তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক ও এক ব্যক্তির করা পাঁচটি আবেদন শুনানির জন্য আগামী ২৬ আগস্ট তারিখ নির্ধারণ করেছেন আপিল বিভাগ।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চে বিষয়টি উত্থাপন করেন জামায়াতের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। এরপর আদালত শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
এর আগে ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী, অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল মঞ্জুর করেই এ রায় দেওয়া হয়।
এই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য গত বছরের অক্টোবরে আবেদন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই সময়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমানও পৃথক আবেদন করেন। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও নওগাঁর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেনও রিভিউ আবেদন করেন। ফলে দুই সংশোধনী নিয়ে এখন পাঁচটি রিভিউ আবেদন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত হয়। পরে এর বৈধতা নিয়ে রিট হলে হাইকোর্ট ২০০৪ সালে এটিকে সংবিধানসম্মত ঘোষণা করে। তবে ২০০৫ সালে করা আপিলের পর ২০১১ সালে আপিল বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে রায় দেন। সেই ধারাবাহিকতায় পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ব্যবস্থা পুরোপুরি বিলোপ হয়।
এদিকে পঞ্চদশ সংশোধনী আইনকেও চ্যালেঞ্জ করা হয়। গত বছরের ডিসেম্বর হাইকোর্ট ওই আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করে বাতিল করে দেয়। একই সঙ্গে গণভোটের বিধান পুনর্বহালসহ আরও কয়েকটি ধারা অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক ও এক ব্যক্তির করা পাঁচটি আবেদন শুনানির জন্য আগামী ২৬ আগস্ট তারিখ নির্ধারণ করেছেন আপিল বিভাগ।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চে বিষয়টি উত্থাপন করেন জামায়াতের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। এরপর আদালত শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
এর আগে ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী, অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল মঞ্জুর করেই এ রায় দেওয়া হয়।
এই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য গত বছরের অক্টোবরে আবেদন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই সময়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমানও পৃথক আবেদন করেন। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও নওগাঁর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেনও রিভিউ আবেদন করেন। ফলে দুই সংশোধনী নিয়ে এখন পাঁচটি রিভিউ আবেদন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত হয়। পরে এর বৈধতা নিয়ে রিট হলে হাইকোর্ট ২০০৪ সালে এটিকে সংবিধানসম্মত ঘোষণা করে। তবে ২০০৫ সালে করা আপিলের পর ২০১১ সালে আপিল বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে রায় দেন। সেই ধারাবাহিকতায় পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ব্যবস্থা পুরোপুরি বিলোপ হয়।
এদিকে পঞ্চদশ সংশোধনী আইনকেও চ্যালেঞ্জ করা হয়। গত বছরের ডিসেম্বর হাইকোর্ট ওই আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করে বাতিল করে দেয়। একই সঙ্গে গণভোটের বিধান পুনর্বহালসহ আরও কয়েকটি ধারা অবৈধ ঘোষণা করা হয়।