বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস‘ পালন করা হয় যেখানে সাংবাদিক, অধিকারকর্মী ও সমাজের প্রতিনিধিরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন এবং গণমাধ্যমের উপর থেকে সমস্ত বিধিনিষেধ অবিলম্বে অপসারণ এবং অবাধ তথ্য প্রবাহের মাধ্যমে সাংবাদিকতার সক্রিয় পরিবেশ তৈরি করার দাবি জানিয়েছেন। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ভয়েস, আর্টিকেল ১৯, ফোরাম ফর ফ্রিডম অফ এক্সপ্রেশেন বাংলাদশে (এফএক্সবি), ইন্টারনিউজ, পেন ইন্টারন্যাশনাল-বাংলাদেশে এবং রিপোর্টার সান ফ্রন্টিয়ার্স (আরএসএফ) যৌথভাবে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক ওয়েবিনার আয়োজন করে।
ওয়েবিনারে আলোচনা সভা পরিচালনা করেন ভয়েস এর নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ এবং সভাপতিত্ব করেন আর্টিকেল ১৯ এর দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুক ফয়সাল, এছাড়াও আরএসএফ প্রতিনিধি এবং এফএক্সবি’র সাধারণ সম্পাদক সেলিম সামাদ, বিশিষ্ট সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, পেন ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল ডাঃ অরীন জামান, ইন্টারনিউজের প্রোগ্রাম ম্যানেজার শামীম আরা শিউলি, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র প্রভাষক সাইমুম রেজা পিয়াস আলোচনায় বক্তব্য রাখেন। সভায় মূল আলোচনাপত্র উপস্থাপন করেন ভয়েস এর প্রোগ্রাম অফিসার আফতাব খান শাওন।
মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, করোনা প্রতিবন্ধকতা, সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও সাংবাদিকরা তাদের পেশাদারি দায়িত্ব পালন করছেন। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য আইনী বিধানগুলোর সংস্কারের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন এবং সাংবাদিকদের চাকুরীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আহ্বান জানান।
সেলিম সামাদ বলেন, করোনা ভাইরাস (কোভডি-১৯) মোকাবলিায় নীত-নির্ধিারণী পর্যায়ে সমন্বয়হীনতা, র্কমপরকিল্পনায় অস্বচ্ছতা ও জবাবদহিতার প্রকট অভাব রয়েছে। তিনি বলেন, সরকারকে সকল স্তরে জবাবদহিতিা নিশ্চিত করতে হবে এবং যারা সমালোচনা করে তাদের অভিযুক্ত না করে বিকল্প কণ্ঠকে সম্মান করার আহ্বান জানান তিনি। অন্যদিকে তিনি ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যক্ট বাতিল করে মত প্রকাশরে স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
ফারুক ফয়সাল বলেন, সরকারকে অবশ্যই সাংবিধানিক দায়বদ্ধতার চেতনা বহাল রাখতে হবে এবং আন্যান্য ব্যবস্থার মাধ্যমে ভুল তথ্য রোধ করতে হবে। তিনি নাগরিক সমাজকে একত্রিত হয়ে মত প্রকাশরে জন্য নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু পরিবেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লড়াই করার আহ্বান জানান।
শামীম আরা শিউলি বলেন, সাংবাদিক পেশায় নারী সাংবাদিকদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রতিকূলতা, প্রতিকূল কর্মপরিবেশ এবং যৌন হয়রানির ও লিঙ্গ বৈষম্যর মত অনেক বাধা অতিক্রম করতে হয়। মহামারী চলাকালীন এই বাধাগুলো নতুন করে সমস্যা তৈরি করেছে এবং চ্যালেঞ্জ যুক্ত করেছে। নারী সাংবাদিকরা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে প্রথমে নিজেকে সংগঠিত করা জরুরি বলে মনে করেন তিনি। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে গণমাধ্যমে চাকরি থেকে বাদ দেয়া কিংবা বেতন কমিয়ে দেয়া ব্যাপারগুলো নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি। মিডিয়া আউটলেট মালিকদের অনুরোধ করেছেন বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার জন্য।
বক্তারা বলেন, মুক্ত গণমাধ্যম এবং তথ্যর সত্যতা সাংবাদিকতার জন্য মূল বিষয়। সরকারের উচিত সাংবাদিকদের অধিকার এবং মৌলিক সুযোগসুবিধা সরবরাহ করা যাতে তারা চাপ ও বাধা ছাড়াই তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারে।
সোমবার, ০৩ মে ২০২১
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস‘ পালন করা হয় যেখানে সাংবাদিক, অধিকারকর্মী ও সমাজের প্রতিনিধিরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন এবং গণমাধ্যমের উপর থেকে সমস্ত বিধিনিষেধ অবিলম্বে অপসারণ এবং অবাধ তথ্য প্রবাহের মাধ্যমে সাংবাদিকতার সক্রিয় পরিবেশ তৈরি করার দাবি জানিয়েছেন। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ভয়েস, আর্টিকেল ১৯, ফোরাম ফর ফ্রিডম অফ এক্সপ্রেশেন বাংলাদশে (এফএক্সবি), ইন্টারনিউজ, পেন ইন্টারন্যাশনাল-বাংলাদেশে এবং রিপোর্টার সান ফ্রন্টিয়ার্স (আরএসএফ) যৌথভাবে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক ওয়েবিনার আয়োজন করে।
ওয়েবিনারে আলোচনা সভা পরিচালনা করেন ভয়েস এর নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ এবং সভাপতিত্ব করেন আর্টিকেল ১৯ এর দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুক ফয়সাল, এছাড়াও আরএসএফ প্রতিনিধি এবং এফএক্সবি’র সাধারণ সম্পাদক সেলিম সামাদ, বিশিষ্ট সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, পেন ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল ডাঃ অরীন জামান, ইন্টারনিউজের প্রোগ্রাম ম্যানেজার শামীম আরা শিউলি, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র প্রভাষক সাইমুম রেজা পিয়াস আলোচনায় বক্তব্য রাখেন। সভায় মূল আলোচনাপত্র উপস্থাপন করেন ভয়েস এর প্রোগ্রাম অফিসার আফতাব খান শাওন।
মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, করোনা প্রতিবন্ধকতা, সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও সাংবাদিকরা তাদের পেশাদারি দায়িত্ব পালন করছেন। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য আইনী বিধানগুলোর সংস্কারের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন এবং সাংবাদিকদের চাকুরীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আহ্বান জানান।
সেলিম সামাদ বলেন, করোনা ভাইরাস (কোভডি-১৯) মোকাবলিায় নীত-নির্ধিারণী পর্যায়ে সমন্বয়হীনতা, র্কমপরকিল্পনায় অস্বচ্ছতা ও জবাবদহিতার প্রকট অভাব রয়েছে। তিনি বলেন, সরকারকে সকল স্তরে জবাবদহিতিা নিশ্চিত করতে হবে এবং যারা সমালোচনা করে তাদের অভিযুক্ত না করে বিকল্প কণ্ঠকে সম্মান করার আহ্বান জানান তিনি। অন্যদিকে তিনি ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যক্ট বাতিল করে মত প্রকাশরে স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
ফারুক ফয়সাল বলেন, সরকারকে অবশ্যই সাংবিধানিক দায়বদ্ধতার চেতনা বহাল রাখতে হবে এবং আন্যান্য ব্যবস্থার মাধ্যমে ভুল তথ্য রোধ করতে হবে। তিনি নাগরিক সমাজকে একত্রিত হয়ে মত প্রকাশরে জন্য নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু পরিবেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লড়াই করার আহ্বান জানান।
শামীম আরা শিউলি বলেন, সাংবাদিক পেশায় নারী সাংবাদিকদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রতিকূলতা, প্রতিকূল কর্মপরিবেশ এবং যৌন হয়রানির ও লিঙ্গ বৈষম্যর মত অনেক বাধা অতিক্রম করতে হয়। মহামারী চলাকালীন এই বাধাগুলো নতুন করে সমস্যা তৈরি করেছে এবং চ্যালেঞ্জ যুক্ত করেছে। নারী সাংবাদিকরা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে প্রথমে নিজেকে সংগঠিত করা জরুরি বলে মনে করেন তিনি। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে গণমাধ্যমে চাকরি থেকে বাদ দেয়া কিংবা বেতন কমিয়ে দেয়া ব্যাপারগুলো নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি। মিডিয়া আউটলেট মালিকদের অনুরোধ করেছেন বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার জন্য।
বক্তারা বলেন, মুক্ত গণমাধ্যম এবং তথ্যর সত্যতা সাংবাদিকতার জন্য মূল বিষয়। সরকারের উচিত সাংবাদিকদের অধিকার এবং মৌলিক সুযোগসুবিধা সরবরাহ করা যাতে তারা চাপ ও বাধা ছাড়াই তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারে।