবাদ, বৈশ্বিকীকরণের বিরোধিতা ইত্যাদি বিষয় থাকলেও কোথাও হামলার হুমকি ছিল না।
হামলার পর নিরাপত্তার কারণে স্কুলের সব শিক্ষার্থীকে ভেতরে আটকে রাখা হয়। বিকেলের দিকে পুলিশি নিরাপত্তায় তাদের বাড়ি যেতে দেওয়া হয়। এ সময় অসংখ্য অভিভাবক স্কুলের বাইরে ভিড় করেন।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেতাইও বলেন, “শৃঙ্খলার অভাব, নিয়মকানুনের শৈথিল্য ও অনিয়ন্ত্রিত পরিবেশ থেকেই এমন ঘটনা ঘটে।”
নঁতের মেয়র জোয়ানা রোলঁ এ ঘটনায় রাজনৈতিক রং না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “দেশের তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য এখন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া দরকার।”
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
ফ্রান্সের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর নঁতে-তে এক হাই স্কুলে সহপাঠীদের ছুরিকাঘাত করেছে ১৫ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় এক ছাত্রী নিহত এবং আরও তিনজন ছেলে শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে নতর-দাম-দ্য-তুত-এইদ নামের একটি বেসরকারি ক্যাথলিক স্কুলে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
ফরাসি বার্তা সংস্থা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হামলাকারী শিক্ষার্থীকে পুলিশ আসার আগেই শিক্ষকরা ধরে ফেলেন এবং তাকে নিরস্ত করেন। নিহত শিক্ষার্থীর বয়স বা পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
ঘটনার পর হামলাকারী ছাত্রের এক সহপাঠী জানান, সে প্রায়ই হিটলারের নাৎসি মতাদর্শ নিয়ে কথা বলত এবং বলে বেড়াত যে, সে ওই দর্শন ফিরিয়ে আনতে চায়। “আমরা ভেবেছিলাম সে শুধু ঠাট্টা করছে,” বলেন ওই সহপাঠী।
ছুরি হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে হামলাকারী একটি দীর্ঘ ইমেইল পাঠায় স্কুল কর্তৃপক্ষকে। ইমেইলে পরিবেশবাদ, বৈশ্বিকীকরণের বিরোধিতা ইত্যাদি বিষয় থাকলেও কোথাও হামলার হুমকি ছিল না।
হামলার পর নিরাপত্তার কারণে স্কুলের সব শিক্ষার্থীকে ভেতরে আটকে রাখা হয়। বিকেলের দিকে পুলিশি নিরাপত্তায় তাদের বাড়ি যেতে দেওয়া হয়। এ সময় অসংখ্য অভিভাবক স্কুলের বাইরে ভিড় করেন।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেতাইও বলেন, “শৃঙ্খলার অভাব, নিয়মকানুনের শৈথিল্য ও অনিয়ন্ত্রিত পরিবেশ থেকেই এমন ঘটনা ঘটে।”
নঁতের মেয়র জোয়ানা রোলঁ এ ঘটনায় রাজনৈতিক রং না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “দেশের তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য এখন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া দরকার।”