যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব ১৪ হাজার ২০০ কোটি ডলারের একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সই করেছে, যাকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ‘সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি’ বলে উল্লেখ করেছে হোয়াইট হাউজ।
মঙ্গলবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে এই চুক্তি হয়। এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো সৌদি আরবকে বিপুল পরিমাণ আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও সামরিক সেবা সরবরাহ করবে।
চুক্তি সইয়ের পর যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে ‘বিস্ময়কর একজন মানুষ’ আখ্যা দিয়ে ট্রাম্প বলেন, “সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধন এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী।”
ট্রাম্পের এ সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল বড় অঙ্কের অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা চুক্তি। তবে গাজা যুদ্ধ কিংবা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা এ সফরের মুখ্য বিষয় ছিল না।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী আরব দেশগুলোর মধ্যে সৌদি আরব বহুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রের অন্যতম প্রধান ক্রেতা। তবে ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইয়েমেনে সৌদি আরবের যুদ্ধনীতির কারণে দেশটির সঙ্গে অস্ত্রচুক্তি স্থগিত করেন। একইসঙ্গে ২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাশোগজি হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি সম্পর্কে চরম টানাপোড়েন দেখা দেয়।
যদিও সেই সময় যুবরাজ বিন সালমানের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে, তিনি তা অস্বীকার করেন।
২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী থাকা অবস্থায় বাইডেন সৌদি আরবকে ‘একঘরে’ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও ক্ষমতায় এসে ধীরে ধীরে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠন করেন এবং ২০২৪ সাল নাগাদ অস্ত্র বিক্রিও আবার শুরু হয়।
চলতি বছর ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্যোগে সম্পাদিত নতুন এই চুক্তিকে দুই দেশের সম্পর্কের নতুন মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
চুক্তি পরবর্তী বক্তব্যে ট্রাম্প আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি আরব আজ তাদের সম্পর্ক আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে আরও বেশি শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নিয়েছে।”
বক্তব্যে ট্রাম্প সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেন এবং ইরানের সঙ্গে চুক্তির আগ্রহ প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে গাজা প্রসঙ্গে বলেন, “গাজার মানুষ আরও ভালো ভবিষ্যৎ প্রাপ্য। কিন্তু গাজার নেতারা যদি সাধারণ মানুষকে অপহরণ, নির্যাতন ও হামলার নিশানা করা বন্ধ না করেন, তবে সে ভবিষ্যৎ সম্ভব নয়।”
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব ১৪ হাজার ২০০ কোটি ডলারের একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সই করেছে, যাকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ‘সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি’ বলে উল্লেখ করেছে হোয়াইট হাউজ।
মঙ্গলবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে এই চুক্তি হয়। এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো সৌদি আরবকে বিপুল পরিমাণ আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও সামরিক সেবা সরবরাহ করবে।
চুক্তি সইয়ের পর যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে ‘বিস্ময়কর একজন মানুষ’ আখ্যা দিয়ে ট্রাম্প বলেন, “সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধন এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী।”
ট্রাম্পের এ সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল বড় অঙ্কের অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা চুক্তি। তবে গাজা যুদ্ধ কিংবা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা এ সফরের মুখ্য বিষয় ছিল না।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী আরব দেশগুলোর মধ্যে সৌদি আরব বহুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রের অন্যতম প্রধান ক্রেতা। তবে ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইয়েমেনে সৌদি আরবের যুদ্ধনীতির কারণে দেশটির সঙ্গে অস্ত্রচুক্তি স্থগিত করেন। একইসঙ্গে ২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাশোগজি হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি সম্পর্কে চরম টানাপোড়েন দেখা দেয়।
যদিও সেই সময় যুবরাজ বিন সালমানের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে, তিনি তা অস্বীকার করেন।
২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী থাকা অবস্থায় বাইডেন সৌদি আরবকে ‘একঘরে’ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও ক্ষমতায় এসে ধীরে ধীরে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠন করেন এবং ২০২৪ সাল নাগাদ অস্ত্র বিক্রিও আবার শুরু হয়।
চলতি বছর ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্যোগে সম্পাদিত নতুন এই চুক্তিকে দুই দেশের সম্পর্কের নতুন মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
চুক্তি পরবর্তী বক্তব্যে ট্রাম্প আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি আরব আজ তাদের সম্পর্ক আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে আরও বেশি শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নিয়েছে।”
বক্তব্যে ট্রাম্প সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেন এবং ইরানের সঙ্গে চুক্তির আগ্রহ প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে গাজা প্রসঙ্গে বলেন, “গাজার মানুষ আরও ভালো ভবিষ্যৎ প্রাপ্য। কিন্তু গাজার নেতারা যদি সাধারণ মানুষকে অপহরণ, নির্যাতন ও হামলার নিশানা করা বন্ধ না করেন, তবে সে ভবিষ্যৎ সম্ভব নয়।”