alt

জাতীয়

কপ২৯ : জলবায়ু অর্থায়ন ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর প্রত্যাশা

- ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার -ডিন, বিজ্ঞান অনুষদ, অধ্যাপক, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ,স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ

: শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

পৃথিবীর জলবায়ু যখন ক্রমশ পরিবর্তিত হয়ে জরাজীর্ণ অবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছে ঠিক সেই ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে বিশ্বের সমগ্র দেশ একত্রিত হয়ে নিজেদের সমস্যা তুলে ধরে সর্বসম্মতিক্রমে সমাধান নির্ণয়ের উপযুক্ত স্থান হল জাতিসংঘের বার্ষিক জলবায়ু সম্মেলন অর্থাৎ কনফারেন্স অফ দ্য পার্টিস (কপ)। প্রতিবারের মতো এবারও ১২ দিনব্যাপী এই সম্মেলনের ২৯তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে। এবারের ২৯তম জলবায়ু সম্মেলনটি যথেষ্ট আশান্বিত একটি সম্মেলন। পূর্ববর্তী সম্মেলনগুলোতে বিশ্ব নেতারা পৃথিবীর তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সে. এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু গবেষণা প্রতিবেদন থেকে দেখা যাচ্ছে যে, বর্তমানে নির্ধারিত নীতিগুলি তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে ২.৭ সেন্টিগ্রেডের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ক্লাইমেট অ্যাকশন ট্র্যাকার প্রজেক্ট অনুসারে এই শতাব্দীর শেষের দিকে গ্লোবাল হিটিং এর প্রত্যাশিত মাত্রা ২০২১ সাল থেকে কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা গত বছরের ১.৮ ডিগ্রি সে. থেকে এই বছর ১.৯ ডিগ্রি সে. এ উন্নীত হয়েছে। গড় বৈশ্বিক তাপমাত্রার পরিবর্তনকে সামান্য মনে হলেও তা মানুষের ব্যাপক দুর্ভোগের কারণ হতে পারে। শতাব্দীর শেষের দিকে যে উচ্চ তাপমাত্রার কথা বলা হয়েছে, তাতে অপরিবর্তনীয় এবং বিপর্যয়কর ঝুঁকিও বাড়তে চলেছে। তবে কপ২৯ থেকে বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো আশানুরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ দৃশ্যমান হয়নি।

গ্লাসগো সম্মেলন থেকে অর্থাৎ ২৬তম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন থেকে ফাইন্যান্স বা লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ডের বিষয়টি ফলপ্রসূ জায়গার দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে সালমান শেখ এবং দুবাই কপে সেটি কার্যকর করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার কথা ছিল। সেটি অতিক্রম করে যখন আমরা ২৯তম জলবায়ু সম্মেলনে চলে এসেছি সবারই একটি সাধারণ ধারণা আছে যে এবার ক্লাইমেট ফাইনেন্সের বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে এবং সেকারণে এই কপটিকে ক্লাইমেট ফাইনান্স কপ বা অর্থায়ন ছাড়ের কপ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। বাংলাদেশের মতো উপকূলীয় রাষ্ট্রগুলো বা দ্বীপ রাষ্ট্রগুলো কিংবা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্রগুলো তাদের যে সব ফোরাম রয়েছে অর্থাৎ জি২০ বা ভি৬০ বা ক্লাইমেট ভার্নারেবল ফোরাম রয়েছে সেখান থেকে একযোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতির বা ক্ষয়ক্ষতির যে ক্ষতিপূরণ সেটি চাওয়া হচ্ছে এবং এক্ষেত্রে খুব সুস্পষ্টভাবে চারটি বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। প্রথমত, ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর যে তহবিলটি সেটি প্যারিস চুক্তির পর থেকে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার থেকে পরিবর্তিত হয়ে এখন এটি ট্রিলিওন ডলারের টার্গেটের দিকে যাচ্ছে এবং এনডিসি রুপে যে বাড়তি ফান্ডের কথা বলা হচ্ছে বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলো এখন পর্যন্ত তাদের কোনো সহমত বা সম্মতি পরিলক্ষিত হচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, লস এন্ড ড্যামেজ ফান্ডের যে গুণগত মান যেমন, এডাপটেশন এবং মিটিগেশন ফান্ডকে সমান গুরুত্ব দেয়া এবং এই ফান্ডটি যেন নতুন এবং অতিরিক্ত ফান্ড হিসেবে পরিগণিত হয় অর্থাৎ পূর্বে যে ফান্ডিং করে ফেলা হয়েছে সেটাকে যেন ক্লাইমেট ফান্ড হিসেবে চালিয়ে দেয়া না হয় সেটি গুরুত্বপূর্ণ। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই ফান্ডগুলো যাতে ঋণ না হয়, বরং অনুদান হয়। সর্বশেষ বিষয়টি যে জায়গাটাতে আমরা অনেক পিছিয়ে রয়েছি সেটি হল যে ফান্ডের কথা আমরা বলছি কিন্তু সেটি এখন পর্যন্ত সুস্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়নি। ১৩ নভেম্বর বুধবার ৩৩ পৃষ্ঠার নতুন একটি জলবায়ু অর্থায়নের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। তবে খসড়া তৈরির এই প্রক্রিয়া যথেষ্ট দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে না, কারণ উন্নত দেশগুলো ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থের প্রত্যক্ষ সহায়তা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত। তাই, একদিকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দূষণকারী দেশগুলোর প্রতিনিধি নেতাদের অনুপস্থিতি, অন্যদিকে কপ২৯ এ অংশগ্রহণকারী প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলোর সম্মেলন প্রত্যাহার এই সম্মেলনের সফলতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

আর্জেন্টিনা প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেই তার রাষ্ট্রের আলোচকদেরকে জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন কপ২৯ থেকে প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছেন। জাভিয়ের মিলেই পূর্বে তার এক বক্তৃতায় জলবায়ু সংকটকে একটি সমাজতান্ত্রিক মিথ্যা হিসেবে অভিহিত করেছিলেন এবং জলবায়ু অর্থ সংক্রান্ত আলোচনায় প্রাথমিকভাবে জড়িত থাকা সত্ত্বেও আর্জেন্টিনার প্রতিনিধি দলকে বাকু ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা এবং সংস্থাগুলি সতর্ক করেছে যে বন এবং হিমবাহের জন্য শিথিল সুরক্ষা, জলবায়ু অর্থায়ন এবং অভিযোজন সম্পর্কে মাইলির অবস্থান আর্জেন্টিনার আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষতি করতে পারে এবং ইইউ-মার্কোসার চুক্তিসহ গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য চুক্তিগুলোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

আজারবাইজানের রাষ্ট্রপতি, ইলহাম আলিয়েভ, নিউ ক্যালাউনয়ায় ঔপনিবেশিক অপরাধের জন্য ফ্রান্সের নিন্দা করেছেন। ফলস্বরূপ, ফ্রান্সের পরিবেশ মন্ত্রী, অ্যাগনেস প্যানিয়ার-রানাচার ঘোষণা করেছেন যে, তিনি কপ২৯-এর আলোচনায় অংশ নিতে বাকু সফর বাতিল করছেন। আলিয়েভের মন্তব্য জাতিসংঘের জলবায়ু আলোচনা পরিচালনার জন্য আচরণবিধির স্পষ্ট লঙ্ঘন ছিল বলে তিনি তার অভিমত ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ভোগবিলাসিতা ও সীমাহীন খরচ কমিয়ে বর্জ্য, জীবাশ্ম জ্বালানি বা ব্যক্তিগত লাভ ত্যাগ করে একটি নতুন সংস্কৃতির আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের সভ্যতা একটি বড় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে কারণ আমরা আত্ম-ধ্বংসাত্মক মূল্যবোধের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি।’ প্রধান উপদেষ্টা দরিদ্র দেশগুলির অপমানজনক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি মনে করি এটা জাতিগুলোর জন্য খুবই অপমানজনক, তাদেরকে এসে টাকা চাইতে হচ্ছে সেই সমস্যাগুলো সমাধান করতে, যা অন্যরা তাদের জন্য সৃষ্টি করেছে। কেন আমাদের এখানে টেনে এনে দর-কষাকষি করানো হচ্ছে? আপনারা তো সমস্যাটি জানেন। এটিতো কোনো মাছের বাজার নয়।’

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস এর বক্তব্যকে সমর্থন করেন এবং উল্লেখ করেন যে, তাদের ঋণের চেয়ে অনুদান বেশি প্রয়োজন যাতে তারা আরও ঋণে জর্জরিত হওয়া থেকে রক্ষা পেতে পারে। ইরানের ভাইস-প্রেসিডেন্ট শিনা আনসারি হামেদানি বলেন যে তার দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাগুলি একটি গ্রিন ইকোনমি গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ পেতে বাধা দিচ্ছে। তিনি নিষেধাজ্ঞাগুলিকে অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেছেন এবং দখলকারী ইহুদিবাদী শাসক দ্বারা গাজায় যুদ্ধের নিন্দা করেছেন।

১৪ই নভেম্বর কপ২৯-এ, কপ১৫ তে প্রতিষ্ঠিত প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু আর্থিক প্রতিশ্রুতি প্রতিস্থাপনের জন্য নিউ কালেক্টিভ কোয়ান্টিফায়েড গোল (এনসিকিউজি) স্থাপনের লক্ষ্যে বাকুতে অর্থ, বিনিয়োগ এবং বাণিজ্য সম্পর্কিত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। দেশগুলি আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করছে যেটি কপ২৮ থেকে বিশ্বব্যাপী স্টকটেক (জিএসটি) সুপারিশগুলিকে চিহ্নিত করবে এবং প্রশমন, অভিযোজন এবং লস এন্ড ড্যামেজ তহবিলের জন্য স্পষ্ট উপলক্ষ্য প্রদান করবে, যাতে উন্নয়নশীল দেশগুলি পর্যাপ্ত এবং নির্ভরযোগ্য সহায়তা পায়। তদুপরি, বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) আয়োজিত সেশনগুলোতে কীভাবে আর্থিক নীতিগুলি জীবাশ্ম জ্বালানী ভর্তুকিকে ত্বরান্বিত করতে পারে, যা ক্রমান্বয়ে হ্রাসের লক্ষ্যে থাকা সত্ত্বেও, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বেড়ে গিয়ে বিশ্বব্যাপী ১.৭ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে সেই বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। এই আলোচনার লক্ষ্য হচ্ছে অদক্ষ ভর্তুকিকে পুনরায় সংজ্ঞায়িত করা এবং এই ভর্তুকিগুলিকে ক্লিন এনার্জি টেকনোলজিতে স্থানান্তরকে ক্ষুণœ করা থেকে রোধ করার জন্য পরিষ্কার ফেজ-আউট টাইমলাইন সেট করা। জলবায়ু অর্থায়ন কপ২৭-এ প্রবর্তিত জাস্ট ট্রানজিশন ওয়ার্ক প্রোগ্রামের সঙ্গেও সম্পর্কযুক্ত, কারণ এটি জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল সম্প্রদায়গুলোকে নবায়নযোগ্য শক্তিতে স্থানান্তরের ওপর জোর দেয়।

জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। আমাদের মত ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর কথা বিবেচনা করে উন্নত দেশগুলোর উচিত তাপমাত্রা বৃদ্ধির পেছনে দায়ী জীবাশ্ম জালানীকে ফেইজ আউট করে নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা এবং আমাদেরকে লস এন্ড ড্যামেজ তহবিলের অর্থ সঠিকভাবে বুঝিয়ে দেয়া। কিন্তু উন্নত দেশগুলো ধীরে ধীরে প্যারিস চুক্তি থেকে সরে যাচ্ছে যা কপ২৯ সম্মেলনে স্পষ্টত দৃশ্যমান। জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের এই মহামিলন মেলায় আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার অনুপ্রাণিতমূলক বক্তব্যের সঙ্গে সবাই একাত্বতা ঘোষণা করবেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধে এবং জলবায়ু বিপর্যয় মোকাবিলায় সমন্বিতভাবে কাজ করবেন বলে আশা করছি।

অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার, ডিন, বিজ্ঞান অনুষদ, অধ্যাপক, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, যুগ্ম সম্পাদক, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এবং চেয়ারম্যান, বায়ুম-লীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)।

ভারতে বসে হাসিনার বক্তব্য-বিবৃতিতে অসন্তুষ্ট ঢাকা

ছবি

বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী আজারবাইজান, স্থাপন করতে চায় দূতাবাস

ছবি

আরিচাঘাটে ড্রেজার পাইপে রহস্যজনক আগুন, কোটি টাকার ক্ষতি

ছবি

হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর একটা দিনও একজন সমন্বয়ককে দেখি নাই: আন্দোলনে আহত সাইফুল

ছবি

‘কুইক রেন্টাল’ এর বিশেষ দায়মুক্তির দুটি ধারা অবৈধ ও বেআইনি : হাইকোর্ট

ছবি

শিবালয়ে বিআইডব্লিউটিএ,র ড্রেজারের ভাসমান পাইপে রহশ্যজনক আগুন, ৫ কোটি টাকা ক্ষতি

ছবি

উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে হেনস্তার ঘটনায় জেনেভা দূতাবাসের কাউন্সেলর কামরুল ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’

ছবি

আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহর মৃত্যু

ছবি

সংস্কারের গতিই ঠিক করে দেবে, নির্বাচন কত দ্রুত হবে: এএফপিকে প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

ছবি

কার্বন নিঃসরণ কমাতে নতুন জোট ‘জি জিরো’ গঠন

ছবি

কুইক রেন্টাল : দায়মুক্তির বিধান অবৈধ ঘোষণা করল উচ্চ আদালত

ছবি

সংবিধান থেকে ‘জাতির পিতা’ ও ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দেওয়ার প্রস্তাব অ্যাটর্নি জেনারেলের

ছবি

নভেম্বরে ‘১০ দিনে ১৩শ’ আইন কর্মকর্তা নিয়োগ

ছবি

নতুন উপদেষ্টাদের বিষয়ে জনগণের মনোভাব খতিয়ে দেখার আশ্বাস মাহফুজ আলমের

ছবি

বাংলাদেশের সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান

নেপালের জলবিদ্যুতের জন্য ‘দক্ষিণ এশীয় গ্রিড’ চান ইউনূস

ছবি

কপ২৯ এর তৃতীয় দিনেও নেই কোনো দৃশ্যমান অর্জন

ছবি

গাজীপুরে দফায় দফায় শ্রমিক বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ

ছবি

সব আহতকে ‘না দেখেই’ ফিরছিলেন, তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, গাড়ি আটকে বিক্ষোভ

ছবি

জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় ‘নতুন সভ্যতার’ ডাক প্রধান উপদেষ্টার

ছবি

৫ বছর ধরে ছয় রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকল বন্ধ, ৯টি চলছে জোড়াতালি দিয়ে

ছবি

জুলাই গণহত্যার ১০০তম দিনে শহীদি স্মৃতিকথাঃ কান্দে আমার মায়

বিপ্লবের ১০০ তম দিন উপলক্ষ্যে শহীদ ও আহতদের নিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর কর্মসূচি

ছবি

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই হবে বইমেলা: সংস্কৃতি উপদেষ্টা

ছবি

শিল্পকলার সামনে পথনাটক করে প্রতিবাদ ও নিরাপত্তা চাইবে নাট্যকর্মীরা

ছবি

নেপাল ও ভুটানের উৎপাদিত জলবিদ্যুতের জন্য ‘দক্ষিণ এশীয় গ্রিড’ চান ইউনূস

ছবি

সেনাবাহিনী কত দিন মাঠে থাকবে সে সিদ্ধান্ত সরকারের

ছবি

টেকসই পৃথিবীর জন্য ভিন্নধারার সভ্যতা গড়ে তুলতে হবে : ড. ইউনূস

ছবি

স্বাস্থ্য উপদেষ্টার গাড়ির ওপর উঠে গেল আহতরা

ঢালাও ভাবে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন বাতিল সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার অন্তরায় : সম্পাদক পরিষদ

ছবি

জিয়াউল আহসানকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিল ট্রাইব্যুনাল

কপ২৯ : দীর্ঘ সময় পেরিয়ে কার্বন ক্রেডিট বাণিজ্য অনুমোদিত

ছবি

মহাসড়কে অবরোধ প্রত্যাহার, গাজীপুরে ১৪ কারখানা বন্ধ

ছবি

ট্রাইব্যুনালে ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ র‌্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমনের

ছবি

জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য পর্যাপ্ত সহায়তা প্রয়োজন : প্রধান উপদেষ্টা

tab

জাতীয়

কপ২৯ : জলবায়ু অর্থায়ন ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর প্রত্যাশা

- ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার -ডিন, বিজ্ঞান অনুষদ, অধ্যাপক, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ,স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ

শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

পৃথিবীর জলবায়ু যখন ক্রমশ পরিবর্তিত হয়ে জরাজীর্ণ অবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছে ঠিক সেই ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে বিশ্বের সমগ্র দেশ একত্রিত হয়ে নিজেদের সমস্যা তুলে ধরে সর্বসম্মতিক্রমে সমাধান নির্ণয়ের উপযুক্ত স্থান হল জাতিসংঘের বার্ষিক জলবায়ু সম্মেলন অর্থাৎ কনফারেন্স অফ দ্য পার্টিস (কপ)। প্রতিবারের মতো এবারও ১২ দিনব্যাপী এই সম্মেলনের ২৯তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে। এবারের ২৯তম জলবায়ু সম্মেলনটি যথেষ্ট আশান্বিত একটি সম্মেলন। পূর্ববর্তী সম্মেলনগুলোতে বিশ্ব নেতারা পৃথিবীর তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সে. এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু গবেষণা প্রতিবেদন থেকে দেখা যাচ্ছে যে, বর্তমানে নির্ধারিত নীতিগুলি তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে ২.৭ সেন্টিগ্রেডের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ক্লাইমেট অ্যাকশন ট্র্যাকার প্রজেক্ট অনুসারে এই শতাব্দীর শেষের দিকে গ্লোবাল হিটিং এর প্রত্যাশিত মাত্রা ২০২১ সাল থেকে কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা গত বছরের ১.৮ ডিগ্রি সে. থেকে এই বছর ১.৯ ডিগ্রি সে. এ উন্নীত হয়েছে। গড় বৈশ্বিক তাপমাত্রার পরিবর্তনকে সামান্য মনে হলেও তা মানুষের ব্যাপক দুর্ভোগের কারণ হতে পারে। শতাব্দীর শেষের দিকে যে উচ্চ তাপমাত্রার কথা বলা হয়েছে, তাতে অপরিবর্তনীয় এবং বিপর্যয়কর ঝুঁকিও বাড়তে চলেছে। তবে কপ২৯ থেকে বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো আশানুরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ দৃশ্যমান হয়নি।

গ্লাসগো সম্মেলন থেকে অর্থাৎ ২৬তম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন থেকে ফাইন্যান্স বা লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ডের বিষয়টি ফলপ্রসূ জায়গার দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে সালমান শেখ এবং দুবাই কপে সেটি কার্যকর করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার কথা ছিল। সেটি অতিক্রম করে যখন আমরা ২৯তম জলবায়ু সম্মেলনে চলে এসেছি সবারই একটি সাধারণ ধারণা আছে যে এবার ক্লাইমেট ফাইনেন্সের বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে এবং সেকারণে এই কপটিকে ক্লাইমেট ফাইনান্স কপ বা অর্থায়ন ছাড়ের কপ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। বাংলাদেশের মতো উপকূলীয় রাষ্ট্রগুলো বা দ্বীপ রাষ্ট্রগুলো কিংবা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্রগুলো তাদের যে সব ফোরাম রয়েছে অর্থাৎ জি২০ বা ভি৬০ বা ক্লাইমেট ভার্নারেবল ফোরাম রয়েছে সেখান থেকে একযোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতির বা ক্ষয়ক্ষতির যে ক্ষতিপূরণ সেটি চাওয়া হচ্ছে এবং এক্ষেত্রে খুব সুস্পষ্টভাবে চারটি বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। প্রথমত, ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর যে তহবিলটি সেটি প্যারিস চুক্তির পর থেকে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার থেকে পরিবর্তিত হয়ে এখন এটি ট্রিলিওন ডলারের টার্গেটের দিকে যাচ্ছে এবং এনডিসি রুপে যে বাড়তি ফান্ডের কথা বলা হচ্ছে বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলো এখন পর্যন্ত তাদের কোনো সহমত বা সম্মতি পরিলক্ষিত হচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, লস এন্ড ড্যামেজ ফান্ডের যে গুণগত মান যেমন, এডাপটেশন এবং মিটিগেশন ফান্ডকে সমান গুরুত্ব দেয়া এবং এই ফান্ডটি যেন নতুন এবং অতিরিক্ত ফান্ড হিসেবে পরিগণিত হয় অর্থাৎ পূর্বে যে ফান্ডিং করে ফেলা হয়েছে সেটাকে যেন ক্লাইমেট ফান্ড হিসেবে চালিয়ে দেয়া না হয় সেটি গুরুত্বপূর্ণ। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই ফান্ডগুলো যাতে ঋণ না হয়, বরং অনুদান হয়। সর্বশেষ বিষয়টি যে জায়গাটাতে আমরা অনেক পিছিয়ে রয়েছি সেটি হল যে ফান্ডের কথা আমরা বলছি কিন্তু সেটি এখন পর্যন্ত সুস্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়নি। ১৩ নভেম্বর বুধবার ৩৩ পৃষ্ঠার নতুন একটি জলবায়ু অর্থায়নের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। তবে খসড়া তৈরির এই প্রক্রিয়া যথেষ্ট দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে না, কারণ উন্নত দেশগুলো ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থের প্রত্যক্ষ সহায়তা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত। তাই, একদিকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দূষণকারী দেশগুলোর প্রতিনিধি নেতাদের অনুপস্থিতি, অন্যদিকে কপ২৯ এ অংশগ্রহণকারী প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলোর সম্মেলন প্রত্যাহার এই সম্মেলনের সফলতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

আর্জেন্টিনা প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেই তার রাষ্ট্রের আলোচকদেরকে জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন কপ২৯ থেকে প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছেন। জাভিয়ের মিলেই পূর্বে তার এক বক্তৃতায় জলবায়ু সংকটকে একটি সমাজতান্ত্রিক মিথ্যা হিসেবে অভিহিত করেছিলেন এবং জলবায়ু অর্থ সংক্রান্ত আলোচনায় প্রাথমিকভাবে জড়িত থাকা সত্ত্বেও আর্জেন্টিনার প্রতিনিধি দলকে বাকু ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা এবং সংস্থাগুলি সতর্ক করেছে যে বন এবং হিমবাহের জন্য শিথিল সুরক্ষা, জলবায়ু অর্থায়ন এবং অভিযোজন সম্পর্কে মাইলির অবস্থান আর্জেন্টিনার আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষতি করতে পারে এবং ইইউ-মার্কোসার চুক্তিসহ গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য চুক্তিগুলোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

আজারবাইজানের রাষ্ট্রপতি, ইলহাম আলিয়েভ, নিউ ক্যালাউনয়ায় ঔপনিবেশিক অপরাধের জন্য ফ্রান্সের নিন্দা করেছেন। ফলস্বরূপ, ফ্রান্সের পরিবেশ মন্ত্রী, অ্যাগনেস প্যানিয়ার-রানাচার ঘোষণা করেছেন যে, তিনি কপ২৯-এর আলোচনায় অংশ নিতে বাকু সফর বাতিল করছেন। আলিয়েভের মন্তব্য জাতিসংঘের জলবায়ু আলোচনা পরিচালনার জন্য আচরণবিধির স্পষ্ট লঙ্ঘন ছিল বলে তিনি তার অভিমত ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ভোগবিলাসিতা ও সীমাহীন খরচ কমিয়ে বর্জ্য, জীবাশ্ম জ্বালানি বা ব্যক্তিগত লাভ ত্যাগ করে একটি নতুন সংস্কৃতির আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের সভ্যতা একটি বড় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে কারণ আমরা আত্ম-ধ্বংসাত্মক মূল্যবোধের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি।’ প্রধান উপদেষ্টা দরিদ্র দেশগুলির অপমানজনক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি মনে করি এটা জাতিগুলোর জন্য খুবই অপমানজনক, তাদেরকে এসে টাকা চাইতে হচ্ছে সেই সমস্যাগুলো সমাধান করতে, যা অন্যরা তাদের জন্য সৃষ্টি করেছে। কেন আমাদের এখানে টেনে এনে দর-কষাকষি করানো হচ্ছে? আপনারা তো সমস্যাটি জানেন। এটিতো কোনো মাছের বাজার নয়।’

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস এর বক্তব্যকে সমর্থন করেন এবং উল্লেখ করেন যে, তাদের ঋণের চেয়ে অনুদান বেশি প্রয়োজন যাতে তারা আরও ঋণে জর্জরিত হওয়া থেকে রক্ষা পেতে পারে। ইরানের ভাইস-প্রেসিডেন্ট শিনা আনসারি হামেদানি বলেন যে তার দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাগুলি একটি গ্রিন ইকোনমি গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ পেতে বাধা দিচ্ছে। তিনি নিষেধাজ্ঞাগুলিকে অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেছেন এবং দখলকারী ইহুদিবাদী শাসক দ্বারা গাজায় যুদ্ধের নিন্দা করেছেন।

১৪ই নভেম্বর কপ২৯-এ, কপ১৫ তে প্রতিষ্ঠিত প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু আর্থিক প্রতিশ্রুতি প্রতিস্থাপনের জন্য নিউ কালেক্টিভ কোয়ান্টিফায়েড গোল (এনসিকিউজি) স্থাপনের লক্ষ্যে বাকুতে অর্থ, বিনিয়োগ এবং বাণিজ্য সম্পর্কিত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। দেশগুলি আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করছে যেটি কপ২৮ থেকে বিশ্বব্যাপী স্টকটেক (জিএসটি) সুপারিশগুলিকে চিহ্নিত করবে এবং প্রশমন, অভিযোজন এবং লস এন্ড ড্যামেজ তহবিলের জন্য স্পষ্ট উপলক্ষ্য প্রদান করবে, যাতে উন্নয়নশীল দেশগুলি পর্যাপ্ত এবং নির্ভরযোগ্য সহায়তা পায়। তদুপরি, বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) আয়োজিত সেশনগুলোতে কীভাবে আর্থিক নীতিগুলি জীবাশ্ম জ্বালানী ভর্তুকিকে ত্বরান্বিত করতে পারে, যা ক্রমান্বয়ে হ্রাসের লক্ষ্যে থাকা সত্ত্বেও, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বেড়ে গিয়ে বিশ্বব্যাপী ১.৭ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে সেই বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। এই আলোচনার লক্ষ্য হচ্ছে অদক্ষ ভর্তুকিকে পুনরায় সংজ্ঞায়িত করা এবং এই ভর্তুকিগুলিকে ক্লিন এনার্জি টেকনোলজিতে স্থানান্তরকে ক্ষুণœ করা থেকে রোধ করার জন্য পরিষ্কার ফেজ-আউট টাইমলাইন সেট করা। জলবায়ু অর্থায়ন কপ২৭-এ প্রবর্তিত জাস্ট ট্রানজিশন ওয়ার্ক প্রোগ্রামের সঙ্গেও সম্পর্কযুক্ত, কারণ এটি জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল সম্প্রদায়গুলোকে নবায়নযোগ্য শক্তিতে স্থানান্তরের ওপর জোর দেয়।

জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। আমাদের মত ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর কথা বিবেচনা করে উন্নত দেশগুলোর উচিত তাপমাত্রা বৃদ্ধির পেছনে দায়ী জীবাশ্ম জালানীকে ফেইজ আউট করে নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা এবং আমাদেরকে লস এন্ড ড্যামেজ তহবিলের অর্থ সঠিকভাবে বুঝিয়ে দেয়া। কিন্তু উন্নত দেশগুলো ধীরে ধীরে প্যারিস চুক্তি থেকে সরে যাচ্ছে যা কপ২৯ সম্মেলনে স্পষ্টত দৃশ্যমান। জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের এই মহামিলন মেলায় আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার অনুপ্রাণিতমূলক বক্তব্যের সঙ্গে সবাই একাত্বতা ঘোষণা করবেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধে এবং জলবায়ু বিপর্যয় মোকাবিলায় সমন্বিতভাবে কাজ করবেন বলে আশা করছি।

অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার, ডিন, বিজ্ঞান অনুষদ, অধ্যাপক, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, যুগ্ম সম্পাদক, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এবং চেয়ারম্যান, বায়ুম-লীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)।

back to top