চীনে ফল ও কৃষিপণ্য বৃহত্তর পরিসরে রপ্তানির লক্ষ্যে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) কাছ থেকে সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি জানিয়েছেন, চীন শিগগিরই বাংলাদেশ থেকে আম আমদানি করবে এবং এফএও-এর সহায়তায় বাংলাদেশ সহজেই আরও রপ্তানিযোগ্য শাকসবজি ও ফল উৎপাদন করতে পারবে।
বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা, উপকূলীয় চীনা শহর বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে এফএও-এর মহাপরিচালক কু ডংইউ-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সহায়তার জন্য অনুরোধ করেন।
ড. ইউনূস বলেন, চীন কৃষি ও জলজ পণ্যের শীর্ষ আমদানিকারক হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে, তবে চীনের বাজার সম্পর্কে ধারণার অভাবের কারণে বাংলাদেশ সে বাজারে প্রবেশ করতে পারছে না।
তিনি এফএও মহাপরিচালককে (যিনি চীনের একজন প্রাক্তন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন) চীনা আমদানিকারক এবং বাংলাদেশের খামার ও ফল উৎপাদনকারীদের মধ্যে ম্যাচমেকার হিসেবে কাজ করার জন্য অনুরোধ করেন।
ড. ইউনূস আরও বলেন, ফল প্রক্রিয়াকরণ, সবজি সংরক্ষণ এবং প্যাকেজিংয়ে আমাদের সহায়তা প্রয়োজন। আপনি আমাদের কৃষক ও রপ্তানিকারকদের সঙ্গে চীনকে সংযুক্ত করতে পারেন।
এফএও মহাপরিচালক কু ডংইউ বলেন, আমরা ম্যাচমেকার হিসেবে কাজ করব। বাংলাদেশ এবং চীনা খামার কোম্পানির মধ্যে একটি নতুন নেটওয়ার্ক স্থাপন করব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এফএও-এর সহায়তার বৃহত্তম গ্রহীতা এবং আমি আশা করি অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ভালো করবে।
মহাপরিচালক আরও বলেন, তুমি আমার বড় ভাই। আমি আন্তরিকভাবে আশা করি তোমার দেশ ভালো করবে। আমরা অবশ্যই তোমাকে সাহায্য করবো।
বৈঠকের সময় জ্বালানি ও পরিবহন উপদেষ্টা ফৌজুল কবির খানও উপস্থিত ছিলেন।
রাশিয়া বাংলাদেশে আরও গম ও সার রপ্তানিতে আগ্রহী
রাশিয়া বাংলাদেশে আরও বেশি গম ও সার রপ্তানি করতে আগ্রহী। রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেক্সেই ওভারচুক বৃহস্পতিবার চীনের হাইনান প্রদেশের বোয়াও শহরে বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া সম্মেলনের ফাঁকে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বলেন, ‘রাশিয়া বাংলাদেশে আরও গম ও সার রপ্তানি করতে চায়।’
বৈঠকে দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন, যার মধ্যে রয়েছে- রাশিয়ার অর্থায়নে নির্মিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কার্যক্রম, রাশিয়া থেকে বাংলাদেশে গম ও সার আমদানির পরিকল্পনা এবং গ্যাজপ্রমের গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অর্থসংক্রান্ত বিষয়গুলো সমাধান হয়েছে এবং বাংলাদেশ ঢাকায় একটি অ্যাকাউন্টে অর্থ পরিশোধ করছে।
তিনি জানান, রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র এ বছরের শেষের দিকে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ রাশিয়া থেকে আরও বেশি গম ও সার আমদানি করবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ রাশিয়ার বৃহৎ জ্বালানি সংস্থা গ্যাজপ্রমকে দেশটির অফশোর ও অনশোরে আরও অনুসন্ধান কার্যক্রম দেখতে আগ্রহী।
আলেক্সেই ওভারচুক দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আরও বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রাশিয়ায় পড়াশোনা করতে যাক, সেটি আমরা দেখতে চাই।
বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান এবং প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
চীনে ফল ও কৃষিপণ্য বৃহত্তর পরিসরে রপ্তানির লক্ষ্যে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) কাছ থেকে সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি জানিয়েছেন, চীন শিগগিরই বাংলাদেশ থেকে আম আমদানি করবে এবং এফএও-এর সহায়তায় বাংলাদেশ সহজেই আরও রপ্তানিযোগ্য শাকসবজি ও ফল উৎপাদন করতে পারবে।
বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা, উপকূলীয় চীনা শহর বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে এফএও-এর মহাপরিচালক কু ডংইউ-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সহায়তার জন্য অনুরোধ করেন।
ড. ইউনূস বলেন, চীন কৃষি ও জলজ পণ্যের শীর্ষ আমদানিকারক হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে, তবে চীনের বাজার সম্পর্কে ধারণার অভাবের কারণে বাংলাদেশ সে বাজারে প্রবেশ করতে পারছে না।
তিনি এফএও মহাপরিচালককে (যিনি চীনের একজন প্রাক্তন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন) চীনা আমদানিকারক এবং বাংলাদেশের খামার ও ফল উৎপাদনকারীদের মধ্যে ম্যাচমেকার হিসেবে কাজ করার জন্য অনুরোধ করেন।
ড. ইউনূস আরও বলেন, ফল প্রক্রিয়াকরণ, সবজি সংরক্ষণ এবং প্যাকেজিংয়ে আমাদের সহায়তা প্রয়োজন। আপনি আমাদের কৃষক ও রপ্তানিকারকদের সঙ্গে চীনকে সংযুক্ত করতে পারেন।
এফএও মহাপরিচালক কু ডংইউ বলেন, আমরা ম্যাচমেকার হিসেবে কাজ করব। বাংলাদেশ এবং চীনা খামার কোম্পানির মধ্যে একটি নতুন নেটওয়ার্ক স্থাপন করব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এফএও-এর সহায়তার বৃহত্তম গ্রহীতা এবং আমি আশা করি অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ভালো করবে।
মহাপরিচালক আরও বলেন, তুমি আমার বড় ভাই। আমি আন্তরিকভাবে আশা করি তোমার দেশ ভালো করবে। আমরা অবশ্যই তোমাকে সাহায্য করবো।
বৈঠকের সময় জ্বালানি ও পরিবহন উপদেষ্টা ফৌজুল কবির খানও উপস্থিত ছিলেন।
রাশিয়া বাংলাদেশে আরও গম ও সার রপ্তানিতে আগ্রহী
রাশিয়া বাংলাদেশে আরও বেশি গম ও সার রপ্তানি করতে আগ্রহী। রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেক্সেই ওভারচুক বৃহস্পতিবার চীনের হাইনান প্রদেশের বোয়াও শহরে বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া সম্মেলনের ফাঁকে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বলেন, ‘রাশিয়া বাংলাদেশে আরও গম ও সার রপ্তানি করতে চায়।’
বৈঠকে দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন, যার মধ্যে রয়েছে- রাশিয়ার অর্থায়নে নির্মিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কার্যক্রম, রাশিয়া থেকে বাংলাদেশে গম ও সার আমদানির পরিকল্পনা এবং গ্যাজপ্রমের গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অর্থসংক্রান্ত বিষয়গুলো সমাধান হয়েছে এবং বাংলাদেশ ঢাকায় একটি অ্যাকাউন্টে অর্থ পরিশোধ করছে।
তিনি জানান, রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র এ বছরের শেষের দিকে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ রাশিয়া থেকে আরও বেশি গম ও সার আমদানি করবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ রাশিয়ার বৃহৎ জ্বালানি সংস্থা গ্যাজপ্রমকে দেশটির অফশোর ও অনশোরে আরও অনুসন্ধান কার্যক্রম দেখতে আগ্রহী।
আলেক্সেই ওভারচুক দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আরও বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রাশিয়ায় পড়াশোনা করতে যাক, সেটি আমরা দেখতে চাই।
বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান এবং প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।