alt

মিডিয়া

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের গ্রেফতারে সম্পাদক পরিষদের তীব্র নিন্দা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০

কোভিড-১৯ মোকাবিলায় অব্যবস্থাপনার সমালোচনা করায় সম্প্রতি সম্পাদকসহ সাংবাদিক, লেখক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ও গ্রেফতারের ঘটনায় সম্পাদক পরিষদ তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। একই সঙ্গে এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অবাধ ও স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ বিনষ্ট ও গণমাধ্যমের কর্মীদের ওপর পুলিশের ক্রমবর্ধমান পদক্ষেপে উদ্বেগ প্রকাশ করছে সম্পাদক পরিষদ।

৩০ জুন মঙ্গলবার সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম এবং সাধারণ সম্পাদক নাঈম নিজাম এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, বিগত কয়েক মাসে প্রায় ৪০ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৩৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসব গ্রেফতারের ঘটনা এমন এক ভীতির পরিবেশ তৈরি করেছে, যেখানে স্বাভাবিক সাংবাদিকতার কাজ ও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তারা বলেন, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের ওপর এই আক্রমণ তখনই হচ্ছে, যখন কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলায় লড়াই চলছে। অথচ এ সময় বাংলাদেশে মিথ্যা সংবাদ ও ভীতি ছড়ানো ভুয়া তথ্য মোকাবিলায় নির্ভরযোগ্য ও স্বাধীন গণমাধ্যম সবচেয়ে বেশি জরুরি। বাংলাদেশের গণমাধ্যম জনগণকে তথ্য জানানোর পাশাপাশি সাফল্য ও প্রত্যাশার সংবাদ পরিবেশন করছে, মহামারি মোকাবিলায় অপ্রতুল পদক্ষেপের কথা তুলে ধরছে, এবং পুনর্গঠনের পথ খুঁজে পেতে আলোচনার সুযোগ করে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এই সময় গণমাধ্যমের ওপর আঘাত আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনাকেই বিপন্ন করবে।

সম্পাদক পরিষদ নেতারা বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে আরও লক্ষ্য করছি যে, অন্য আইনের তুলনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এখন অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি ব্যবহার হচ্ছে। এর কারণ হলো এই আইনের আওতায় পুলিশ পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেফতার করতে পারে এবং এই আইনের বেশির ভাগ ধারাই (২০টির মধ্যে ১৪টি) অজামিন যোগ্য। ফলে এই আইনে গ্রেফতার হওয়ার পর একজন ব্যক্তিকে কারাগারেই রয়ে যেতে হয়।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া বেশির ভাগ মামলায় করা অভিযোগগুলোর মধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের সমালোচনা, গুজবরটানো, বিক্ষোভে সমর্থন, মানহানিকর মন্তব্য, ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা, ভুয়া সংবাদ পরিবেশন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এসব কারণের সবগুলোরই সংজ্ঞা অস্পষ্ট বলে বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেন।

নেতারা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পুলিশকে কোন প্রকার পরোয়ানা ছাড়াই স্রেফ সন্দেহের বশবর্তী হয়ে গ্রেফতারের ক্ষমতা দিয়েছে। এর ২০টি ধারার ১৪ টিই অজামিনযোগ্য এবং যখনই মামলা হয়, পুলিশ দ্রুত গ্রেফতার করে। আসামিকে বিচারকের সামনে হাজির করার পরই স্বাভাবিকভাবেই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সম্পাদক পরিষদ মনে করে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একটা গোষ্ঠীর হাতিয়ার হয়ে উঠেছে, যারা গণমাধ্যমবিরোধী ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিরোধী এই আইনের যথেচ্ছ ব্যবহার করছে। এবং তাদের উদ্দেশ্য হলো সাংবাদিকদের হয়রানি করা ও ভয়ভীতি দেখানো এবং দুর্নীতি ও জনগণের জন্য, বিশেষ করে দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ সরকারি তহবিলের অপব্যবহারের খবর প্রকাশে বাধা দেয়া।

শুরু থেকেই সম্পাদক পরিষদ এই আইনের বিরোধিতা করে আসছে। কারণ আমরা জানি, এই আইন মুক্ত গণমাধ্যম ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী। সে সময় আইনমন্ত্রী গণমাধ্যমকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন শুধু সাইবার অপরাধ দমনে প্রণয়ন করা হয়েছে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করতে এই আইন কখনও ব্যবহার হবে না। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাইবার অপরাধীদের চেয়ে সাংবাদিক, শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবিরাই বেশি গ্রেফতার হয়েছেন, বিশেষ করে বিগত ছয় মাসে এ সংখ্যা আরও বেড়েছে।

বিগত আড়াই বছরের অভিজ্ঞতায় আমাদের কাছে আরও স্পষ্ট হয়েছে যে মুক্তমত ও মুক্ত গণমাধ্যমের স্বার্থে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অবশ্যই বাতিল করতে হবে।

আমরা গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ওপর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার এই মুহূর্তে বন্ধের দাবি জানাচ্ছি এবং আমরা জাতীয় সংসদের প্রতি এই স্বাধীনতা পরিপন্থী আইন অপসারণে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।

আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার সব সাংবাদিকের অবিলম্বে মুক্তি ও তাদের বিরুদ্ধে দায়ের মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে ও ব্যক্তি স্বার্থে যারা এই আইনের চরম অপব্যবহার করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

ছবি

সপ্তম বর্ষে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব

ছবি

গাজীপুর প্রেসক্লাবে দোয়া মাহফিল ও ইফতার অনুষ্ঠিত

ছবি

টাঙ্গাইল জেলা সাংবাদিক ফোরামের ইফতার-দোয়া মাহফিল

দেশকে এগিয়ে নিতে সাংবাদিকরা বড় ভূমিকা পালন করেন : তোফায়েল আহমেদ

ছবি

“এপেক্স ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিস্ট কাউন্সিল”এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের কমিটি গঠিত

ছবি

সাংবাদিক সাব্বিরের ওপর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার দাবি

ছবি

ডিইউজে নির্বাচন, সভাপতি পদে সমান ভোট সোহেল-তপুর, সাধারণ সম্পাদক আকতার

সাংবাদিক শফিউজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোয় সম্পাদক পরিষদের নিন্দা

ছবি

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ফোরামের নেতৃত্বে সাব্বির-ইকা

ছবি

১০৬ বারের মতো পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন

ছবি

মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক কমান্ডের নির্বাচন

ছবি

নোয়াবের নতুন কমিটি, আবারও সভাপতি এ.কে.আজাদ

‘সরকারকে জবাবদিহির আওতায় আনতে ৭০ অনুচ্ছেদ বাধা হবে না’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের এক যুগপূর্তি

মানিক সাহাসহ সাংবাদিক হত্যাকা-ে জড়িতদের চিহ্নিত করতে গণতদন্ত কমিশন গঠনের দাবি

ছবি

উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে ক্র্যাবের ভোটগ্রহণ

ছবি

চারণসাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিনের মৃত্যুবার্ষিকী কাল

ছবি

নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের নেতৃত্বে মতিন-ফয়সাল

ছবি

অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে নোয়াবের মতবিনিময় সভা

ছবি

শিশুবিষয়ক খবরে গণমাধ্যমকে বেশী গুরুত্ব দেয়ার আহবান

ছবি

নরসিংদী প্রেস ক্লাবের নব নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের শপথ গ্রহণ

ছবি

আহমদুল কবির কখনো প্রাসঙ্গিকতা হারাবেন না

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের প্রয়াত সাংবাদিকদের স্মরণে সভা

ছবি

গুজব রোধে গণমাধ্যমকর্মীদের কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ছবি

সাংবাদিকরা ভুল করলে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা হবে - প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান

ছবি

ক্ষমা না চাইলে বিএনপির সংবাদ পরিহারের ডাক ডিইউজের

মাহেলা বেগম

ছবি

বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

ছবি

সাগর-রুনি হত্যা : ১০২ বার পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে

ছবি

ভিসা নীতিঃ সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ ও মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ব্যাখ্যা

বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঢাবি সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

ছবি

কপিরাইট বিল পাস

ছবি

ওয়ার্ল্ড ভিশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন সংবাদ প্রতিবেদকসহ ৬ সাংবাদিক

ছবি

ওয়ার্ল্ড ভিশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন সংবাদ প্রতিবেদকসহ ৬ সাংবাদিক

ছবি

র‍্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার পেলেন করভি রাখসান্দ

tab

মিডিয়া

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের গ্রেফতারে সম্পাদক পরিষদের তীব্র নিন্দা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০

কোভিড-১৯ মোকাবিলায় অব্যবস্থাপনার সমালোচনা করায় সম্প্রতি সম্পাদকসহ সাংবাদিক, লেখক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ও গ্রেফতারের ঘটনায় সম্পাদক পরিষদ তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। একই সঙ্গে এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অবাধ ও স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ বিনষ্ট ও গণমাধ্যমের কর্মীদের ওপর পুলিশের ক্রমবর্ধমান পদক্ষেপে উদ্বেগ প্রকাশ করছে সম্পাদক পরিষদ।

৩০ জুন মঙ্গলবার সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম এবং সাধারণ সম্পাদক নাঈম নিজাম এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, বিগত কয়েক মাসে প্রায় ৪০ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৩৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসব গ্রেফতারের ঘটনা এমন এক ভীতির পরিবেশ তৈরি করেছে, যেখানে স্বাভাবিক সাংবাদিকতার কাজ ও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তারা বলেন, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের ওপর এই আক্রমণ তখনই হচ্ছে, যখন কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলায় লড়াই চলছে। অথচ এ সময় বাংলাদেশে মিথ্যা সংবাদ ও ভীতি ছড়ানো ভুয়া তথ্য মোকাবিলায় নির্ভরযোগ্য ও স্বাধীন গণমাধ্যম সবচেয়ে বেশি জরুরি। বাংলাদেশের গণমাধ্যম জনগণকে তথ্য জানানোর পাশাপাশি সাফল্য ও প্রত্যাশার সংবাদ পরিবেশন করছে, মহামারি মোকাবিলায় অপ্রতুল পদক্ষেপের কথা তুলে ধরছে, এবং পুনর্গঠনের পথ খুঁজে পেতে আলোচনার সুযোগ করে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এই সময় গণমাধ্যমের ওপর আঘাত আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনাকেই বিপন্ন করবে।

সম্পাদক পরিষদ নেতারা বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে আরও লক্ষ্য করছি যে, অন্য আইনের তুলনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এখন অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি ব্যবহার হচ্ছে। এর কারণ হলো এই আইনের আওতায় পুলিশ পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেফতার করতে পারে এবং এই আইনের বেশির ভাগ ধারাই (২০টির মধ্যে ১৪টি) অজামিন যোগ্য। ফলে এই আইনে গ্রেফতার হওয়ার পর একজন ব্যক্তিকে কারাগারেই রয়ে যেতে হয়।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া বেশির ভাগ মামলায় করা অভিযোগগুলোর মধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের সমালোচনা, গুজবরটানো, বিক্ষোভে সমর্থন, মানহানিকর মন্তব্য, ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা, ভুয়া সংবাদ পরিবেশন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এসব কারণের সবগুলোরই সংজ্ঞা অস্পষ্ট বলে বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেন।

নেতারা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পুলিশকে কোন প্রকার পরোয়ানা ছাড়াই স্রেফ সন্দেহের বশবর্তী হয়ে গ্রেফতারের ক্ষমতা দিয়েছে। এর ২০টি ধারার ১৪ টিই অজামিনযোগ্য এবং যখনই মামলা হয়, পুলিশ দ্রুত গ্রেফতার করে। আসামিকে বিচারকের সামনে হাজির করার পরই স্বাভাবিকভাবেই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সম্পাদক পরিষদ মনে করে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একটা গোষ্ঠীর হাতিয়ার হয়ে উঠেছে, যারা গণমাধ্যমবিরোধী ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিরোধী এই আইনের যথেচ্ছ ব্যবহার করছে। এবং তাদের উদ্দেশ্য হলো সাংবাদিকদের হয়রানি করা ও ভয়ভীতি দেখানো এবং দুর্নীতি ও জনগণের জন্য, বিশেষ করে দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ সরকারি তহবিলের অপব্যবহারের খবর প্রকাশে বাধা দেয়া।

শুরু থেকেই সম্পাদক পরিষদ এই আইনের বিরোধিতা করে আসছে। কারণ আমরা জানি, এই আইন মুক্ত গণমাধ্যম ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী। সে সময় আইনমন্ত্রী গণমাধ্যমকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন শুধু সাইবার অপরাধ দমনে প্রণয়ন করা হয়েছে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করতে এই আইন কখনও ব্যবহার হবে না। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাইবার অপরাধীদের চেয়ে সাংবাদিক, শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবিরাই বেশি গ্রেফতার হয়েছেন, বিশেষ করে বিগত ছয় মাসে এ সংখ্যা আরও বেড়েছে।

বিগত আড়াই বছরের অভিজ্ঞতায় আমাদের কাছে আরও স্পষ্ট হয়েছে যে মুক্তমত ও মুক্ত গণমাধ্যমের স্বার্থে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অবশ্যই বাতিল করতে হবে।

আমরা গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ওপর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার এই মুহূর্তে বন্ধের দাবি জানাচ্ছি এবং আমরা জাতীয় সংসদের প্রতি এই স্বাধীনতা পরিপন্থী আইন অপসারণে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।

আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার সব সাংবাদিকের অবিলম্বে মুক্তি ও তাদের বিরুদ্ধে দায়ের মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে ও ব্যক্তি স্বার্থে যারা এই আইনের চরম অপব্যবহার করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

back to top