পুলিশ ও কারখানার স্টাফদের ওপর হামলা
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকে এম এম নীটওয়্যার লিমিটেডের শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করেছে। এ সময় শিল্প পুলিশ ও ওই কারখানার স্টাফদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সিকিউরিটি মো. আজিজুর রহমান (৪৫) ও পুলিশ সদস্য নাহিদ (২৮) হোসেনসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। নাহিদ হোসেন গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এ কনস্টেবল পদে কর্মরত আছেন।
বুধবার সকাল ৯টার সময় কারখানাটির ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন এম এম নীটওয়্যার লিমিটেডের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন।
এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানার মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে চাবি নিয়ে যান। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, বিজিবি, শিল্প পুলিশ ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ সদস্যরা শ্রমিক মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। দুপুর পৌনে তিনটায় এম এম নীটওয়্যার লি. কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন আরও জানান, শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে বাসায় চলে গেছে। আজ থেকে কাজে যোগ না দিলে কারখানা বন্ধ করে দেয়া ছাড়া আর কিছু করার থাকবে না। শিল্প পুলিশ ও কারখানার শ্রমিকরা জানায়, শ্রমিক আন্দোলনের সময় কারখানায় হামলা ভাঙচুর ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে শ্রম আইন অনুযায়ী এম এম নীটওয়্যার লিমিটেডসহ কয়েকটি কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়। এর মধ্যে এম এম নীটওয়্যার ও মামুন নীটওয়্যার লিমিটেডের ১১৩ জন শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়।
ছাঁটাইকৃত শ্রমিকরা তাদের সব পাওনাদি বুঝে নিলেও ফের চাকরি ফিরে পাওয়ার জন্য কারখানা ফটকে জড়ো হন তারা। তাদের কাজে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য গত দুইদিন ধরে ওই কারখানার সব শ্রমিকরা কর্মবিরতি শুরু করে। পরে কারখানার ভেতরেই অবস্থান করে বিক্ষোভ করতে থাকে তারা।
এম এম নীটওয়্যার লিমিটেডের সাদ্দাম নামে এক শ্রমিক বলেন, নতুন করে আরও শ্রমিক ছাঁটাই করছে শুনেছি। যার কারণে শ্রমিকরা আরও ক্ষিপ্ত হয়েছে। আমি বের হয়ে চলে এসেছি। ভেতরের অবস্থা বলতে পারব না।
এম এম নিটওয়্যার লি.-এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, শ্রমিকরা আজও কর্মবিরতি পালন করছে। তাদের দাবি ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের পুনর্বহাল করতে হবে। কিন্তু ছাটাইকৃত শ্রমিকরা তাদের পাওনাদি হাসিমুখে বুঝে নিয়ে যাচ্ছেন। তাদের কোনো অভিযোগ নেই। বর্তমানে যে অবস্থা সময় মতো শিপমেন্ট দিতে না পারলে অর্ডার বাতিল হয়ে যাবে। বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে কর্তৃপক্ষ।
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ মো. ফজল আলী জানান, নাহিদ হোসেন নামে এক পুলিশ সদস্য আহত অবস্থায় মেডিকেল এসেছেন। তার মাথায় আঘাত লেগেছে দুইটি সেলাই দেয়া হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম সংবাদ’কে বলেন, এম এম লীটওয়্যার লি. কারখানার শ্রমিকরা ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবিতে দুই দিন ধরে কর্মবিরতি পালন করছেন। বর্তমানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলছেন। পুলিশ সদস্য ও কারখানার স্টাফ আহতদের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, খোঁজ নিয়ে পরে জানাচ্ছি।
অন্যদিকে বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। সকাল আটটা থেকে গাজীপুর মহানগরের গাজীপুরা এলাকায় ‘তারা টেক্স’ নামে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা তাদের বকেয়া বেতনের দাবিতে এই অবরোধ সৃষ্টি করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরীর গাজীপুরা এলাকায় তারা টেক্স নামক পোশাক কারখানার শ্রমিকরা গত অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার সামনে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে তারা মিছিল সহকারে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এসে অবরোধ সৃষ্টি করেন। এতে ওই মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল এক ঘণ্টা বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন সংবাদ’কে বলেন, অক্টোবর মাসের বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে শ্রমিকদের সঙ্গে মালিক পক্ষের আলোচনার পর আজ অক্টোবর মাসের বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা মহাসড়ক থেকে সরে গেলে এক ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিং মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
অন্যদিকে নগরীর কাশিমপুর এলাকায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল কারখানার শ্রমিকরা গত মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে গত বুধবার সকালে চক্রবর্তী এলাকায় আশুলিয়া-টাঙ্গাইল সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দুপুর সাড়ে ১২টায় শ্রমিকেরা প্রথমে কারখানার গেইটে বিক্ষোভ করলেও পরে তারা চক্রবর্তী এলাকায় এসে সড়ক অবরোধ করে। এ সময় ওই সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ছয়টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শ্রমিকরা সড়কে অবস্থান করছে। প্রায় ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২ এর পরিদর্শক রাজিব হোসেন সংবাদ’কে বলেন, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল কারখানার শ্রমিকরা গত মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে গত বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চক্রবর্তী এলাকায় আশুলিয়া-টাঙ্গাইল সড়ক অবরোধ করে রাখে। মালিক পক্ষ বলছে, আগামী ২০ তারিখে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করবেন। শ্রমিকরা তা মানছে না।
অন্যদিকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকায় লিথি গ্রুপ এবং এলিগ্যান্স এই দুটি কারখানায় বকেয়া বেতন ভাতার দাবিতে শ্রমিকরা সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেও বিক্ষোভ করে। শ্রমিকরা জানায়, মাসের ১৩ তারিখ চলে যাচ্ছে এখনও তাদের বেতন দেয়নি। তাই তারা রাস্তায় নেমে আসছে।
জয়দেপুর থানার ওসি আবদুল হালিম সংবাদ’কে বলেন, সকালে লিথি গ্রুপের শ্রমিকেরা গত মাসেব বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে নেমে এসে বিক্ষোভ করেন। পরে এলাকাবাসী ও মালিক পক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী ২০ তারিখ শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করার আশ^াস দিলে শ্রমিকরা মহাসড়ক থেকে সরে চলে যায়। এ সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে কিছু সময় যানচলাচল বন্ধ ছিল। এখন স্বাভাবিক।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম সংবাদ’কে বলেন, বিভিন্ন দাবিতে বুধবার গাজীপুরে কয়েকটি কারখানায় সকাল থেকে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছে। এ সময় কোনাবাড়ী এলাকায় নাহিদ হোসেনসহ দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তার মাথায় আঘাত লেগেছে। টিএনজেড গ্রুপের পাঁচটি কারখানা বন্ধ রয়েছে।
পুলিশ ও কারখানার স্টাফদের ওপর হামলা
বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকে এম এম নীটওয়্যার লিমিটেডের শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করেছে। এ সময় শিল্প পুলিশ ও ওই কারখানার স্টাফদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সিকিউরিটি মো. আজিজুর রহমান (৪৫) ও পুলিশ সদস্য নাহিদ (২৮) হোসেনসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। নাহিদ হোসেন গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এ কনস্টেবল পদে কর্মরত আছেন।
বুধবার সকাল ৯টার সময় কারখানাটির ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন এম এম নীটওয়্যার লিমিটেডের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন।
এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানার মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে চাবি নিয়ে যান। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, বিজিবি, শিল্প পুলিশ ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ সদস্যরা শ্রমিক মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। দুপুর পৌনে তিনটায় এম এম নীটওয়্যার লি. কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন আরও জানান, শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে বাসায় চলে গেছে। আজ থেকে কাজে যোগ না দিলে কারখানা বন্ধ করে দেয়া ছাড়া আর কিছু করার থাকবে না। শিল্প পুলিশ ও কারখানার শ্রমিকরা জানায়, শ্রমিক আন্দোলনের সময় কারখানায় হামলা ভাঙচুর ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে শ্রম আইন অনুযায়ী এম এম নীটওয়্যার লিমিটেডসহ কয়েকটি কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়। এর মধ্যে এম এম নীটওয়্যার ও মামুন নীটওয়্যার লিমিটেডের ১১৩ জন শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়।
ছাঁটাইকৃত শ্রমিকরা তাদের সব পাওনাদি বুঝে নিলেও ফের চাকরি ফিরে পাওয়ার জন্য কারখানা ফটকে জড়ো হন তারা। তাদের কাজে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য গত দুইদিন ধরে ওই কারখানার সব শ্রমিকরা কর্মবিরতি শুরু করে। পরে কারখানার ভেতরেই অবস্থান করে বিক্ষোভ করতে থাকে তারা।
এম এম নীটওয়্যার লিমিটেডের সাদ্দাম নামে এক শ্রমিক বলেন, নতুন করে আরও শ্রমিক ছাঁটাই করছে শুনেছি। যার কারণে শ্রমিকরা আরও ক্ষিপ্ত হয়েছে। আমি বের হয়ে চলে এসেছি। ভেতরের অবস্থা বলতে পারব না।
এম এম নিটওয়্যার লি.-এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, শ্রমিকরা আজও কর্মবিরতি পালন করছে। তাদের দাবি ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের পুনর্বহাল করতে হবে। কিন্তু ছাটাইকৃত শ্রমিকরা তাদের পাওনাদি হাসিমুখে বুঝে নিয়ে যাচ্ছেন। তাদের কোনো অভিযোগ নেই। বর্তমানে যে অবস্থা সময় মতো শিপমেন্ট দিতে না পারলে অর্ডার বাতিল হয়ে যাবে। বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে কর্তৃপক্ষ।
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ মো. ফজল আলী জানান, নাহিদ হোসেন নামে এক পুলিশ সদস্য আহত অবস্থায় মেডিকেল এসেছেন। তার মাথায় আঘাত লেগেছে দুইটি সেলাই দেয়া হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম সংবাদ’কে বলেন, এম এম লীটওয়্যার লি. কারখানার শ্রমিকরা ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবিতে দুই দিন ধরে কর্মবিরতি পালন করছেন। বর্তমানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলছেন। পুলিশ সদস্য ও কারখানার স্টাফ আহতদের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, খোঁজ নিয়ে পরে জানাচ্ছি।
অন্যদিকে বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। সকাল আটটা থেকে গাজীপুর মহানগরের গাজীপুরা এলাকায় ‘তারা টেক্স’ নামে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা তাদের বকেয়া বেতনের দাবিতে এই অবরোধ সৃষ্টি করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরীর গাজীপুরা এলাকায় তারা টেক্স নামক পোশাক কারখানার শ্রমিকরা গত অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার সামনে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে তারা মিছিল সহকারে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এসে অবরোধ সৃষ্টি করেন। এতে ওই মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল এক ঘণ্টা বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন সংবাদ’কে বলেন, অক্টোবর মাসের বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে শ্রমিকদের সঙ্গে মালিক পক্ষের আলোচনার পর আজ অক্টোবর মাসের বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা মহাসড়ক থেকে সরে গেলে এক ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিং মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
অন্যদিকে নগরীর কাশিমপুর এলাকায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল কারখানার শ্রমিকরা গত মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে গত বুধবার সকালে চক্রবর্তী এলাকায় আশুলিয়া-টাঙ্গাইল সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দুপুর সাড়ে ১২টায় শ্রমিকেরা প্রথমে কারখানার গেইটে বিক্ষোভ করলেও পরে তারা চক্রবর্তী এলাকায় এসে সড়ক অবরোধ করে। এ সময় ওই সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ছয়টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শ্রমিকরা সড়কে অবস্থান করছে। প্রায় ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২ এর পরিদর্শক রাজিব হোসেন সংবাদ’কে বলেন, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল কারখানার শ্রমিকরা গত মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে গত বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চক্রবর্তী এলাকায় আশুলিয়া-টাঙ্গাইল সড়ক অবরোধ করে রাখে। মালিক পক্ষ বলছে, আগামী ২০ তারিখে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করবেন। শ্রমিকরা তা মানছে না।
অন্যদিকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকায় লিথি গ্রুপ এবং এলিগ্যান্স এই দুটি কারখানায় বকেয়া বেতন ভাতার দাবিতে শ্রমিকরা সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেও বিক্ষোভ করে। শ্রমিকরা জানায়, মাসের ১৩ তারিখ চলে যাচ্ছে এখনও তাদের বেতন দেয়নি। তাই তারা রাস্তায় নেমে আসছে।
জয়দেপুর থানার ওসি আবদুল হালিম সংবাদ’কে বলেন, সকালে লিথি গ্রুপের শ্রমিকেরা গত মাসেব বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে নেমে এসে বিক্ষোভ করেন। পরে এলাকাবাসী ও মালিক পক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী ২০ তারিখ শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করার আশ^াস দিলে শ্রমিকরা মহাসড়ক থেকে সরে চলে যায়। এ সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে কিছু সময় যানচলাচল বন্ধ ছিল। এখন স্বাভাবিক।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম সংবাদ’কে বলেন, বিভিন্ন দাবিতে বুধবার গাজীপুরে কয়েকটি কারখানায় সকাল থেকে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছে। এ সময় কোনাবাড়ী এলাকায় নাহিদ হোসেনসহ দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তার মাথায় আঘাত লেগেছে। টিএনজেড গ্রুপের পাঁচটি কারখানা বন্ধ রয়েছে।