alt

অপরাধ ও দুর্নীতি

চট্টগ্রামে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে দুইজন নিহত

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ৩০ মার্চ ২০২৫

চট্টগ্রামের চকবাজার চন্দনপুরা এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় দুইজন নিহত হয়েছেন। ভোর রাতে প্রাইভেট কার ধাওয়া করে গুলি চালানোর ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

নিহতরা হলেন বখতেয়ার হোসেন মানিক ও মো. আব্দুল্লাহ। আহত রবিন ও হৃদয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আহত রবিন জানান, প্রাইভেট কারে মোট ছয়জন ছিলেন। চালকের আসনে মানিক ছিলেন, তার পাশে বসা ছিলেন পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেন বাবলা। শাহ আমানত ব্রিজ সংলগ্ন বালুর মহাল থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পর মোটরসাইকেলে আসা কয়েকজন গুলি চালায়। জীবন বাঁচাতে গাড়িটি বাকলিয়া এক্সেস রোডের দিকে চলে যায়, যেখানে আব্দুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হন।

রবিনের সন্দেহ, ছোট সাজ্জাদের অনুসারীরা সরোয়ারকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এ হামলা চালায়।

নিহত আব্দুল্লাহর মা রাশেদা বেগম জানান, কয়েক মাস আগে সাজ্জাদের অনুসারীরা তার ছেলের পায়ে গুলি করেছিল। এবারও সরোয়ারকে বাঁচাতে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।

আব্দুল্লাহর স্ত্রী প্রিয়া মনি জানান, প্রাইভেট কারটি আব্দুল্লাহর মালিকানাধীন ছিল এবং সেটি চালাতেন মানিক। রাতে ঈদের বাজার শেষে বাসায় ফেরার কথা থাকলেও তিনি আর ফেরেননি।

সরোয়ার হোসেন বাবলা একসময় সাজ্জাদ হোসেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। পরে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে পৃথক গ্রুপ গড়ে ওঠে। ছোট সাজ্জাদ ছিলেন সাজ্জাদের ডান হাত।

২০১১ সালে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হন সরোয়ার। ২০১৭ সালে জামিনে মুক্ত হয়ে কাতারে চলে যান এবং সেখান থেকে চাঁদাবাজি চালাতেন বলে অভিযোগ ছিল। ২০২০ সালে দেশে ফিরে পুনরায় গ্রেপ্তার হন।

বায়েজিদ ও চান্দগাঁও এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ছোট সাজ্জাদ ও সরোয়ারের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলে আসছে। গত বছর সরোয়ারের এক অনুসারী হত্যার ঘটনায় ছোট সাজ্জাদ প্রধান আসামি হন এবং মার্চ মাসে ঢাকায় গ্রেপ্তার হন।

রবিবারের এই হত্যাকাণ্ড ছোট সাজ্জাদের অনুসারীদের প্রতিশোধ হিসেবে ঘটেছে কি না, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

ছবি

‘বিদেশ থেকে প্রমাণ না মেলায় তদন্ত বিলম্বিত’ — দুদক

ছবি

মালয়েশিয়ায় ‘জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা’: ঢাকায় ৩৫ প্রবাসীর বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

লোহাগাড়ায় ১১ মৃত্যু: অবশেষে ধরা পড়লেন বাস চালক সোহেল

ছবি

অস্ত্র মামলায় আনিসুল হকের দুই দিনের রিমান্ড

ছবি

পলাতক ২৩ জনকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ, হাজির না হলে অনুপস্থিতিতেই বিচার

ছবি

পীরগাছায় পুলিশের অভিযানে চুরি হওয়া ৩ মোটরসাইকেলসহ গ্রেফতার ৫

ছবি

মুরাদনগরে নারী নির্যাতনের ঘটনায় মূল উসকানিদাতা ভাই শাহ পরাণ: পরিকল্পনায় ‘মব’, ভিডিওও তার ‘নির্দেশে’

ছবি

মুরাদনগরে ধর্ষণ ও ভিডিও ছড়ানোর ঘটনায় চার আসামির তিন দিনের রিমান্ড

ভোটবিহীন নির্বাচন মামলায় নূরুল হুদা কারাগারে, পেলেন না জামিন

ছবি

শেখ রেহানার স্বামী ও তারিক সিদ্দিকের সম্পত্তি জব্দের আদেশ

ছবি

আদালত অবমাননায় শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড

ছবি

বিএনপির মামলায় সাবেক সিইসি নূরুল হুদার জবানবন্দি রেকর্ড শুরু

ছবি

আবু সাঈদ হত্যা মামলা: বেরোবির সাবেক উপাচার্যসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ছবি

তিনটি হত্যা মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ, আছেন সাবেক এসপিও

ধর্ষণের পর বিবস্ত্র অবস্থায় মারধর, ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫

ভুক্তভোগীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাইকোর্টের নির্দেশ

রূপগঞ্জে মদ্যপ অবস্থায় অশোভন আচরণ, প্রতিবাদ করায় দুই যুবককে গুলি

নাইক্ষ্যংছড়িতে ইমাম হত্যা,৫ জনকে আসামী করে মামলা

ছবি

হত্যা মামলায় ইনু, কামাল, পলকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার দেখালো আদালত

ছবি

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলায় প্রিন্স মামুনের বিচার শুরু

ছবি

ব্রিটিশ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের অভিযোগ অস্বীকার করে দুদক চেয়ারম্যান, টিউলিপকে বাংলাদেশি নাগরিক বলেও মন্তব্য

ছবি

১৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ অবরুদ্ধ, এস আলম গ্রুপ ও ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আদালতের কঠোর পদক্ষেপ

ছবি

‘ভোটের প্রতারণা’ অভিযোগে রিমান্ড শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি নূরুল হুদার

ছবি

নগদের ১ কোটি টাকার ডাকাতি: রহস্য উদঘাটনের দাবি পুলিশের, উদ্ধার সাড়ে ৩২ লাখ

ছবি

স্বপ্না হত্যা: থানা থেকে সিআইডি, তবু রহস্য অজানা

ছবি

সাক্ষ্যগ্রহণের দিনে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালাল অপহরণ ও হত্যার আসামি

ছবি

আদালত অবমাননার মামলায় আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে ট্রাইব্যুনালের সহায়তাকারী নিযুক্ত

ছবি

সবজি ব্যবসায়ী শাওন হত্যা মামলায় সালমান এফ রহমান ৪ দিনের রিমান্ডে, আনিসুল হক গ্রেপ্তার

মিরপুরে প্রকাশ্যে গুলি করে টাকা ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৫ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর

ছবি

কেরাণীগঞ্জে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে সৎ বাবার মৃত্যুদণ্ড

ছবি

রংপুরের কাউনিয়ায় টিসিবির কার্ড বিতরণে টাকা আদায়ের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

ছবি

মানিলন্ডারিং তদন্ত: তিন সহযোগীর বিদেশ যাত্রায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা

ছবি

হাজিরা না দিলে অনুপস্থিতিতেই শেখ হাসিনার বিচার শুরু হবে: ট্রাইব্যুনাল

ছবি

যুক্তরাজ্যে বসুন্ধরা মালিকপক্ষসহ কয়েকজনের সম্পদ জব্দে উদ্যোগ: দুদক

ছবি

টিউলিপের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা, তাকে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে দেখছে দুদক

ছবি

লাশ টুকরো করে বালু চাপা: ব্যবসায়ী জাকির হত্যা মামলায় চার আসামি আদালতে, একজনের স্বীকারোক্তি

tab

অপরাধ ও দুর্নীতি

চট্টগ্রামে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে দুইজন নিহত

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ৩০ মার্চ ২০২৫

চট্টগ্রামের চকবাজার চন্দনপুরা এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় দুইজন নিহত হয়েছেন। ভোর রাতে প্রাইভেট কার ধাওয়া করে গুলি চালানোর ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

নিহতরা হলেন বখতেয়ার হোসেন মানিক ও মো. আব্দুল্লাহ। আহত রবিন ও হৃদয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আহত রবিন জানান, প্রাইভেট কারে মোট ছয়জন ছিলেন। চালকের আসনে মানিক ছিলেন, তার পাশে বসা ছিলেন পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেন বাবলা। শাহ আমানত ব্রিজ সংলগ্ন বালুর মহাল থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পর মোটরসাইকেলে আসা কয়েকজন গুলি চালায়। জীবন বাঁচাতে গাড়িটি বাকলিয়া এক্সেস রোডের দিকে চলে যায়, যেখানে আব্দুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হন।

রবিনের সন্দেহ, ছোট সাজ্জাদের অনুসারীরা সরোয়ারকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এ হামলা চালায়।

নিহত আব্দুল্লাহর মা রাশেদা বেগম জানান, কয়েক মাস আগে সাজ্জাদের অনুসারীরা তার ছেলের পায়ে গুলি করেছিল। এবারও সরোয়ারকে বাঁচাতে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।

আব্দুল্লাহর স্ত্রী প্রিয়া মনি জানান, প্রাইভেট কারটি আব্দুল্লাহর মালিকানাধীন ছিল এবং সেটি চালাতেন মানিক। রাতে ঈদের বাজার শেষে বাসায় ফেরার কথা থাকলেও তিনি আর ফেরেননি।

সরোয়ার হোসেন বাবলা একসময় সাজ্জাদ হোসেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। পরে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে পৃথক গ্রুপ গড়ে ওঠে। ছোট সাজ্জাদ ছিলেন সাজ্জাদের ডান হাত।

২০১১ সালে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হন সরোয়ার। ২০১৭ সালে জামিনে মুক্ত হয়ে কাতারে চলে যান এবং সেখান থেকে চাঁদাবাজি চালাতেন বলে অভিযোগ ছিল। ২০২০ সালে দেশে ফিরে পুনরায় গ্রেপ্তার হন।

বায়েজিদ ও চান্দগাঁও এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ছোট সাজ্জাদ ও সরোয়ারের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলে আসছে। গত বছর সরোয়ারের এক অনুসারী হত্যার ঘটনায় ছোট সাজ্জাদ প্রধান আসামি হন এবং মার্চ মাসে ঢাকায় গ্রেপ্তার হন।

রবিবারের এই হত্যাকাণ্ড ছোট সাজ্জাদের অনুসারীদের প্রতিশোধ হিসেবে ঘটেছে কি না, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

back to top